ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে নিলেন মাশরাফি

প্রকাশিত: ১০:১৯, ৮ জুলাই ২০১৯

 ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে নিলেন মাশরাফি

মিথুন আশরাফ ॥ বিশ্বকাপের এখনও তিন ম্যাচ বাকি। দুই সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ বাকি। দিন হিসেবে এখনও বিশ্বকাপ শেষ হতে সাতদিন বাকি। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ দিয়ে ১৪ জুলাই শেষ হবে বিশ্বকাপ। কিন্তু বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে আগেই। রবিবার বিকেলে দেশেও ফিরেছে বাংলাদেশ দল। দেশে ফিরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বিশ্বকাপে ব্যর্থতা নিয়ে কথাও বলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। সব দায় নিজের কাঁধে তুলে নেন। কোন দল ভাল করলে যে খেলোয়াড় ম্যাচ জেতান, তার প্রশংসাই চতুর্দিকে থাকে। বাংলাদেশ দলই একটু ভিন্ন। সাফল্যে শুধু ম্যাচ জেতানো ক্রিকেটারই প্রশংসা পান না, সঙ্গে অধিনায়ক মাশরাফিও প্রশংসায় ভাসেন। তিনি যে সবসময় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রেরণা হয়ে ধরা দেন। দলকে উদ্দীপ্ত করে রাখেন। ক্রিকেটারদের মধ্যে লড়াকু ভাব তৈরি করে দিয়ে সেরাটা বের করে আনেন। কিন্তু এবার বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপে বড় স্বপ্ন নিয়ে খেলতে গিয়েও ব্যর্থ হয়। আর সেই ব্যর্থতার দায় মাশরাফি নিজেই নিয়ে নিলেন। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রেখে মাশরাফি বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেব দায়িত্ব নিতে হতো। ভাল খেলা উচিত ছিল। দল সেমিফাইনালে যেতে না পারায় কিংবা প্রত্যাশা অনুযায়ী ভাল না খেলার দায়ভার অধিনায়ক হিসেবে আমার।’ এবার ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ খেলে বাংলাদেশ। এর আগে সেরা সাফল্য বলতে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপেই কোয়ার্টার ফাইনালে খেলে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে এর আগে সর্বোচ্চ ম্যাচ জেতার সাফল্য বলতে তিন ম্যাচ জেতা গেছে। এবার যে কোন সময়ের চেয়ে সেরা দল ছিল। তাই ম্যাচ জয়ের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে অন্তত সেমিফাইনালে খেলবে দল সেই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু তিন ম্যাচের বেশি এবারও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ২ জুলাই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি হারতেই মূলত বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গিয়েছিল। ৫ জুলাই পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি ম্যাচ বাকি ছিল। সেই ম্যাচ জিতলে সাফল্য নিয়ে দেশে ফেরা যেত। কিন্তু হার হওয়াতে ব্যর্থতাই ঘিরে ধরেছে। বিশ্বকাপ দলে ছিলেন ১৫ ক্রিকেটার। মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহঅধিনায়ক), তামিম ইকবাল খান, লিটন কুমার দাস, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ মিঠুন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুশফিকুর রহীম, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, সাব্বির রহমান, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী, সৌম্য সরকার ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত দলে ছিলেন। এ ক্রিকেটারদের মধ্যে বিশ্বকাপে এবার আলোড়ন ঘটানো দুই সেঞ্চুরি ও পাঁচ হাফ সেঞ্চুরিতে ৮৬.৫৭ গড়ে ৬০৬ রান করা সাকিব আল হাসান দেশে ফিরেননি। তিনি পরিবার নিয়ে কয়েকদিন ইউরোপ ঘুরে বেড়াবেন। সাকিবের সঙ্গে ইংল্যান্ড ঘুরে বেড়ানোর জন্য লিটন, সাব্বির ও মিরাজও দলের সঙ্গে ফিরেননি। এছাড়া বাকিরা দেশে ফিরেন। দেশে ফিরে দলের যে অবস্থা হয়েছে বিশ্বকাপে তা নিয়ে মাশরাফিও চরম হতাশা প্রকাশ করেন। বলেন, ‘যে প্রত্যাশা নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলাম সেই জায়গা থেকে আমরা হতাশ। তবে আমরা যেভাবে বিশ্বকাপে খেলেছি সেটা ভাল দিক বলে মনে করছি। বেশ কিছু ম্যাচে যদি-কিন্তুর ওপর নির্ভর করা বিষয়গুলো আমাদের পক্ষে থাকলে আমরা সেমিফাইনালে যেতে পারতাম। তবে আমাদের খেলার ধরন ভাল ছিল।’ সত্যিই তাই। হতাশা আছে। তবে বাংলাদেশ এবার বিশ্বকাপে শেষ সপ্তাহ বাদ দিয়ে আগের বাকি সময়টুকুতে যেভাবে লড়াকু মনোভাব দেখিয়ে বিশ্বকাপ খেলেছে, তাতে প্রশংসা কুড়িয়েছে। শুরুটাই করেছে দুর্দান্ত। মাঝপথেও তা বজায় রেখেছে। দ্বাদশ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়েও দেয়া গেছে। একের পর এক ক্রিকেটারের চোটে বাংলাদেশ দল শেষ পর্যন্ত ভাল করে কিনা সেই শঙ্কাও শুরু থেকেই ছিল। সঙ্গে আবার বিশ্বকাপের বিজ্ঞাপন হয়ে ওঠা ‘৩৫০’ রানের বাধাও সামনে ছিল। কিন্তু কি সুন্দরভাবেই প্রথম ম্যাচেই ৩৫০ রানের (৩৩০ রান) কাছাকাছি করে ফেলল বাংলাদেশ। তা সম্ভব হলো মুশফিকুর রহীম (৭৮) ও সাকিব আল হাসানের (৭৫) রেকর্ড গড়া ১৪২ রানের জুটিতে। ম্যাচটি আবার প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টাইগাররা ২১ রানেও জিতে গেল। এমন অসাধারণ শুরুর পর বাংলাদেশ দল যে আত্মবিশ্বাস আর মানসিকতায় আরও চাঙ্গা হয়ে উঠল। শুরুটা সব দল সবসময়ই ভাল করতে চায়। বাংলাদেশের শুরুটাও হলো উজ্জ্বল। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কম রান (২৪৪ রান) করেও জয়ের আশা তৈরি করা গেল। শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে হার হলো। এই হারে বাংলাদেশ দলের আফসোস থাকলেও দুর্বল হওয়ার কিছুই থাকেনি। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরের ম্যাচটিতে সাকিবের ১২১ রানের ইনিংসের পরও যোগ্য সঙ্গ না পাওয়ায় ১০৬ রানের হারটি একটু হলেও মানসিকতায় আঘাত করেছিল। সেই আঘাত থেকে নিজেদের দ্রুতই উতরে নেয় মাশরাফিবাহিনী। কারণ সামনে যে থাকে শ্রীলঙ্কা। যে শ্রীলঙ্কাকে এখন বেশি হারায় বাংলাদেশ। লঙ্কানদের হারানোর আশাও ছিল। ফেবারিট ছিল বাংলাদেশই। কিন্তু বৃষ্টি ম্যাচটি হতে দিল না। সেমিফাইনালে ওঠার ক্ষেত্রে যা ধাক্কা দিল। সেই ধাক্কা সামলেও নেয়া গেল। সামনে যে পড়ল এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যে দলটিকে ত্রিদেশীয় সিরিজে তিনবার হারিয়েছে বাংলাদেশ। এবারও হারানোর আশা ছিল। সেই আশা পূরণও হলো। এমন খেলাই দেখাল বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের গড়া ৩২১ রান টপকে জিতে গেল বাংলাদেশ। তা সম্ভব হলো এবার বিশ্বকাপে ঐশ্বরিক কিছু ভর করা সাকিবের সেঞ্চুরিতে (১৪২)। সঙ্গে লিটন কুমার দাস (৯৪*) প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েই এমনভাবে নিজেকে মেলে ধরলেন, সাকিবের সঙ্গে ১৮৯ রানের জুটিতে বিশেষ ভূমিকা রাখলেন। দলও এত বড় লক্ষ্য তাড়া করে রেকর্ড গড়ে প্রথমবার জিতল। ৭ উইকেটে জিতল। এই জয় বাংলাদেশকে সেমিফাইনালের স্বপ্নে ভাসাতে থাকল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এত বড় টার্গেট অতিক্রম করে ফেলায় এরপর অস্ট্রেলিয়াকেও হারানোর আত্মবিশ্বাস জন্মে গেল। মাশরাফি বিন মর্তুজা যে শুরু থেকেই ক্রিকেটারদের মনের ভেতর জাগিয়ে তুলেছিলেন, লক্ষ্য যেমনই হোক, খেলা যে রকমই হোক; শেষ পর্যন্ত হাল ছাড়া যাবে না। লড়াকু মনোভাব থাকতে হবে। সেটি কাজে লাগল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া এত বেশি রান (৩৮১ রান) করে ফেলল যে তা অতিক্রম করা বাংলাদেশের কাছে দুঃসাধ্যই ছিল। এরপরও যে লড়াকু মনোভাব দেখালেন ব্যাটসম্যানরা, দল ৩৩৩ রান পর্যন্ত গেল। এবার মুশফিক (১০২) সেঞ্চুরি করলেন। আর তার সেঞ্চুরিতে এতদূর আশা গেল। বাংলাদেশ দলকে নিয়ে আগে থেকেই প্রশংসা ছিল চতুর্দিকে। অসিদের বিপক্ষে এতটা দুর্দান্ত খেলায় এবার বিশ্ব ক্রিকেটে ‘প্রাণের দল’ হয়ে উঠল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সেমিফাইনালে খেলা উচিত। এমনটিও বলতে থাকেন বিশ্বের গ্রেট ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশের তখনও শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বলই ছিল। মুশফিকের (৮৩) দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সঙ্গে সাকিবের ব্যাটিং (৫১) ও এবার বিশ্বকাপ সেরা বোলিংয়ে (৫/২৯) আফগানিস্তানকে ৬২ রানে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ। সেমিফাইনালের স্বপ্ন আরও বাড়ল। তিন জয় হয়ে গেল। এখন কোনভাবে দুই জয় বা এক জয় মিললেও বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলতে পারে এমন সম্ভাবনা জাগল। ‘যদি-কিন্তু’র বেড়াজালে সব হিসেব আটকে ছিল। কিন্তু আশা ছিল। ভারতের বিপক্ষে যখন ২৮ রানে হার হলো তখন সব হিসেব শেষ হলো। ৩১৫ রানের টার্গেট খুব বড় লক্ষ্য ছিল না। বাংলাদেশতো এ বিশ্বকাপে এ রানে খুব সহজেই করে ফেলছিল। কিন্তু সাকিবের (৬৬) সঙ্গে এদিন একটি বড় জুটি গড়ার দরকার ছিল। কেউ পারলেন না। ভারতের ইনিংসে শেষ মুহূর্তে মুস্তাফিজুর রহমান (৫/৫৯) দুর্দান্ত বোলিং করে রানের চাকা দুর্বল রাখতে পারলেও কাজে দিল না। টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা ব্যাটসম্যানরা যে এবার ব্যর্থ হলেন। তাতে করে বাংলাদেশের হার হলো। যে হার কোনভাবেই যেন মেনে নেয়া যাচ্ছিল না। এখান থেকেই হতাশার যেন শুরু হয়ে গেল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ১০ রানে থাকা ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচটি সাব্বির রহমান রুম্মন ধরতে না পারায় দেড় শ’ রানের ওপরে ইনিংস খেললেন ওয়ার্নার। ম্যাচ হারল বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ৯ রানে থাকা রোহিত শর্মার সহজ ক্যাচটি ধরতে পারলেন না তামিম ইকবাল। সেঞ্চুরি করলেন রোহিত। বিষয়গুলো খুব জোরালোভাবে সামনে চলে আসতে থাকল। ক্যাচ মিস আর ফিল্ডিং মিসের সঙ্গে বাজে বোলিংয়ে বারবার ডুবেছে বাংলাদেশ। সেই বিষয়গুলোও সামনে চলে আসতে থাকল। মাশরাফির মতো ক্রিকেটার, নেতা; যিনি দলকে এতদূর এনেছেন, এক সুতোয় গেঁথে রেখেছেন, তার ৮ ম্যাচে ৫৬ ওভারে ৩৬১ রান দিয়ে মাত্র ১ উইকেট নেয়া ব্যর্থ বোলিং নিয়েও কাটাছেড়া তুমুলভাবে হতে থাকল। একটা সময়তো বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচেই না অবসর ঘোষণা করে দেন, এমন আলোচনাও শুরু হয়ে যায়। কিন্তু মাশরাফি দেশের মাটিতে সিরিজ জেতা কোন ম্যাচ খেলেই অবসর নেবেন। তামিমের ব্যর্থ ব্যাটিংয়ের সমালোচনাও হতে থাকল। যার কাছ থেকে এত আশা, তিনি কিনা একটি হাফ সেঞ্চুরি ছাড়া আর কোন বড় ইনিংস খেলতে পারেননি! এমন অবস্থায় তবুও সাফল্য নিয়ে ঘরে ফেরা যেত। যদি পাকিস্তানকে হারানো যেত। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের আরও খারাপ অবস্থা হলো। টুর্নামেন্ট জুড়ে যে বাংলাদেশ দল অনায়াসেই তিন শ’ রান করে ফেলে, তারা শেষটা রাঙিয়ে তুলবে কি, পাকিস্তানের গড়া ৩১৫ রানের সামনে পড়ে ছন্নছাড়া হয়ে পড়ল। বিশ্বকাপে এবার নিজেদের সর্বনি¤œ ২২১ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ। ৯৪ রানে হারল। এত সমালোচনা, এত হতাশা, এত চাপ, পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার ¯œায়ুচাপ নিতে পারল না টাইগাররা। আর তাতে করে বাংলাদেশ ও মাশরাফির বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটা রাঙিয়ে তোলা গেল না। এই এক হারে বিশ্বকাপটাও ব্যর্থতায় ভরে গেল। সবচেয়ে বাজে হারটি যে পাকিস্তানের সঙ্গেই হলো। ইংল্যান্ডের সঙ্গে যে হার হয়েছে তা আরও বড় ব্যবধানে। কিন্তু পাকিস্তানকেতো এখন বলে কয়েই যেন হারায় বাংলাদেশ। সর্বশেষ এশিয়া কাপেও পাকিস্তানকে হারিয়েছে। সেই দলটির বিপক্ষে এমন হার, প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিপক্ষে এমন হার, কোনভাবেই যেন মেনে নিতে পারেননি ক্রিকেটভক্তরা। তাই শুরুটা যেভাবে আকর্ষণীয় হলো শেষটা ততই নিরানন্দ হলো। ব্যাট হাতে সাকিবের সঙ্গে মুশফিক (৮ ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও দুই হাফ সেঞ্চুরিতে ৫২.৪২ গড়ে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সেরা ৩৬৭ রান) ও বল হাতে মুস্তাফিজের (বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেরা ২০ উইকেট) সঙ্গে সাইফউদ্দিন (১৩ উইকেট) উজ্জ্বলতা ছড়ান। বাকিরা ব্যর্থ হন। তাতে দলও ব্যর্থ হয়। মাশরাফি ভাগ্যকেও দুষলেন। বলেছেন, ‘ভারত ম্যাচ পর্যন্ত কাগজে-কলমে আমাদের সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ ছিল। সাকিব-মুশফিক (৮ ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও দুই হাফ সেঞ্চুরিতে ৫২.৪২ গড়ে ৩৬৭ রান) কিংবা মুস্তাফিজ (২০ উইকেট)-সাইফউদ্দিনরা (১৩ উইকেট) ছাড়া অন্যরা ধারাবাহিক ছিল না। বিশ্বকাপের মধ্যে বৃষ্টিতে বেশ কিছু ম্যাচ ভেসে গেছে। আমাদের মতো, অন্য দলেরও তাতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এছাড়া ভাগ্যও আমাদের পক্ষে ছিল না।’ ভাগ্যকে শেষ পর্যন্ত দুষছেন মাশরাফি। তবে দেশে আসার পর দলের ব্যর্থতার দায়ও আবার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন।
×