ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নদীর পানি দূষিত থাকায় যাত্রীগণ ওয়াটার বাসে যাতায়াতে কম আগ্রহী : নৌ- প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১০ জুলাই ২০১৯

নদীর পানি দূষিত থাকায় যাত্রীগণ ওয়াটার বাসে যাতায়াতে কম আগ্রহী  : নৌ- প্রতিমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ দ্রুতগামী ওয়াটার বাস না থাকা ও নদীর পানি দুষিত থাকায় যাত্রীগণ ওয়াটার বাসে যাতায়াতে কম আগ্রহী বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকার চারপাশে নৌ-পথ চালুকরনে (১ম পর্যায় ২০০০-২০০৫ এবং দ্বিতীয় পর্যায় ২০০৮-২০১৩) দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে সদরঘাট হতে আশুলিয়া এবং আশুলিয়া হতে কাঁচপুর পর্যন্ত ১২০ ফুট প্রশস্ততা ও ৬ ফুট ড্রাফট বিশিষ্ট নৌপথ চালু করা হয়েছে। বর্তমানে নৌ-পথটি উক্ত ড্রাফটে চালু আছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী জানান, ঢাকার চারপাশের নৌপথে ১৫টি ল্যান্ডিং স্টেশনে বিভিন্ন নৌযানের মাধ্যমে মালামাল পরিবাহিত হয়। মালামাল উঠানামার জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ঘাটসমূহ হতে ১১ দশমিক ৭৮ কোটি টাকা ইজারা দেওয়া হয়েছে। নৌ-পথটিতে কার্গো চলাচল করে। ঢাকা শহরের চারপাশে বৃত্তাকার নৌ-পথে বিআইডব্লিউটিসি’র মাধ্যমে বর্তমানে বাদামতলী হতে গাবতলী এবং টঙ্গী হতে নারায়নগঞ্জ নৌ রুটে নিয়মিত ওয়াটারবাস সার্ভিস পরিচালনা করা হচ্ছে। দ্রুতগামী ওয়াটার বাস না থাকা ও নদীর পানি দূষিত থাকায় যাত্রীগন ওয়াটার বাসে যাতায়তে কম আগ্রহী। তিনি বলেন, ঢাকা শহরের চারদিকে নদীর তীর ভূমি হতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত তীর ভূমিতে ঢাকা নারায়নগঞ্জ ও টঙ্গী নদীর বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন উচ্ছেদকৃত তীরভূমিতে অবকাঠামো সুবিধা নির্মাণ ২০১১ সালের জুলাই হতে ২০১৪ সালের জুন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ২০ কি.মি. ওয়াকওয়ে, বনায়ন ও ২টি ইকোপার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি জানান, ২০১৯ সালের জানুয়ারি হতে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত ৪৫০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ঢাকার চারদিকে নদীর তীর ভূমির প্রায় ১৩৫ দশমিক ৫০ একর ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় নিলামের মাধ্যমে ৭ কোটি ৫৮ হাজার টাকা এবং ২৭ লাখ ৬ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। বর্তমানে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর উচ্ছেদকৃত তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীর রক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৮৪৮ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আরো ৫২ কি.মি. ওয়াকওয়ে, ১০ হাজার ৮২০টি সীমানা পিলার বনায়ন ৩টি ইকোপার্ক, ৬টি পল্টুন, ৪০ কি.মি. ওয়াল, ১৯টি আরসিসি জেটি, ৪০টি স্পাড ও ৪০৯টি বসার বেঞ্জ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে, যা ২০২২ সালের মধ্যে শেষ হবে।
×