ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৮:৩০, ৯ জুলাই ২০১৯

 ঢাকার দিনরাত

ঝড়-বাদলার তেমন একটা খবর নেই (আষাঢ়ের যা বৈশিষ্ট্য) অথচ রাজধানীর প্রাণভোমরার ওপর দিয়ে যথারীতি বয়ে চলেছে নানা ধরনের ঝড়ঝঞ্ঝা। গভীর কথায় না গিয়ে সোজা করেই শুরু করা যাক। আবারও রাজধানীর রাস্তার পাশের গাছ ভেঙ্গে পড়ার ঘটনা ঘটল। শুক্রবার তেজগাঁও কলেজের সামনে গাড়ির ওপর একটি কড়ইগাছ ভেঙ্গে আহত হয়েছেন দুই ব্যক্তি। সাময়িকভাবে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের পাশে ঝুঁকিপূর্ণ গাছ সরিয়ে নতুন চারাগাছের প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এসব দুর্ঘটনার ঝুঁকি কিংবা অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু এড়াতে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষ থাকলেও ঝুঁকি নিরসনে উদ্যোগী হতে দেখা যাচ্ছে না কোন সংস্থাকেই। শিশু ধর্ষণ ও হত্যা শোক এবং প্রতিবাদ আমার ছোটবেলা কেটেছে যশোরে। স্কুল থেকে ফিরে গোসল আর কোনমতে খাওয়া মুখে পুরেই খেলতে চলে যেতাম বাইরে। কতবার আম্মু কানে ধরে বাসায় নিয়ে এসেছে কেননা বিকেলে খেলতে যাওয়ার অনুমতি ছিল, দুপুরে নয়। তবুও বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করার ধৈর্য কারোরই ছিল না। খেলতে খেলতে কত দূরে চলে যেতাম মাঝে মাঝে। নদীর পারে বসে থাকতাম ঘন্টার পর ঘণ্টা শুশুক দেখব বলে। সেখানে ছিল ওয়ার্কার কলোনি। ওরা আমাদের ডাব কেটে এনে দিত পানি খেতে চাইলে। সন্ধ্যায় কবরস্থানের পাশ দিয়ে দিতাম ভো দৌড়। সাপ আছে জানতাম তাই সবাই তালি বাজিয়ে হাঁটতাম। সাপের ভয় পেতাম, ভূতের ভয় পেতাম। কখনও পুরুষের ভয় তো পাইনি! তখন সব পুরুষগুলো মানুষ ছিল বোধহয়! এখন অনেকেই হিংস্র জানোয়ার, লকলকে জিহ্বা আর রক্ত চক্ষুর কিম্ভূতকিমাকার কুৎসিত জানোয়ার। উপরের কথাগুলো একজন মায়ের, যিনি আছেন ফেসবুকে আমার বন্ধু তালিকায়। পোস্টটি পড়ে কিছুক্ষণ হতবাক হয়ে থাকি। চলতি সপ্তাহের ‘ঢাকার দিনরাত’ লেখা শুরুর আগে এক সহকর্মী জানালেন, শিশু সায়মার ধর্ষক ধরা পড়েছে। তার ছবিও চলে এসেছে অনলাইনে। দেখলাম ছবিটা। তরুণ বয়সী একজন। কোন মাদ্রাসা শিক্ষক হলে হয়ত চমকাতাম না। কেননা শনিবার ফতুল্লার এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষ ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। পরদিন নেত্রকোনার এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষ স্বীকার করেছে ৮ জনকে ধর্ষণের কথা। এর আগে ফেনীর মাদ্রাসা অধ্যক্ষ নুসরাত কাণ্ড ঘটিয়েছে। একের পর এক মাদ্রাসা শিক্ষকের ভয়ঙ্কর অপরাধের কাহিনী সংবাদপত্রে আসতে শুরু করেছে। টিভিতে তাদের স্বীকারোক্তি শোনা যাচ্ছে। প্রতিদিনই একই প্রশ্ন শুনছি : শিশু ধর্ষণ কি বেড়ে গেল হঠাৎ করে? আমার এক ছোট ভাই একটা পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। পরিসংখ্যানটির চিত্র তুলে দিতে গিয়ে সে লিখেছে : ‘সাত বছরের শিশু মেয়েটি প্রতিদিন বিকেলে খেলতে বেরোয়। ঢাকা শহর, বাইরে তো খেলার জায়গা নেই, ফ্ল্যাটেই খেলাধুলা করে। মেয়েটির খেলার সঙ্গী ওপরতলার ফ্ল্যাটের তারই সমবয়সী আরেকটি মেয়ে। শুক্রবার বিকেলে মেয়েটি খেলতে ওপরতলায় যায়, সঙ্গী মেয়েটি বাইরে যাবে তাই খেলতে পারবে না বলে, মেয়েটি বাসায় ফিরে আসবে বলে লিফটে ওঠে। সাত বছরের মেয়েটির আর বাসায় ফেরা হয় না, সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও শিশুটির খোঁজ না পেয়ে আশপাশে ফ্ল্যাটে খোঁজ শুরু হয়, রাত আটটায় ভবনের সবচেয়ে ওপরের তলার শূন্য ফ্ল্যাটের রান্নাঘরে মেয়েটির রক্তে ভেজা মৃত্যুদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। হাসপাতাল জানিয়েছে, মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়, ধর্ষণের পর গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করা হয় সাত বছরের শিশু মেয়েটিকে। মেয়েটির নাকে মুখে ছিল রক্ত।’ ঢাকার ওয়ারীতে শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সারাদেশেই এ নিয়ে আলোচনা চলছে। ধর্ষণ রোধে কোন মেকাজিমই কি কাজে আসছে? কয়জন ধর্ষককে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে, কতজন শেষ পর্যন্ত শাস্তি পাচ্ছে- এসবের পরিসংখ্যান নিতে গেলে হতাশ হতে হয়। চাঞ্চল্যকর বেশকিছু ধর্ষণের বিচার সম্পন্ন হয়নি। তার পরও সম্প্রতি ধর্ষকদের পাকড়াও করা হচ্ছে আগের তুলনায় ঢের বেশি। বিশেষ করে যেসব ঘটনা গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারিত হয় সেগুলোর আসামিদের ধরার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আশাতীত তৎপরতা দেখাতে সমর্থ হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে শিশু সায়মা ধর্ষণকারী ও হত্যাকারীকে পুলিশ ধরে ফেলেছে। ধর্ষকদের কী শাস্তি দেয়া হবে? আইন করে মৃত্যুদন্ড দেয়া হোক- এমন দাবিতে বহু লোক সোচ্চার। আবার লিঙ্গ কর্তনের বিষয়টিও অনেকেই উল্লেখ করে থাকেন। একটি ধর্ষণের ঘটনা সমাজের ওপর নিঃশব্দে গভীরতর চাপ তৈরি করে। এটি নারী সমাজকে বিশেষভাবে ক্ষুব্ধ ও অপমানিত করে। তার চেয়েও বড় কথা, এটি তাদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি ও নিরাপত্তাহীনতার বোধের জন্ম দেয়। নগরীর একটি বড় অনুষঙ্গ হলো ফ্ল্যাটবাড়ি। সেই নিরাপদ আবাসিক স্থানেই শিশুকন্যার ওপর বর্বর আক্রমণ হলে সমাজে বিপুল অসন্তোষ ও ক্ষোভ তৈরি হবে- এটাই স্বাভাবিক। আমাদের স্বীকার করতে হয়ত লজ্জা হবে, তাই অনেকে স্বীকার করবেন না যে একটি সমাজে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পুরুষের (বিভিন্ন বয়সী) মধ্যে অবদমিত ও বিকৃত যৌন বাসনা থাকে। সুযোগ পেলে সেই বাসনা চরিতার্থ করার জন্য সে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তার মনুষ্যত্ববোধও তখন সাময়িকভাবে লোপ পায়। কিন্তু যদি তাদের মনে নিশ্চিত শাস্তির ভীতি জাগিয়ে তোলা সম্ভব হয়, সেক্ষেত্রে বাধ্য হয়েই নিজেকে সে সংযত রাখবে। তাই জোরেশোরে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। শাসক মহলকেও লক্ষ্যযোগ্য ভূমিকা রাখতে হবে। এ কাজে যত দেরি হবে ততই ক্ষতি বাড়বে। আর একটি কথা। পারিবারিক মূল্যবোধের পুনর্জাগরণও ঘটানো দরকার। ধনী-গরিব যে পরিবারই হোক না কেন, অভিভাবকরা ছেলে-সন্তানের নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলায় বিশেষ উদ্যোগী হতে পারেন, যাতে তারা কখনই ধর্ষক না হয়ে ওঠে। পানিতে মলের জীবাণু! ওয়াসার পানি নিয়ে ওয়াসার কর্তাব্যক্তির অসম্ভব দাবি আমরা শুনেছি। তা নিয়ে বিদ্রুপের রেশ না ফুরোতেই নতুন তথ্যের বিস্ফোরণ। ওয়াসার পানিতে এবার পাওয়া গেল ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, মলের জীবাণু। ওয়াক থু! ঢাকা ওয়াসার ১০টি জোনের মধ্যে চারটি জোন এবং সায়েদাবাদ ও চাঁদনীঘাট এলাকা থেকে সংগৃহীত পানির আটটি নমুনাতে দূষণ পেয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটি। এসব এলাকার পানিতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও উচ্চ মাত্রার এ্যামোনিয়া পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও কিছু কিছু নমুনাতে মলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর বিশ্বব্যাংক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ অনিরাপদ উৎসের পানি পান করে। ৪১ শতাংশ পানির নিরাপদ উৎসগুলোতে রয়েছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। ১৩ শতাংশ পানিতে রয়েছে আর্সেনিক। পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা পানিতে এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৮২ শতাংশ। ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে সে প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ। এর পর ওই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৬ নবেম্বর রাজধানী ঢাকায় পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। পরে ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও আইসিডিডিআরবির প্রতিনিধির সমন্বয়ে ওই কমিটি গঠিত হয়। এর পর ওই কমিটিকে ২০১৯ সালের ২১ মে পানি পরীক্ষার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। ঢাকাবাসী কবে নিরাপদ পানি পাবে ? ৩ সড়কে রিক্সা তুলে দেয়া মানি আর নাই মানি বাস্তবতা হলো গলির ভেতর রিক্সারোহী প্রাইভেটকার দেখে বিরক্ত হয়; অপরদিকে প্রধান সড়কে গাড়ির আরোহী (বা মালিক) ভাবে ওই রিক্সা আবার আমার গাড়ির ক্ষতি করবে না তো? ব্যস্ত ও প্রধান সড়কে একই সঙ্গে যান্ত্রিক যান ও অযান্ত্রিক যান চলা রীতিসিদ্ধ নয় যদি না পৃথক লেনে উভয় শ্রেণীর যানের চলাচল নিশ্চিত করা যায়। যেখানে লেন নেই, বা থেকেও লেনের কার্যকারিতা নেই, সেখানে উভয় ধরনের সমান্তরাল যান চলাচলে সমস্যা তৈরি হবেই। কিন্তু আমরা ভুলে যাচ্ছি না, ঢাকা কালে কালে রিক্সার শহর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সেই রিক্সাকে রাতারাতি গায়েব করে দেয়া সম্ভব নয়। রাজধানীতে অধিবাসীদের অনুপাতে যদি পর্যাপ্ত গণপরিবহন চালু থাকত তাহলে বড় রাস্তায় লোকে রিক্সায় চলত না প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে। রিক্সা চলত কেবল পাড়া-মহল্লায়, অলিগলিতে। এতসব কথা উঠছে ঢাকার প্রধান তিনটি সড়ক থেকে রিক্সা তুলে দেয়ার নিয়ম চলতি সপ্তাহের শুরুতে কার্যকর হওয়ার কারণে। পাঠক জানেন, রাজধানীর যানজট নিরসনে পৃথক তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রিক্সা চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র। ঘোষণা অনুযায়ী গাবতলী থেকে আজিমপুর (মিরপুর রোড), সায়েন্স ল্যাব থেকে শাহবাগ ও কুড়িল থেকে খিলগাঁও হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত সড়কে এখন থেকে আর রিক্সা চলবে না। গত ১৯ জুন ডিটিসিএর এক বৈঠকে ‘ঢাকা মহানগরীর অবৈধ যানবাহন দূর/বন্ধ, ফুটপাথ দখলমুক্ত ও অবৈধ পার্কিং বন্ধে’ একটি কমিটি গঠন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এই কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে সড়কে শৃঙ্খলা আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মন্ত্রী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কী প্রতিক্রিয়া হয়েছে রিক্সা তুলে দেয়ায় তা বোঝার জন্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে প্রধান যে মতটি জোরালো মনে হলো তা এ রকম : রিক্সা চলুক কারণ যারা রিক্সা চালায় তারা একেবারেই সাধারণ মানুষ, তাদের পেটে লাথি মারা যাবে না। অপরদিকে যারা রিক্সায় যাতায়াত করেন তারাও মধ্যবিত্ত অথবা নিম্ন-মধ্যবিত্ত অথবা ছাত্রছাত্রী অথবা কাছাকাছি যাতায়াতের জন্য অল্প খরচে এটাই একমাত্র যানবাহন। এই জন্য ঢাকা শহরের সব এলাকাতে রিক্সার জন্য ভিন্ন লেন তৈরি করা হলে হয়ত সবাই উপকৃত হবে। একজন সাহিত্যিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সাহিকিত্যকরা হন জাতির বিবেকসম। তাই তাদের অভিমত বিবেচনায় নিতে হয়। সাহিত্যিক আহমাদ মোস্তফা কামাল লিখেছেন : ‘ঢাকার অনেক রাস্তা থেকে রিক্সা তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। এতে নাকি যানজট কমবে! যদিও এর কোন সত্যতা নেই। এর আগে যেসব রাস্তা থেকে রিক্সা তুলে দেয়া হয়েছিল সেগুলোতে যানজট তো কমেইনি, বরং বেড়েছে। এসব সিদ্ধান্ত যারা নেন তারা বিপুল সংখ্যক রিক্সাচালক এবং যাত্রীদের কথা একবারও ভাবেন না। যে পরিবারে গাড়ি নেই অথচ বৃদ্ধ বা অসুস্থ মানুষ আছেন, সেই পরিবারের কাছে রিক্সার বিকল্প বাহন কী? তাদের জন্য কী বিপুল দুর্ভোগ বয়ে আনবে এই সিদ্ধান্ত তা কি একবারও ভেবেছেন নগরকর্তারা? এই শহরের গণপরিবহনের অবস্থা সবাই জানেন। নারী, শিশু এবং বৃদ্ধ মানুষদের জন্য রীতিমতো ভীতিকর এখানকার পরিবহন ব্যবস্থা। তারা বরং কিছুটা স্বস্তি বোধ করেন রিক্সা ব্যবহার করতে। তাদের কথাই বা ভাববে কে? রিক্সার জন্য আলাদা লেন তৈরি করে যে সমস্যার সমাধান করা যায়, তা না করে রিক্সা বন্ধ করে দেয়ার মানে কী? শহরটা কি শুধু গাড়িওয়ালাদের? নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি পর্যন্ত আলাদা রিক্সা লেন তৈরি করে ভাল ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে বহু বছর ধরে। তা হলে অন্য রাস্তাগুলোতে সেটা করতে বাধা কোথায়? জানি আমাদের কথা এখন আর কোথাও পৌঁছে না। সমস্ত সিদ্ধান্তই নেয়া হয় স্বৈরাচারী কায়দায়। তবু বলব, রিক্সা তুলে দেয়ার এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসুন। প্রতিটি রাস্তায় আলাদা রিক্সা লেন তৈরি করুন। সবার কথা ভাবুন। মনে রাখবেন- এই শহর শুধু গাড়িওয়ালাদের নয়।’ ৭ জুলাই ২০১৯ [email protected]
×