ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ১১:০৫, ১২ জুলাই ২০১৯

  ঝলক

গোমাংসে পুতিনের মুখ ব্রিটেনের সাউথ লন্ডনের সঙ্গীতশিল্পী ম্যাট গর্ডন (৩৯) বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখাকৃতির মাংস ফ্রিজে প্যাকেটে করে রাখা দেখে আশ্চর্য হন। ক্রোয়ডনের সুপারশপ আলদিতে সম্প্রতি বাজার করতে গিয়ে এই অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী হন তিনি। আবারডিন আঙ্গাস প্রজাতির গরুর মাংসের প্যাকেটে ‘পুতিনের চেহারা’ দেখে তিনি প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। তাই সেটির ছবি তুলে ফেলেন সেই ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়তেই চলে আসে সংবাদেও। চমকে যাওয়ার ব্যাপারটি তুলে ধরে গর্ডন সংবাদমাধ্যমকে বলছিলেন, আমি নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তাই পিছু হটলাম। যে প্রতিচ্ছবি দেখলাম, সেটা সত্যিই বিস্ময়কর। গোমাংসের খন্ডটি পুতিনের চেহারার মতো। বার বার ওই মাংসের দিকে তাকাচ্ছিলাম এবং পুতিনের প্রতিচ্ছবিই যেন স্পষ্ট হচ্ছিল বার বার। তবে চমকে গেলেও সেই মাংস কেনেননি গর্ডন। তার কাছে বিষয়টি ‘ভবিষ্যত ঝামেলা’র বলেই মনে হয়েছে। হেসে দিয়ে গর্ডন বলেন, শেষ পর্যন্ত আমি ওই মাংস নেইনি। কারণ পুতিনকে রান্নার দায়-দায়িত্ব আমি নিতে চাইনি। কে জানে আমার ভাগ্যে কী ঘটত! নিজেকে ভাল রাখতে এতটুকু সতর্ক তো হতেই হবে। টুইটারের এক ব্যবহারকারী এই ছবির বিষয়ে লিখেছেন, রাশিয়া আলদি থেকে এই মাংস নিয়ে গেছে!’ সত্যিই কি নিয়ে গেছে? নিয়ে গেলে, কে জানে কী করবেন পুতিন! যদিও অনেকে ঘটনাটিকে সাজানো বলে মন্তব্য করেছেন। ক্রোয়ডনে আলদি সুপারশপ ক্রেতা টানতে ঘটনাটি সাজিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা অনেকের। -দ্য সান চেরনোবিলে ফুলের হাসি ১৯৮৬ সালের এপ্রিলে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউক্রেনের চেরনোবিলে পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের একটি চুল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট আগুন ১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। সেই সঙ্গে ’৪৫ সালে হিরোশিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়েও পাঁচ শ’ গুণ বেশি পারমাণবিক দূষণ ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশে। পারমাণবিক বিকিরণে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ২৩৭ জন। প্রথম তিন মাসে মারা যায় অন্তত ৩১। বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে তেজস্ক্রিয়তা। ধ্বংস হয় জীববৈচিত্র্য। পরিবেশ-প্রতিবেশ হয়ে ওঠে বিষাক্ত। এর প্রভাবে পরবর্তী অনেক বছর নানা রোগে আক্রান্ত হন হাজার হাজার মানুষ। এক পর্যায়ে ক্ষতি কমাতে দুর্ঘটনাস্থল ওই বিদ্যুত কেন্দ্রের চারপাশে ৩০ মাইলজুড়ে মানুষের বসবাস নিষিদ্ধ করা হয়- যা এখনও বলবত। তবে আশার কথা, সেই চেরনোবিলে এবার ফুল ফুটেছে। ছড়াচ্ছে সুবাস। সম্প্রতি চেরনোবিলের বিপর্যস্ত এলাকায় ফোটা কয়েকটি ফুলের ছবি প্রকাশ করেছে একটি রুশ ওয়েবসাইট। নানা রঙের এসব ফুলে যেন নতুন করে প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে ওই এলাকায়। ফুলের সুবাস ছড়াচ্ছে শাস্তির বার্তা। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ‘চেরনোবিল রেডিয়েশন এ্যান্ড ইকোলজিক্যাল বায়োস্পেয়ার রিজার্ভ’ নামে পোস্ট করা হয়েছে। ’৯৮ সালের দিকে বিশেষ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় কয়েকটি ঘোড়া ওই অঞ্চলে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে ‘পেরজলস্কি’ প্রজাতির এসব ঘোড়া বংশবৃদ্ধি করে। সেই সাফল্যে রোপণ করা হয় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। সেসব রোপিত গাছের ফলও বেশ সন্তোষজনক। এবার ফুলগুলো দিচ্ছে সম্ভাবনার এক নতুন বার্তা। -স্পুতনিক
×