ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে বড় দরপতন

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ৮ জুলাই ২০১৯

শেয়ারবাজারে বড় দরপতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নানামুখী উদ্যোগের পরও দেশের শেয়ারবাজার স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরছে না। রবিবারও শেয়ারবাজারে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখা গেছে। অর্থাৎ রবিবার ব্যাপক পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও। জানা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৩৩ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১২ পয়েন্ট ও শরিয়াহ সূচক ২০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ২২১ ও ১ হাজার ৮৯০ পয়েন্টে। সূচকের সঙ্গে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেনও কমেছে। ডিএসইতে ৪১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৮৭ কোটি টাকার। অর্থাৎ ডিএসইতে লেনদেন ৭২ কোটি টাকা কম হয়েছে। ডিএসইতে ৩৫৩টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৭টির বা ২৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে ২৩৯টির বা ৬৮ শতাংশের এবং ২৭টি বা ৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর লেনদেন শেষে অপরিবর্তিত রয়েছে। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে জেএমআই সিরিঞ্জের। এদিন কোম্পানিটির ১৩ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা এশিয়ান টাইগারর সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ডের ১২ কোটি ৭৭ লাখ টাকার এবং ১২ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে আসে রানার অটোমোবাইলস। ডিএসইর সার্বিক লেনদেনে উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে : ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন কেবল, সিনোবাংলা, সিলকো ফার্মা, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল এবং ন্যাশনাল পলিমার। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১২০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৩৪৯ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৬৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৭৬টির, কমেছে ১৬১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির দর। আজ ১৮ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
×