ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পল্লী এলাকার ঋণের প্রধান উৎস এনজিও

প্রকাশিত: ০২:৫৮, ৭ জুলাই ২০১৯

পল্লী এলাকার ঋণের প্রধান উৎস এনজিও

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পল্লী এলাকার ৬৩.২৮ শতাংশ মানুষ এনজিও থেকে ঋণ নিচ্ছে বলে পরিসংখ্যান ব্যুরোর কৃষি ও পল্লী পরিসংখ্যান রিপোর্ট-২০১৮ -এ উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, গ্রামে ব্যাংকের শাখা থাকলেও জনগণের কাছাকাছি পৌঁছুতে পারেনি। ফলে সেখানকার মানুষের ঋণের অন্যতম প্রধান উৎস এনজিও। রবিবার রাজধানীর আগাঁরগাও-এ পরিসংখ্যান ভবনে প্রতিবেদনটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ব্যুরোর অতিরিক্ত সচিব বিকাশ কুমার দাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা আক্তার। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক আক্তার হোসেন খান। অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, গ্রামে ব্যাংকগুলোর শাখা থাকলেও সেগুলো জনগণের কাছাকাছি পৌঁছুতে পারেনি। ফলে গ্রামে এনজিওর প্রাধান্য বিদ্যমান। অধিকাংশ মানুষই ফসল উৎপাদনের জন্য এনজিও থেকে ঋণ নিচ্ছে। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পল্লী এলাকার ৬৩.২৮ শতাংশ লোক এনজিও থেকে ঋণ নিচ্ছে। এছাড়া ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে ২৬.০৩ শতাংশ, মহাজনদের কাছ থেকে ৩.৬৭ শতাংশ এবং আত্মীয় স্বজনদের কাছ নিচ্ছে ৩.৭৫ শতাংশ মানুষ। এ ঋণ নেওয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে ফসল আবাদ। প্রতিবেদনে বলা হয়, পল্লী এলাকার মানুষদের ৬২.১৫ শতাংশ ঋণ নেয় ফসল আবাদের জন্য। এছাড়া পশুপালনের জন্য ৮.৫৪ শতাংশ, বাড়ি নির্মাণ বা মেরামতের জন্য ১২.৩৩ শতাংশ, চিকিৎসার জন্য ৪.৯৪ শতাংশ, শিক্ষার জন্য ২.৪৭ শতাংশ, বিবাহের জন্য ৪.১১ শতাংশ এবং অন্যান্য উদ্দেশ্যে ঋণ নেয় ৫.৪৬ শতাংশ মানুষ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পল্লী এলাকার এক একটি পরিবার বার্ষিক আয় করে ২ লাখ ২ হাজার ৭২৪ টাকা। এর মধ্যে কৃষিখাত থেকে আসে ৭৭ হাজার ৪৫৮ টাকা এবং অকৃষিখাত থেকে আসে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৬৭ টাকা। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পল্লী এলাকায় মোট ১২ কোটি ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩৬৫ জন বসবাস করে। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ১৮ লাখ ৭৩ হাজার ৮১২ জন, মহিলা ৫ কোটি ৮৭ লাখ ১ হাজার ৮০৩ জন এবং হিজড়া ২২ হাজার ৭২০ জন।
×