ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনে বিদ্রোহীদের পক্ষে অবস্থান নিলে আর এমপির টিকেট নয়

প্রকাশিত: ১০:২০, ৮ জুলাই ২০১৯

 নির্বাচনে বিদ্রোহীদের পক্ষে অবস্থান নিলে আর এমপির টিকেট নয়

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নৌকা মার্কার বিরোধিতা করে যারা বিদ্রোহীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল তাদের অবশ্যই শাস্তি হবে। কোন এমপি বা মন্ত্রী যদি দোষী হয় পরবর্তীতে তাকে আর মন্ত্রী করা হবে না বা এমপির টিকেট দেয়া হবে না, এটা কি তার জন্য শাস্তি নয়? শুধু দল থেকে বহিষ্কার করলেই কি শাস্তি হয়? দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার আশকারা পেলে এর প্রবণতা বাড়ে। তাই আমরা এর লাগাম টেনে ধরতে চাই। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বামজোটের ডাকা হরতাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বামজোটের হরতালে জনগণের সাড়া মেলেনি। ঢাকা শহরে হরতালের কোন চিহ্ন ছিল না, ছিল যানজট। হরতাল এখন গণআন্দোলনের অস্ত্র নয়। হরতালের অস্ত্রে মরিচা ধরে গেছে। রবিবার দুপুরে ধানম-ির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের সম্পাদকম-লীর বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, গ্যাসের দাম সমন্বয় করার জন্য মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ কারণে গ্যাসের দাম বাড়ানো অযৌক্তিক হয়নি। এই বাস্তবতা বুঝে এ হরতালে জনগণের সাড়া দেয়নি। রাজধানী ঢাকাসহ কোথাও হরতাল হয়নি। জনজীবনে হরতালের কোন প্রভাব ছিল না। রাস্তাঘাট ও পরিবহন ব্যবস্থা সবকিছু ছিল স্বাভাবিক। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির পরও ভর্তুকি দিতে হবে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি বাস্তবসম্মত। গ্যাসের দাম বাড়ানোয় ভোটের রাজনীতিতে নেগেটিভ প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ভোটের রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, এ কথা ভেবে আমরা রাজনীতি করি না। আমরা রাজনীতি করি, সঠিকভাবে, বাস্তবসম্মত, যুক্তিসঙ্গত বিষয় বিবেচনা করে, জনগণের স্বার্থে। জনগণের স্বার্থ দেখতে কতগুলো বিষয়ে ভারসাম্য রক্ষা করতে হয়। সবকিছু মিলে দেশ একটা সুষম অবস্থায় আছে। দেশের অর্থনীতির কথাও আমাদের ভাবতে হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘এলএনজি ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে’ অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা বিরোধীদের গতানুগতিক বক্তব্য। একই ধরনের বক্তব্য জ্বালানি বিশেষজ্ঞরাও দিচ্ছেন জানালে তিনি পাল্টা সেই বিশেষজ্ঞের নাম জানতে চান। এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যথাসময়ে দলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেই প্রস্তুতি, লক্ষ্য, উদ্যোগ আমাদের আছে। তিনি বলেন, বৈঠকে ১৫ আগস্ট সামনে রেখে মাসব্যাপী কর্মসূচী, জাতীয় সম্মেলনের সাংগঠনিক প্রস্তুতি, বিভিন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কারও কারও অবস্থানের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি জানান, দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান ২১ জুলাই শুরু হবে। তবে এর আগে এ বিষয়ে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ‘সরকার খালেদা জিয়ার মুক্তি আটকে রেখেছে’ মর্মে বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন ও কৃতিত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। খালেদা জিয়ার বিষয়ও বিচার বিভাগের বিষয়। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডাঃ রোকেয়া সুলতানা, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন, আমিরুল ইসলাম. আজমত উল্লাহ খান, মারুফা আক্তার পপি, পারভীন জামান কল্পনা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×