ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে’

প্রকাশিত: ১০:১২, ১৩ জুলাই ২০১৯

 ‘বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা  অব্যাহত  থাকবে’

বিডিনিউজ ॥ পরিবেশবান্ধব প্রবৃদ্ধি দিয়ে বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার যে আকাক্সক্ষা নিয়ে এগোচ্ছে তা অর্জনে বিশ্ব ব্যাংকের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস্টালিনা জর্জিভা। এছাড়া, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনেও বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ১০ কোটি ডলার দেবে। দুদিনের বাংলাদেশ সফর শেষে বৃহস্পতিবার রাতে ফিরে যাওয়ার আগে তিনি একথা বলেন বলে বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সফরের শুরুতে তিনি বুধবার ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ঢাকা মিটিং অব দ্য গ্লোবাল কমিশন অন এ্যাডাপটেশন (জিসিএ)’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জর্জিভা। ওই অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি গ্রহণ করায় বাংলাদেশকে প্রশংসায় ভাসান তিনি। জর্জিভা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং শক্তিশালী দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশ্ব বাংলাদেশের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারে। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ফণী এবং ১৯৭০ সালে ভোলায় সংঘটিত ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার চিত্র তুলনা করলেই এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতা বোঝা যায়। ভোলার ঘূর্ণিঝড়ে যেখানে প্রায় ৫ লাখ লোক মারা গেলেও গত মে মাসের ফণীও প্রায় একই শক্তির ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি হয়েছে ১০ জনেরও কম। বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখন তীব্র হয়ে বারবার আঘাত হানছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে বিশ্ব ব্যাংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ বুধবারই দারিদ্র্যের কারণে প্রাথমিক স্কুল থেকে ঝরে পড়াদের জন্য পরিচালিত ‘আনন্দ স্কুল’ পরিদর্শন করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিভা। বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় সরকার এ প্রকল্পটি পরিচালনা করছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৬ লাখ ৯০ হাজার ঝড়ে পড়া দরিদ্র শিশু লেখাপড়া করছে, যার অর্ধেক মেয়ে শিশু। দেশের ১১ সিটি কর্পোরেশনের দরিদ্র বস্তিবাসীদের সন্তানদের এই আনন্দ স্কুলে লেখাপড়া করানো হয়। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পেও এই স্কুল পরিচালনা করা হচ্ছে। আনন্দ স্কুল পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জর্জিভা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ তাদের পরবর্তী প্রজন্ম সন্তানদের লেখাপড়া শিখিয়ে তাদের ভাল ভবিষ্যত তৈরি করতে যেভাবে সঙ্কল্পবদ্ধ হয়েছে, এতে আমি অভিভূত হয়েছি।’
×