ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মধুপুর বনের জায়গা প্রভাবশালীদের দখলের হুমকি

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ১২ জুলাই ২০১৯

 মধুপুর বনের জায়গা প্রভাবশালীদের দখলের হুমকি

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১১ জুলাই ॥ এশিয়া মহাদেশের তৃতীয় বৃহৎ শাল গজারির বনাঞ্চল টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়াঞ্চল। এ বনের কিছু সংখ্যক জায়গা বর্তমানে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের লোকজন জবর দখল করার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন উপকারভোগীরা। মধুপুর বনের জাতীয় উদ্যানের রাজাবাড়ী বিটের আওতাধীন কিছু বনের জায়গা জবর দখল করার অভিযোগ করেন প্লট উপকারভোগীরা। উপকারভোগীরা বনদস্যুদের অত্যাচার ও হুমকির কারণে উচ্ছেদ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। জানা যায়, বনের জায়গা প্লট উপকারভোগী মধুপুর উপজেলার বেরিবাইদ ইউনিয়নের উপজাতি বীনেশ হাগিদগ, বিনীতা, সুরেলা রেমা, মোসলেম, শাজাহানসহ আরও অনেকে অভিযোগ করে জানান, স্থানীয় ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার কাঁঠালিয়া গ্রামের মৃত আবদুল মান্নান খন্দকারের ছেলে বাদশা খন্দকার, বছিরের ছেলে খোরশেদসহ একই উপজেলার পাহাড় পাবইজান গ্রামের হেকিম ম্যানেজারের ছেলে রমজান আলী আকন্দ, কালামের ছেলে সোলাইমান, মৃত নবাব আলীর ছেলে নওশের আলী স্থানীয় প্রভাবের কারণে বনের জায়গা জবর দখল করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। মধুপুর বনের জায়গায় রয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জ রসুলপুর। বিমান বাহিনীর লোকজনদের নাম ভাঙ্গিয়ে বনদুস্যরা বলে, বন বিভাগ তোদের যে প্লট দিয়েছে সেই প্লট বিমান বাহিনীর লোকজন আমাদের লিজ দিয়েছে। তোরা বনের জায়গা ছেড়ে দে, আমরা ফলের বাগান করব। আর যদি জায়গা আমাদের না দেস তাহলে বিঘা প্রতি সাড়ে ৪ হাজার করে টাকা দিতে হবে বলে দাবি করে। আর যদি টাকা না দেস, তাহলে তোদের ওই জায়গা থেকে উঠিয়ে দিব। তোদের বনের অফিসাররাও আমাদের ফিরাতে পারবে না। বনের প্লটের উপকারভোগী মধুপুর উপজেলার বেরিবাইদ ইউনিয়নের উপজাতিরা জানায়, আমরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি। আমাদের এই মধুপুর বনের জায়গা যাতে বনদস্যুরা জবর দখল করতে না পারে। তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হোক। এ বিষয়ে মধুপুর বনের জাতীয় উদ্যানের রাজাবাড়ী বিট কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানান, মধুপুর গড়াঞ্চল একটি ইতিহাস ঐতিহ্য সমৃদ্ধ বনাঞ্চল। মধুপুর বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ হারাতে বসেছে এই বনদুস্যদের কারণে। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
×