ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘প্রথাগত চাকরির জগত বদলে যাবে’

আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলছি ॥ দীপু মনি

প্রকাশিত: ১০:২৬, ৬ জুলাই ২০১৯

 আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলছি ॥ দীপু মনি

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলছি। এর ফলে প্রথাগত চাকরির জগত বদলে যাবে। নতুন ধরনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে, সে কর্মসংস্থানের জন্য এখন থেকেই কারিকুলাম তৈরি করতে হবে। সে জন্য ইন্ডাস্ট্রি এবং এ্যাকাডেমির মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। আমরা বিশ^বিদ্যালয়ে আসি জ্ঞান অর্জনের জন্য। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের বিষয়টি ফেলে দেয়া যায় না। তাই শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জন করতে হবে, দক্ষতা বাড়াতে হবে। জ্ঞানার্জন না করে চাকরির কথা ভাবলে তার জায়গা বিশ্ববিদ্যালয় নয়। শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আয়োজনে ঢাবির টিএসসি মিলনায়তনে ‘প্রসঙ্গ উচ্চশিক্ষা: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনয়নের কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা স্বচ্ছতা চাই। এর বাইরে ভিন্ন কিছু চাই না। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে শুধুমাত্র নিবন্ধন পরীক্ষা ও এনটিআরসি’র মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে, অন্য কোন মাধ্যমে নয়। সেখানে পরিপূর্ণ স্বচ্ছতা আনা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কিভাবে শিক্ষক নিয়োগ হবে, এর জন্য কোন কমিশন গঠন করা হবে কিনা তা ভাবার সময় এসেছে। তিনি মান সম্মত শিক্ষা অর্জনের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি সৎ হলাম না আমি পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হলাম না তাহলে সেই শিক্ষাকে আমি মানসম্মত শিক্ষা বলতে পারব না। এর সঙ্গে কমিউনিকেশন স্কিল, সহ-শিক্ষা কার্যক্রম বাড়াতে হবে। তা হলে পেশাগত জীবনে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজকে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের লাইব্রেরির কথা বারবার বলা হচ্ছে। আমি এটুকু বলতে পারি, এবারের বাজেট তো হয়ে গেছে, আগামীবারের বাজেটের আগেই এ বিষয়গুলোকে বাজেটের মধ্যে যতটুকু সম্ভব জায়গা করে দিব। আমাদের শিক্ষার্থীরা পরিবারের বিশাল দায়িত্ব মাথায় রেখেই বিসিএসের দিকে ধাবিত হয়। বিসিএসের দিকে ঝোঁকা দোষের কিছুনা। তবে সেটা যেন প্রকৃত জ্ঞান থেকে দূরে সরে না হয়। মুখ্য বক্তার বক্তব্যে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, সামাজিক নিরাপত্তার অভাবে আমাদের শিশুরা শিক্ষা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আমাদের দেশে পরিপূর্ণ ব্রেন ড্রেইন হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা সুযোগ সুবিধার অভাবে বিদেশ গেলে আর ফিরে আসতে চায় না। সবদিকে অবদান রাখার পরও আমাদের বিশ^বিদ্যালয় এখনও স্পেশাল স্ট্যাটাস অর্জন করতে পারেনি। আমাদের বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষক মূল্যায়ন হয় না। মূল্যায়ন আমরাই করতে দিই না। করতে দিলে আমাদের রাজনীতি বন্ধ হয়ে যাবে।
×