ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১১:০৪, ১২ জুলাই ২০১৯

 উবাচ

আছে কি নেই! স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচন সামনে রেখে দেশে একটি জোট গঠন করা হয়েছিল। ওই জোটের নাম জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। জোটের সব থেকে বড় দল বিএনপি হলেও জোটের নেতা ছিল সবথেকে ছোট দল গণফোরামের। ফলে নির্বাচনে এই জোটের ভরাডুবির কে বড় নেতা, দল না জোট এই নিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন সকলে। ফলে যা ঘটার তাই ঘটেছে। জোট আছে না নেই তাই বোঝা অনেকটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জোটের অন্যতম নেতা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী সম্প্রতি এই জোট ছেড়ে গেছেন তাঁর কাছেও এ বিষয়টি দুর্বোদ্ধ হয়ে উঠেছিল। কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে যে জোট তারা গড়েছিলেন, নির্বাচনের পর গত সাত মাসে তার কোন অস্তিত্ব এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জাতীয় কোন সমস্যাকে তারা তুলে ধরতে পারছে না। এরকম একটি জোট যে আছে, তা দেশের মানুষ জানেই না। জোটের অন্যতম নেতার এই মূল্যায়নে নিশ্চয়ই ঐক্যফ্রন্ট বুঝতে পারবেন তাদের অবস্থা কী। মরিচা স্টাফ রিপোর্টার ॥ হরতালের সব আবেদন যেন ফুরিয়ে গেছে। এখন আর মানুষ হরতাল সমর্থন করেন না। আগে হরতাল ডাকলে যেমন রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যেত। স্কুল-কলেজ অচল হয়ে পড়ত এখন ঠিক তার উল্টো। সঙ্গত তারণে সময় এসেছে রাজনৈতিক দলগুলোর বিকল্প চিন্তা করার। বিরোধী বিএনপির রাজনৈতিক শক্তি নেহায়েত কম নয়। কিন্তু তারাও হরতালের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচী থেকে দিন দিন সরে আসছেন। কারণ হরতালই বিএনপির সবথেকে বড় ক্ষতি করেছে। লাগাতার অবরোধের নামে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্মমভাবে হত্যাকান্ড চালানোতেই বিএনপির আজ এই দশা। সাম্প্রতিক বাম জোটের হরতাল নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন আমি মনে করি বাংলাদেশে যারা মনে করেন হরতালের মাধ্যমে গণআন্দোলন করা যাবে, হরতাল এখন গণআন্দোলনের অস্ত্র নয়। হরতাল নামক অস্ত্রটিতে মরিচা ধরে গেছে। আন্দোলনের জন্য এখন হরতাল কার্যকর নয়। গণআন্দোলন স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভবিষ্যতে গণআন্দোলনের আশা দেখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। তাদের দলীয় চেয়ারপার্সনের মুক্তির দাবিতে নাকি ঘরে ঘরে মানুষ ফুঁসে উঠেছেন বলে তার কাছে খবর রয়েছে। তবে ফুঁসে ওঠা মানুষগুলো কেন এত দিন ঘরেই বসে রয়েছে সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি। সেলিমা রহমান দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আজকে আপনারা যে বলেছেন, জনগণের সম্পৃক্ততা ক্রমশ বাড়ছে, উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। আমরা জানি, এই উত্তাপ গণআন্দোলনে রূপ নেবে। যে কোন আন্দোলন যতক্ষণ গণআন্দোলনে রূপ না নেয়, সেই আন্দোলন কিন্তু ফলপ্রসূ হয়নি। আপনারা দেখেছেন ’৬৯ এর আন্দোলন, আপনারা দেখেছেন আমাদের ’৯০ এর আন্দোলন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের মুক্তি বলেন, গণতন্ত্রের মুক্তি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষাকারী বলেন, সব কিছুর জন্য বাংলাদেশের একজন আছেন, তিনি হচ্ছেন খালেদা জিয়া। আজকে প্রতিটি ঘরে ঘরে একটি আওয়াজই ধ্বনিত হচ্ছে, একটি আওয়াজই বারবার উচ্চারিত হচ্ছে- আমাদের দেশনেত্রী গণতন্ত্রের মাতা কবে মুক্তি পাবেন? কিন্তু আদৌ কি তাই! এই আওয়াজ তিনি কোথায় শুনতে পেলেন। এমন প্রশ্নই করছেন সকলে।
×