ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বর্ণাঢ্য আয়োজনে মুজিববর্ষ উদ্যাপনের ব্যাপক প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ১০:১৮, ১৪ জুলাই ২০১৯

 বর্ণাঢ্য আয়োজনে মুজিববর্ষ  উদ্যাপনের ব্যাপক প্রস্তুতি

মনোয়ার হোসেন ॥ ক্রমশ এগিয়ে আসছে জাতির জনকের জন্মশতবর্ষ। আগামী বছরের ১৭ মার্চ সেই কাক্সিক্ষত দিন। স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের শতবর্ষ পূর্ণ হবে সেদিন। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালীর জন্মশতবর্ষ উদ্যাপনে নেয়া হয়েছে বছরব্যাপী বিশাল পরিকল্পনা। সে পরিকল্পনায় যুক্ত হচ্ছে নানা প্রস্তাবনা। সেসব প্রস্তাবে প্রান্তিক কৃষক থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীসহ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্বদের সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের আয়োজনে। অনুষ্ঠিত হবে বছরব্যাপী সেমিনার। লন্ডন ও সিঙ্গাপুরে মাদাম তুসো জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবে। আগামী বছর অমর একুশে গ্রন্থমেলা ও ঢাকা লিট ফেস্ট উৎসর্গ করা হবে জাতির জনকের প্রতি। ২০২০ সালে অনুষ্ঠিতব্য সব ক্রীড়া আয়োজন উৎসর্গ করা হবে বঙ্গবন্ধুকে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ মুজিবকে নিয়ে আলোচনাসভা ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচারের কথা উঠেছে। শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের ভূমিকার পেক্ষিতে জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতির জনকের ভাস্কর্য স্থাপনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ দেশের সকল স্তরের মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বছরব্যাপী আয়োজনে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে তৈরি হবে থিম সং। থিম সং রচনা ও মুজিব বর্ষের লোগো নির্ধারণের জন্য বিজ্ঞাপন দেয়ার পরিকল্পনা চলছে। বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছেন ভারতের খ্যাতনামা চিত্রপরিচালক শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক বায়োপিক নির্মাণের কাজ। মুজিববর্ষের বিশাল আয়োজন প্রসঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবাযন কমিটির সদস্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জনকণ্ঠকে বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের সঙ্গে বৈঠকে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা আসছে। এগুলোর মধ্য থেকে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনাগুলোকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তরূপে গ্রহণ করা হবে। আটটি উপকমিটিই তাদের মতো করে পরিকল্পনা পেশ করেছে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির কাছে। কিন্তু এর কোনটিই এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। পরিকল্পনা নিয়ে প্রায় প্রতি সপ্তাহে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট কার্যালয়ে বৈঠক চলছে। প্রস্তাবিত আয়োজনগুলোর মধ্য থেকে সেরাগুলোকেই কমিটি বেছে নেবে। পরবর্তীতে জাতীয় কমিটি সেটি অনুমোদন দেবে। মুজিববর্ষের আয়োজনকে ঘিরে সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে চলছে ব্যাপক কর্মতৎপরতা। প্রায় প্রতিদিনই নানা পরিকল্পনা নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বৈঠকের পর বৈঠক। জমা পড়ছে বিপুলা প্রস্তবনাা। কোনটি বৃহদাকারে জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এবং কোনটিতে আবার সংযুক্ত করা হবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে। সব মিলিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী জমকালোভাবে উদ্যাপনের প্রস্তুতি চলছে। প্রতিদিনই জমা পড়া পরিকল্পনা নিয়ে কাঁটাছেড়া ও বিশ্লেষণ করছে সরকার গঠিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জš§শতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবাযন কমিটি’। এ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী মুজিব বর্ষ উদ্যাপনের মূল পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় কমিটি’র পরামর্শে। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী মুজিববর্ষের বছরব্যাপী আয়োজনে থাকবে নানা শিল্পনির্ভর উদ্যোগ। বছরব্যাপী চিত্রকলা, নাটক, সঙ্গীত, যাত্রাপালা কিংবা নৃত্যের নান্দনিকতায় ভালোবাসা জানানো হবে শেখ মুজিবকে। মুজিববর্ষকে ঘিরে শিল্পের আলোয় নতুন করে জেগে উঠবে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে। মুজিববর্ষের আয়োজন শুধু দেশেই নয়, ছড়িয়ে যাবে বিদেশের মাটিতেও। শিল্পের আশ্রয়ে জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদ্যাপিত হবে মুজিববর্ষ। সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও প্রদর্শনীনির্ভর বিপুল সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির অধীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী আয়োজন উপকমিটি।। বর্তমান ও সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ চিত্রশিল্পী, কবি সঙ্গীতশিল্পী, নাট্যজন, আবৃত্তিশিল্পী, নৃত্যশিল্পী নানা ভুবনের ৪০ জন সৃজনশীল মানুষকে নিয়ে গঠিত হয়েছে এ উপকমিটি। মুজিববর্ষের আয়োজনে বিশেষ রং ছড়াবে চারুকলা ভুবন। পর্যায়ক্রমে দেশের আট বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে চিত্রকলাবিষয়ক কর্মশালা, সেমিনার ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। তিন দিনের কর্মশালায় কেন্দ্র থেকে কর্মশালায় অংশ নেওয়ার ২৫ জন বিশিষ্ট শিল্পীর সঙ্গে যুক্ত হবেন স্থানীয় ২৫ শিল্পী। তাদের সঙ্গে রং-তুলিতে ক্যানভাস রাঙাবেন আট বিভাগের বিভিন্ন জেলার শতজন শিশু-কিশোর। পরবর্তীতে সেই ছবি নিয়ে বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত হবে প্রদর্শনী। প্রাথমিকভাবে নেয়া এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী আয়োজন উপকমিটির অধীন চিত্রকলাবিষয়ক ওয়ার্কিং কমিটির আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিবদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন। নিসার হোসেন জনকণ্ঠকে জানান, মুজিববর্ষে দশটি বিশাল ক্যানভাসে ছবি আঁকবেন দেশের প্রখ্যাত দশজন শিল্পী। এই দশ শিল্পীর নেতৃত্বে আবার কাজ করবেন ৫ থেকে ছয়জন শিল্পী। আট ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৪ ফুট প্রস্থের ভিন্ন আঙ্গিকে নিখুঁতভাবে উদ্ভাসিত হবেন বঙ্গবন্ধু। প্রতিটি ছবিতেই ইতিহাসের একটি অধ্যায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে আঁকা হবে শেখ মুজিবকে। মূলত রিয়েলিস্টিক ছবি আঁকায় পারঙ্গম শিল্পীরা থাকবেন এ কাজের অগ্রভাগে। এমনভাবে চিত্রিত হবে চিত্রকর্মগুলো যেন ছবি দেখে দর্শকও সহজেই প্রবেশ করবে ঘটনাপ্রবাহের ভেতরে। ছবিগুলো দেখে এই দশটি ছবি যেন হাজার বছর টিকে থাকে সেজন্য ক্যানভাসসহ রঙের প্রয়োগে দেয়া হবে বিশেষ গুরুত্ব। ছবিগুলো আঁকা হয়ে গেলে সেগুলোকে স্থায়ীভাবে মেহেরপুরের মুজিবনগর স্মৃতি জাদুঘরে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া মুজিববর্ষের বর্ষব্যাপী আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় অনুষ্ঠিত হবে আরেকটি বড় আয়োজন। এ আয়োজনে দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পীবৃন্দ। প্রচলিত ধারার মুজিবের প্রতিকৃতি আকার বদলে তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনের ওপর ভিত্তি করে চিত্রকর্ম সৃজন করবেন এই চিত্রকররা। সেসব ছবির প্রদর্শনী হবে বিভাগীয় শহরসহ দেশের সব জেলায়। এছাড়া নির্বাচিত চিত্রকর্ম নিয়ে ঢাকার পাশাপাশি ভারতের দিল্লীর মডার্ন আর্ট গ্যালারিসহ, লন্ডন, নিউইয়র্ক, টোকিও, বার্লিন, কার্ডিফসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বুপূর্ণ গ্যালারিতে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। পরিকল্পনার বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে নিসার হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা এসব প্রস্তাব তুলে ধরেছি। এগুলোর বাস্তবায়ন নির্ভর করছে বাজেটের ওপর। প্রাথমিকভাবে বাজেট ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে নাটক নিয়েও থাকছে বৃহৎ পরিসরের আয়োজন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী আয়োজন উপকমিটির অধীন নাট্যবিষয়ক ওয়ার্কিং কমিটির আহ্বায়ক নাট্যজন ম হামিদ জনকণ্ঠকে জানান, মুজিববর্ষের বছরব্যাপী আয়োজনে বঙ্গবন্ধু নিয়ে নির্মিত হবে দশটি নতুন মঞ্চনাটক এবং দশটি পথনাটক। প্রতিটি জেলায় সেসব মঞ্চনাটকের প্রদর্শনী হবে। পাশাপাশি পথনাটক নিয়ে জেলায় জেলায় অনুষ্ঠিত হবে উৎসব। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে পূর্বে নির্মিত দশটি মঞ্চনাটক সহ নতুন নাটকগুলো নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে পৃথক আরেকটি উৎসব। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যের সাক্ষী যাত্রাপালাও থাকবে জাতির জনককে নিবেদিত বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালায়। বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু যাত্রাপালা। সেগুলোকে আরো পরিশীলিত ও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনটি নতুন যাত্রাপালা নির্মাণের প্রাথমিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ‘আমি মুজিব বলছি’সহ বেশ কিছু পালা নির্মিত হয়েছিল। সেগুলোর চিত্রনাট্য খোঁজা হচ্ছে। পাওয়া গেলে এসব যাত্রাপালাও নতুন করে মেলে ধরা হবে দর্শকের সামনা। ঢাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলায় এগুলোর প্রদর্শনী করার পরিকল্পনার কথা জানান সাংস্কৃতিক উপকমিটির যাত্রাবিষয়ক ওয়ার্কিং কমিটির আহ্বায়ক এস এম মোহসীন। কমিটি ও উপকমিটির বাইরেও বিভিন্ন সরকারী সংস্থার মাধ্যমে উদ্্যাপিত হবে মুজিববর্ষের কর্মকা-। সেই সুবাদে শিল্পকলা একাডেমি মুজিববর্ষের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শিশু-কিশোরদের ভাবনাসংক্রান্ত দেশব্যাপী জরিপ শুরু করেছে। ‘জাতীয় পতাকা হাতে স্পন্দিত বুকে মনে হয় আমিই মুজিব’ প্রতিপাদ্যে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে গবেষণা কার্যক্রম। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে একাডেমির কর্মপরিকল্পনা প্রসঙ্গে এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশ গড়তে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মতামত ও পরামর্শ চেয়ে তথ্য সংগ্রহের এই উদ্যোগের নাম ‘আমার প্রস্তাব, আমার প্রত্যয়’। সকল জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামের শিশু-কিশোর, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, সংস্কৃতিকর্মী, ক্রীড়া সংগঠক, সাংবাদিক, সকল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিক, কৃষক, মুক্তিযোদ্ধা, সমাজকর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ সর্বসাধারণ এই তথ্য ছক পূরণের মাধ্যমে জানাবেন তাদের অভিমত। আগামী পয়লা আগস্ট তারিখের মধ্যে এই তথ্য ছক পূরণ করে মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, সেগুনবাগিচা, রমনা, ঢাকা অথবা ই-মেইলে পাঠানো যাবে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৭৯ বিশিষ্টজনকে নিয়ে গঠিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করে। যাতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং সদস্য সচিবের দায়িত্বে আছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। ৯ এপ্রিল বাস্তবায়ন কমিটির আওতায় আটটি উপকমিটি গঠন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও আলোচনা সভা আয়োজন উপকমিটি, আন্তর্জাতিক কমসূচী ও যোগাযোগ উপকমিটি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী আযোজন উপকমিটি, প্রকাশনা ও সাহিত্য উপকমিটি, আন্তর্জাতিক প্রকাশনা ও অনুবাদ উপকমিটি, ক্রীড়া ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন উপকমিটি, মিডিয়া, প্রচার ও ডকুমেন্টেশন উপকমিটি এবং চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র উপকমিটি।
×