ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ড. নূর মোহাম্মদ

আইসিপিডি-২৫ ॥ কায়রো থেকে নাইরোবি

প্রকাশিত: ০৮:২০, ১৪ জুলাই ২০১৯

আইসিপিডি-২৫ ॥ কায়রো থেকে নাইরোবি

২০১৯ সালে ২৫ বছরে পা দিয়েছে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন। ১৯৯৪ সালে ১৭৯টি সরকার এ আয়োজনে অংশ নেয় মিসরের কায়রোতে। সেখানে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার নিয়ে এক বৈপ্লবিক প্রোগ্রাম অব এ্যাকশন গৃহীত হয় যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি প্রাধান্য পায়। আরও স্পষ্ট করে বললে, এই কর্মসূচী ঘোষিত হয় মূলত জনগণের সমন্বিত প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা অধিকার; যার মধ্যে আছে পরিবার পরিকল্পনা, নিরাপদ মাতৃত্ব ও শিশু জন্মদান সেবা এবং যৌনবাহিত রোগের প্রতিরোধ ও চিকিৎসা পাওয়ার জন্য। এটি এরই মধ্যে স্বীকৃত যে, নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য ও ক্ষমতায়ন বিষয়টি একে অপরের পরিপূরক এবং উভয়ই সমাজের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেসামরিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক জীবনে নারীর সম্পূর্ণ ও সমঅংশগ্রহণ এবং যৌন বিষয়ে সকল বৈষম্য সমূলে উৎপাটন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলোর প্রধান লক্ষ্য হবে- এমনটাই নিশ্চিত করে এই প্রোগ্রাম অব এ্যাকশন। যদিও আইসিপিডিকে অনেক সময় বৈশ্বিক ঐক্য বলে উল্লেখ করা হয় যেখানে বলা হয় যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য হলো মানুষের অধিকার এবং নারীর ক্ষমতায়নের পূর্বশর্ত এবং নারীর সমতা হলো সমগ্র জনগোষ্ঠীর ভাল থাকা ও উন্নতি করার পূর্বশর্ত। ষাটের দশকে মৃত্যুহার কমে এলে কিছু গবেষক দুশ্চিন্তা শুরু করেন এই ভেবে যে- জনসংখ্যার বৃদ্ধি ক্রমেই প্রাকৃতিক সম্পদ ক্ষয় করে ফেলবে, দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হবে এবং সামাজিক অবক্ষয় বেড়ে যাবে। এর প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন রাষ্ট্রের সরকার জানায়, কেউ কেউ জনসংখ্যার বৃদ্ধিতে অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেছে, অন্যদিকে বাকিরা পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছে, কেউ কেউ প্রজনন হার কমাতে অনেক ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নব্বই দশকের শুরুর দিকে এক নাটকীয় পরিবর্তন দেখা যায় যখন রাষ্ট্র কিভাবে তার শাসিত সমাজের আকার ও অবস্থানকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে সে বিষয়ে প্রচলিত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসে এবং এর ফলে জনসংখ্যা নীতির ব্যাপারে সব রাষ্ট্র এক অনন্য ঐক্যে পৌঁছে। এই নতুন ধারণা জনসংখ্যা নীতির ক্ষেত্রে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমানোর বদলে জীবন ব্যবস্থার উন্নতি বিশেষ করে নারীর উন্নতিতে জোর দেয়। এই ঐক্যের ফলে উদ্ভূত নীতি আরও ব্যাপকতা পেতে থাকে। জনসংখ্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক আলোচনায় নতুন মোড় আসে ১৯৯৪ সালে, কায়রোর জনসংখ্যা ও উন্নয়নবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে (আইসিপিডি)। এর আগের সম্মেলনগুলোতে মূল আলোচনার বিষয় ছিল উন্নয়নশীল দেশে মূলত পরিবার পরিকল্পনার মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা; কায়রোর সম্মেলনে জনসংখ্যা নীতি নিয়ে আলোচনার সুযোগ বিস্তৃত হয়। বিভিন্ন দেশের সরকার তখন মতামত দেন যে, জনসংখ্যা নীতিমালা পরিবার পরিকল্পনায় জোর না দিয়ে সামাজিক উন্নয়ন, বিশেষ করে নারীর উন্নয়নকে উদ্দেশ্য করে প্রণীত হওয়া উচিত এবং প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার একটি বৃহত্তর প্যাকেজ হিসেবে পরিবার পরিকল্পনার কাজ করা উচিত। এই নতুন লক্ষ্যের ভিত্তিতে বিশ্বাস করা হয় যে- ব্যক্তির স্বাস্থ্য ও অধিকার রক্ষিত হলে শেষপর্যন্ত প্রজনন হার হ্রাস পাবে এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও কমে যাবে। কায়রোর এই সম্মেলন সব দিক দিয়েই আগের সব জনসংখ্যা সম্মেলনের চেয়ে বড় ও ব্যাপক। এতে সরকারী, বেসরকারী (এনজিও), আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং সক্রিয় নাগরিকদের প্রায় ১১,০০০ প্রতিনিধি একত্রিত হন। মতামতের বৈচিত্র্যই ১৯৯৪ সালে এমন অভূতপূর্ব ঐক্যে পৌঁছাতে অবদান রাখে। মানব উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রসরতার জন্য জনসংখ্যার বিপুল বৃদ্ধির কারণ ও প্রভাব বিবেচনা করে সরকার, সকল রাজনৈতিক মতাদর্শ ও বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী মানুষ এই সুপারিশমালাগুলোকে সমর্থন করতে পারেন। যদিও প্রজনন স্বাস্থ্য, কিশোর-কিশোরীর যৌনতা এবং গর্ভপাত বিষয়ে ধর্ম ও আদর্শগতভাবে অনেক রকম মতের পার্থক্য আছে, তবুও কয়েকটি বাদে প্রায় সব দেশই এই চূড়ান্ত কর্মসূচীকে অনুমোদন দিয়েছে। আইসিপিডির প্রোগ্রাম অব এ্যাকশন পুরো বিশ্বের সম্প্রদায়কে এক করেছে এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এক নতুন মতৈক্যের প্রতিফলন ঘটিয়েছে। সংখ্যাতাত্ত্বিক জনসংখ্যার বিচারে নয়, ব্যক্তির অধিকার ও স্বাতন্ত্র্যই যে ব্যক্তির নিজের প্রজনন লক্ষ্য অনুধাবনের জন্য সর্বোত্তম পন্থা তা এই কর্মসূচী বলিষ্ঠভাবে প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রতিটি দেশ ও সম্প্রদায়ের জন্য প্রজনন স্বাস্থ্য ও ব্যক্তিগত অধিকার আদায় ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা যে আবশ্যিক দায়িত্ব, তা আইসিপিডির মাধ্যমে সফলভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। প্রোগ্রাম অব এ্যাকশন কায়রোর প্রোগ্রাম অব এ্যাকশন ছিল উচ্চাকাক্সক্ষা বিশিষ্ট- এর মধ্যে স্বাস্থ্য, উন্নয়ন এবং সামাজিক উন্নতি খাতে ২০০টি সুপারিশমালা ছিল। এই প্রোগ্রাম অব এ্যাকশনের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল সমন্বিত প্রজনন স্বাস্থ্য সেবাদানের সুপারিশ যার মধ্যে ছিল পরিবার পরিকল্পনাসহ নিরাপদ গর্ভকালীন ও প্রসবকালীন সেবা; গর্ভপাত (যেখানে বৈধ); যৌনবাহিত রোগ (এইচআইভি/এইডসসহ) প্রতিরোধ ও চিকিৎসা; যৌনতা বিষয়ে তথ্য ও পরামর্শ প্রদান এবং নারীর সঙ্গে যে কোন সহিংস আচরণ বন্ধ (যেমন- যৌনাঙ্গ কর্তন ও জোরপূর্বক বিয়ে)। কায়রোর প্রোগ্রাম অব এ্যাকশন প্রথমবারের মতো কোন আন্তর্জাতিক লিপিবদ্ধ নীতিমালাতে প্রজনন স্বাস্থ্যকে সংজ্ঞায়িত করে। এ সংজ্ঞায় বলা হয়- ‘প্রজনন স্বাস্থ্য হলো প্রজনন ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত সকল ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক কল্যাণমূলক অবস্থা এবং এটি কেবল রোগ বা অসুস্থতার অভাব নয়।’ এই প্রোগ্রাম অব এ্যাকশনে এও বলা আছে, প্রজনন স্বাস্থ্য সেবাতে অবশ্যই ব্যক্তির অধিকার বাড়াতে হবে। এ অধিকারের মধ্যে আছে ‘মুক্ত ও দায়িত্বশীলভাবে’ সন্তানের সংখ্যা ও দুই সন্তানের মাঝে বয়সের ব্যবধান নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার এবং সন্তোষজনক ও নিরাপদ যৌন জীবনের অধিকার। এই সংজ্ঞা শুধু অসুস্থতা ও মৃত্যু প্রতিরোধে স্বাস্থ্যসেবার যে প্রচলিত ধারণা আছে তাকে ছাপিয়ে যায় এবং সুস্থ ব্যক্তি গঠনে সার্বিক লক্ষ্য প্রচার করে। কায়রো পরবর্তী চলমান বিতর্ক কায়রোর সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কিছু সূক্ষ্ম মতাদর্শিক পার্থক্য দেখা যায় এবং এই বিভাজন আজও চলমান। কায়রোর সম্মেলনের পর থেকেই নারীস্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টাগণ প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকারকে সম্মেলনের ডকুমেন্টে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জোর চেষ্টা চালিয়েছেন এবং তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সভায় এ অধিকারগুলো পুনর্বিবেচনা করার জন্য সরকারগুলোকে আহ্বান জানিয়ে আসছেন। যদিও বেশিরভাগ সরকারই সমর্থন জানিয়েছেন, তবুও ভ্যাটিকান, কিছু ক্যাথোলিক রাষ্ট্র এবং বুশের শাসনাধীন ও বর্তমানে ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্র এই অধিকারগুলোর সংজ্ঞায়নের ব্যাপারে ডেমোক্রেটিক শাসনব্যবস্থার থেকে হাল্কা দূরে সরে গেছে। এর মধ্যে একটি মূল বিষয় হলো গর্ভপাত আদৌ প্রজনন স্বাস্থ্যের অংশ এবং সার্বজনীন অধিকার হিসেবে গণ্য হবে কি-না। কায়রোর সম্মেলনে মতৈক্যে এসে সাবধানী ভাষায় বলা হয়েছিল, ‘কোন ক্ষেত্রেই গর্ভপাতকে পরিবার পরিকল্পনার পদ্ধতি হিসেবে প্রচার করা যাবে না’ এবং ‘যেসব ক্ষেত্রে বা দেশে গর্ভপাত বৈধ, সেগুলোও নিরাপদ হতে হবে।’ তবে এই ঐকমত্য সময়ের সঙ্গে তার দৃঢ়তা রাখতে পারেনি। জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব এবং কায়রোর এজেন্ডা আদৌ কার্যকর কি-না সে বিষয়েও এখনও বিতর্ক চলে। কারণ, তরুণ জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশ তাদের নিজেদের সন্তান নেয়ার বয়সে চলে আসছে বা এসেছে, একবিংশ শতাব্দিতে তাই জনসংখ্যা উত্তোরত্তর আরও বাড়তে থাকবে। কিছু দেশের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাংলাদেশ ও মিসরসহ অনেক জায়গায়ই নব্বই দশকের দ্বিতীয়ার্ধে গড়ে খুব কম পরিবারেরই আকার হ্রাস পেয়েছে। এই জরিপ খুবই বিস্ময়কর ছিল কারণ, ১৯৭০ থেকে ১৯৯০-এর মধ্যে হঠাৎ করে খুব দ্রুতই এক পরিবারে ৫-৬টি সন্তান থেকে গড়ে ৩.৫টি সন্তানে নেমে আসে পরিসংখ্যান। গড়ে দুই সন্তানের বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত হতে এখনও অনেক দেরি আছে, কিছু কিছু সমাজ ব্যবস্থায় হয়ত তা কোনদিনই সম্ভব না। নারীর স্বাস্থ্য ও অধিকার রক্ষায় অগ্রগতি ছোট পরিবার গঠনে ভালভাবেই অবদান রাখতে পারে, তবে এই লক্ষ্য অর্জনে দরিদ্র জনগোষ্ঠীতে দীর্ঘমেয়াদী চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কারণ, সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নারীরাই সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভোগে এবং তাদের সুযোগ-সুবিধা সবচেয়ে সীমিত। Figure 1 World Population Projections, 2000–2050 *TFR (total fertility rate) is the average number of children a woman would have under prevailing age-specific birth rates. Source: UN Population Division, World Population Prospects: The 2002 Revision (2003). এই প্রচেষ্টা বিশ্ব জনসংখ্যার জন্য কোন ক্ষুদ্র পরিণতি নয়- জনসংখ্যা অনুমিতি থেকে দেখা যায়, পরিবারের আকারে গড় সন্তান ২.৫ এর জায়গায় ২ জন সন্তান হলেই ২০৫০ সালে বিশ্বে মোট জনসংখ্যার পার্থক্য দাঁড়ায় ১.৭ বিলিয়ন (ফিগার নং ১ দেখুন)। জনসংখ্যা নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনা আরও কিছু বিষয় প্রভাব বিস্তার করে। আফ্রিকার কিছু দেশে এইচআইভি/এইডস মহামারী আকারে ছড়িয়ে গেছে যা অন্যান্য স্বাস্থ্য ও উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে এবং এসব জায়গায় সরকারীভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে প্রচুর অর্থসহায়তা প্রয়োজন যাতে করে মানুষের জীবন বাঁচানো যায় ও জনসম্প্রদায়কে উদ্ধার করা যায়। এশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চল যেখানে জন্মহার ক্রমহ্রাসমান, সেখানে সরকারগুলো বয়স্ক জনগোষ্ঠী নিয়ে সমস্যায় পড়েছে এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য পর্যাপ্ত সামাজিক ও অর্থনৈতিক সহায়তারও অপ্রতুলতা আছে। এত বিতর্ক আর বাধাবিপত্তির মাঝেও অনেক দেশই জনসংখ্যা নীতি পুনর্বিবেচনা করে কার্যক্রমের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে এবং জাতীয় জনমিতিক লক্ষ্য অর্জনের চেয়ে ব্যক্তিগত চাহিদা পূরণের দিকে বেশি জোর দিচ্ছে। যৌনতা ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে যে ভাষা ১৯৯৪ সালে যুগান্তকারী বলে বিবেচিত হতো তা এখন বেশিরভাগ দেশের স্বাস্থ্য অভিধানের অংশ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনবহুল দুই দেশ ভারত ও চীনও নব্বই দশকের দ্বিতীয়ার্ধে নতুন উদ্যোগ নেয়া শুরু করে যার ফলে মানুষের প্রজনন স্বাস্থ্যের চাহিদা মেটাতে জাতীয় পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচীগুলো পুনর্বিবেচনা শুরু করে। আইসিপিডি পরবর্তী বাংলাদেশ সম্প্রতি জাতিসংঘ সদর দফতরে শেষ হয়ে যাওয়া জনসংখ্যা ও উন্নয়ন পরিষদের (কমিশন ফর পপুলেশন এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-সিপিডি) ৫২তম অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয় বাংলাদেশ আইসিপিডির প্রোগ্রাম অব এ্যাকশনের লক্ষ্য অর্জনে নিজেদের সেরা রীতিনীতি জনসংখ্যা ও উন্নয়নে সাউথ-সাউথ কর্পোরেশন ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ করে নিতে তৈরি আছে। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেয়া স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা মুরাদ হাসান (সাবেক) তার বক্তব্যে বলেন, ‘সাউথ-সাউথ কর্পোরেশন মডেলের সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার সুযোগের সদ্ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন অংশীদার দেশ ও জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার সেরা রীতিনীতি জানতে ও শিখতে অত্যন্ত আগ্রহী’। ১ এপ্রিল ২০১৯ এ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দফতরে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন পরিষদের ৫২তম অধিবেশনে বক্তৃতা দেন যা থেকে ‘আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব এ্যাকশন এবং ২০৩০ এজেন্ডা অর্জনে সাউথ-সাউথ কর্পোরেশন’ শীর্ষক এক আয়োজনের ব্যাপারে সর্বশেষ সরকারী অনুমোদনের তথ্য পাওয়া যায়। এতে আইসিপিডি সঙ্কল্প এবং প্রোগ্রাম অব এ্যাকশনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়। State Minister for Health and Family Welfare Md Murad Hassan speaks at the 52nd session of the Commission on Population and Development (CPD) at UN headquarters on Monday, April 1, 2019. Photo courtesy: UNB চলবে... লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পপুলেশন সার্ভিসেস এ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (পি.এস.টি.সি.)
×