ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি কর্পোরেশনকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত: ১০:৫০, ১৮ জুলাই ২০১৯

 এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি কর্পোরেশনকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ বা নিধনে অকার্যকর ওষুধ আমদানি, সরবরাহ ও কেনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। দ্রুত কার্যকর ওষুধ আমদানি করে তা ছিটানোর ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অন্যদিকে দেশের প্রতিটি আদালতে আইনজীবী, বিচারক ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় কি কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কুমিল্লার ঘটনায় যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন। এদিকে রাজধানীর তিন প্রধান সড়কে রিক্সা বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। অকার্যকর ওষুধ আমদানি, সরবরাহ ও কেনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ২০ আগস্ট এই আদেশের অগ্রগতি প্রতিবেদন দুই সিটি কর্পোরেশনকে আদালতে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মশা নিধনে কার্যকর ওষুধ আমদানি এবং ছিটাতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সরকারের সহায়তা নিতেও বলেছে আদালত। আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নূরুন্নাহার নুপুর। পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, সিটি কর্পোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে যে ব্যবস্থা নিচ্ছে সেটা অকার্যকর। মিডিয়ায় রিপোর্ট এসেছে, যে ওষুধগুলো দেয়া হচ্ছে সেগুলোর কার্যকারিতা নেই। তারপরও তারা ওষুধগুলো দিচ্ছে। এখানে ২০-২২ কোটি টাকার অর্থনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। যারা এই কাজগুলো করছেন তাদের বিরুদ্ধে সিটি কর্পোরেশন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আরেকটি রিপোর্টে দেখা গেছে সিটি কর্পোরেশন বলছে, নতুন ওষুধ এনে কার্যকরী করতে ৬ মাস সময় লাগবে। আমি বলেছি জনগণের প্রয়োজনে টেন্ডার এবং আইন-কানুনের বাইরে দ্রুত ওষুধগুলো এনে ব্যবহার করে জনগণের জীবন রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। আদালত চত্বরের নিরাপত্তায় গৃহীত পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে আদালত ॥ দেশের প্রতিটি আদালতে আইনজীবী, বিচারক ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় কি কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কুমিল্লার ঘটনায় যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালত চত্বরে বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। রিক্সা বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে রিট ॥ রাজধানীর তিন প্রধান সড়কে রিক্সা বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন এ্যাডভোকেট আইনুন নাহার সিদ্দিকা। রিটে রিক্সা বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত এবং ওই তিন সড়কে রিক্সা চলতে দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ মোট ১৭ জনকে। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হবে বলে জানা গেছে।
×