ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অনিয়মের অভিযোগ

গাজীপুর সিটির ১৪ কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ০৮:৫৫, ১০ জুলাই ২০১৯

গাজীপুর সিটির ১৪ কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ অর্থ আত্মসাত, নিয়মবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণের প্ল্যান অনুমোদন, ফাইল আটকে মেয়র ও কাউন্সিলরের নাম ভাঙ্গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীসহ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৪ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬ জনকে চাকরি হতে অব্যাহতি, ৩ জনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং ৫ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ৫ জনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার জেলা শহরের নগর ভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিটি মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ওইসব তথ্য জানিয়েছেন। মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মোট ১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে চাকরি হতে অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন- গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ডের সচিব মাহাবুব আলম, ২৪নং ওয়ার্ডের সচিব জহির আলম, ৪২নং ওয়ার্ডের সচিব মোঃ আক্তার হোসেন, ৩২নং ওয়ার্ডের সচিব মাহাবুবুর রহমান, ৩৪নং ওয়ার্ডের সচিব মোঃ নাদিম হোসেন ও ৪৯নং ওয়ার্ডের সচিব মোঃ মুক্তার হোসেন। ফাইল আটকে মেয়র ও কাউন্সিলরের নাম ভাঙ্গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে তাদের চাকরি হতে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এদিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের এ্যাকাউন্ট ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ আদায় করে আত্মসাতের অভিযোগে টঙ্গী জোনের সাবেক হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম, নিয়মবহির্ভূতভাবে নগরী এলাকায় বাসা ও ফ্যাক্টরির ভবন নির্মাণের প্ল্যান (পেছনের তারিখ) অনুমোদন করে দেয়ার অভিযোগে সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম এবং ফাইল আটকে মেয়র ও কাউন্সিলরের নাম ভাঙ্গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে গাছা জোনের লাইসেন্স কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা কামালকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সিটি কর্পোরেশনের ৫ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে। তারা হলেন- কর নির্ধারণ কর্মকর্তা আতাউর রসুল ভূইয়া, অফিস সহায়ক সোহেল, কর আদায় সহযোগী কালাম, জমি জরিপ শাখার সাইফুল ও কর নির্ধারণ সহযোগী কামরুজ্জামান। সংবাদ সম্মেলনে সিটি মেয়র আরও জানান, ট্যাক্স, পানি ও বিদ্যুত শাখার অপর ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
×