ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাবনায় টিটিসির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রাতে ছাত্রীসহ আটক

প্রকাশিত: ০৯:৪১, ১৩ জুলাই ২০১৯

 পাবনায় টিটিসির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রাতে  ছাত্রীসহ আটক

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ১২ জুলাই ॥ সরকারী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের (টিটিসি) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলাকে গভীর রাতে এক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে পুলিশে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে তাদের আটক করে থানায় নেয় পুলিশ। পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবায়দুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পাবনা সরকারী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের (টিটিসি) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলাকে এক বিএড কোর্সের ছাত্রীর সঙ্গে রাতে অবস্থান করার সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ওই কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় তারা অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল বলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, গত দুই বছর ধরে বিএড উন্মুক্ত কোর্সের এক শিক্ষার্থী সিরাজগঞ্জ থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার এসে দুই দিন কলেজের ছাত্রী হোস্টেলে অবস্থান করে। মাঝে মধ্যেই ওই শিক্ষার্থী অধ্যক্ষের কক্ষে রাতে অবস্থান করতেন। বিষয়টি নিয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীরা চরম বিব্রত ও ক্ষুব্ধ ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে শিক্ষার্থীরা তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে পার্শ্ববর্তী পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম বাবু বলেন, টিটিসি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে অধ্যক্ষ এবং এক ছাত্রীকে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক দেখে রাত একটার দিকে পুলিশে খবর দিয়ে অভিযুক্তদের তারা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। রাতেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ছাড়াতে একটি মহল পুলিশের সঙ্গে দেনদরবার শুরু করলেও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি। এ বিষয়ে পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবনে মিজান জানান, অভিযুক্তদের সদর থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সহকারীকে ধর্ষণ ॥ ভুয়া ডাক্তারকে সোপর্দ নিজস্ব সংবাদদাতা লাকসাম থেকে জানান, দীর্ঘ ৩৫ ঘণ্টা র‌্যাব তত্ত্বাবধানে রেখে বৃহস্পতিবার রাতে আটককৃত ডিজিটাল হেলথ কেয়ারের ভুয়া ডাক্তার ধর্ষক মীর হোসেনকে থানায় সোপর্দ করা হয়। ওইদিন রাতে হেলথ কেয়ারের ধর্ষিত স্বাস্থ্য সহকারী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন, ধর্ষণ পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করে। শুক্রবার দুপুরে থানা পুলিশ ভুয়া ডাক্তার মীর হোসেনকে কুমিল্লা কোর্টে প্রেরণ করে। জানা যায়, লাকসাম ডিজিটাল হেলথ কেয়ারের স্বাস্থ্য সহকারী ধর্ষিতাকে (১৯) গত চার মাসে ৩০ বার ধর্ষণ করেন ডাঃ মীর হোসেন। কুমিল্লা র‌্যাব-১১ অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বুধবার দুপুরে লাকসাম জংশন হাজী শাহাজান মার্কেটে অবস্থিত ডিজিটাল হেলথ কেয়ার থেকে ভুয়া ডাক্তার মীর হোসেন, অপর স্বাস্থ্য সহকারী সাথীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যায়। র‌্যাব ওই সময় ডিজিটাল সেন্টারে তল্লাশি চালিয়ে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, ব্যবহৃত কনডম, ল্যাপটপসহ আটক করে নিয়ে যায়। র‌্যাব কুমিল্লা-১১ দীর্ঘ ৩৫ ঘণ্টা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ভুয়া ডাক্তার মীর হোসেন ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। ওই ডাক্তার স্বাস্থ্য সহকারী হিসাবে ধর্ষিতাকে গত ৪ মাস আগে ওই সেন্টারে চাকরি দেয়। চাকরির সুবাদে বিভিন্ন কারণে অকারণে তাকে কাছে নিয়ে গায়ে হাত দিত। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গত ৪ মাসে ৩০ বার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে জানান ওই তরুণী। কারও কাছে ধর্ষণের কথা বললে মিথ্যা মামলা ও চাকরিচ্যুত করার ভয় দেখাত। এ জন্য মুখ বুজে সব কিছু সহ্য করত। ধর্ষিতা আরও জানায়, ডাক্তার মীর হোসেন অসংখ্য যুবতীকে তার চেম্বারে নিয়ে ধর্ষণ করত। ধর্ষণ শেষে আমার শরীরে ইনজেকশন দিত। গতকাল ধর্ষিতা বাদী হয়ে লাকসাম থানায় ধর্ষণ আইনে মামলা করেন। এর আগেও লাকসামের তৎকালীন ইউএনও সফিউল আলম ওই চেম্বার সিলগালা করে দেন এবং জরিমানা আদায় করেন। কিছুদিন চেম্বার বন্ধ থাকার পর তদ্বিরের মাধ্যমে আবারও চেম্বার খুলে জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে আসছে। চুয়াডাঙ্গায় শিশু নিজস্ব সংবাদদাতা চুয়াডাঙ্গা থেকে জানান, সদর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের ৬ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বুধবার দুপুরে চকোলেট খাওয়ার লোভ দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক আব্দুল মালেক (৫০) পলাতক রয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ খান ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানান, বুধবার দুপুরে গোপীনাথপুর গ্রামের আব্দুল মালেক বাড়িতে স্ত্রী না থাকার সুযোগে ওই শিশুকে তার ঘরে ডেকে নেয়। এরপর চকোলেট দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। তিনি আরও জানান, ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে ধর্ষক আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। নীলফামারীতে নববধূ ধর্ষণ চেষ্টা স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী থেকে জানান, স্বামী সবুর আলীকে আটক করে নববধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ব্যর্থ হয়ে ৫ বখাটে যুবক তার শ্লীলতাহানি ঘটনায়। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের পূর্বখড়িবাড়ী কলোনিপাড়ার তিস্তা নদীর ধারে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে নববধূ বাদী হয়ে ৫জনের বিরুদ্ধে ডিমলা থানায় শুক্রবার দুপুরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ওই নববধূর সঙ্গে টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের পূর্বখড়িবাড়ী টাবুরচর এলাকায় শুকুর আলীর ছেলে সবুর আলীর ২৩ জুন বিয়ে হয়। ঘটনার দিন বিকেলে নববধূকে নিয়ে স্বামী সবুর আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফিরছিল। পথে টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের পূর্বখড়িবাড়ী কলোনিপাড়ায় তিস্তার ধারে ৫ বখাটে যুবক তাদের আটক করে। এ সময় তিন বখাটে সবুরকে আটকে রেখে অপর দুইজন তার স্ত্রীকে বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
×