ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক ॥ প্রধানমন্ত্রী ফিরছেন আজ

রোহিঙ্গা সমস্যা দ্রুত সমাধানে ঢাকা-বেজিং মতৈক্য

প্রকাশিত: ১০:২০, ৬ জুলাই ২০১৯

রোহিঙ্গা সমস্যা দ্রুত সমাধানে ঢাকা-বেজিং মতৈক্য

ঢাকা ও বেজিং দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে সম্মত হয়েছে। শুক্রবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই মতৈক্য হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় দিয়াওউয়াতি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র সচিব মোঃ শহীদুল হক বলেন, ‘দুই নেতা প্রথমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সম্মত হয়ে বলেন, এটি অমীমাংসিত রাখা যাবে না।’ খবর বাসসর। পররাষ্ট্র সচিব জানান, চীনের প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এ ব্যাপারে চুক্তি স্বাক্ষরের পর দু’বছর পেরিয়ে গেছে। পররাষ্ট্র সচিব দুই নেতাকে উদ্ধৃত করে আরও বলেন, ‘কিভাবে এই সমস্যার সমাধান হবে এ ব্যাপারে আমাদের মধ্যে কোন দ্বিমত নেই। রোহিঙ্গারা অবশ্যই তাদের নিজ দেশে ফিরে যাবে।’ শহীদুল হক বলেন, উভয় নেতা উল্লেখ করেন যে এ ব্যাপারে দু’দেশের প্রতিনিধিরা এক সঙ্গে কাজ করবে এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে তারা মিয়ানমারের ওপর ‘গুড উইল’ কাজে লাগাবে। চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ ফজলুল করিম ও প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মোঃ নজরুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে, যা দেশের জন্য পরিবেশ ও নিরাপত্তার দিকে থেকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যেতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ চীনের ‘গুড উইল’ কামনা করে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, তার দেশ এর আগেও রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করেছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। পররাষ্ট্র সচিব চীনের প্রেসিডেন্টকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আমরা চাই রোহিঙ্গারা ফেরত যাক।’ জিনপিং বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মিয়ানমারে যেসব মন্ত্রী কাজ করেন তারা আবারও বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন। আশা করা যায়, এতে এ সঙ্কট নিরসনের আরেকটি সুযোগ সৃষ্টি হবে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্টকে এ সঙ্কটের বিষয়টি সুন্দরভাবে অবহিত করেন। ভোজ সভায়ও এ আলোচনা উঠে আসে। শহীদুল হক বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে কিছু প্রশ্ন ছিল। আর প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্টকে তাদের ‘গুড উইল’ ব্যবহারের অনুরোধ জানান। জিনপিং বলেন, যেহেতু এটি আন্তর্জাতিক দৃষ্টির সামনে উঠেছে সেহেতু এর পুনরাবৃদ্ধির সম্ভাবনা খুবই কম। তিনি বলেন, ‘আমরা এ সঙ্কট সমাধানে যতটা সম্ভব চেষ্টা করব। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দু’দেশই আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমাদের কাছে দু’দেশই সমান, কেউ কম বা বেশি নয়।’ চীনের প্রেসিডেন্ট আশ্বাস দেন যে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দু’টিই যেহেতু উন্নয়নশীল দেশ, সেহেতু তারা (চীন) দু’দেশের স্বার্থই দেখবেন। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দুই নেতার মধ্যে বৈঠকটি খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা ছিল খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ ও উন্মুক্ত, যা বিভিন্ন সমীকরণ ও রসায়নের বহিঃপ্রকাশ। বৈঠক চলাকালে দুই নেতার অঙ্গভঙ্গি উৎসাহব্যঞ্জক ছিল উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘ প্রধানমন্ত্রীকে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা পরস্পরের সত্যিকারের বন্ধু হয়ে থাকব।’ তিনি বলেন, ‘অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে দুই নেতার মধ্যকার সম্পর্ক প্রকাশিত হয়েছে।’ শহীদুল হক বলেন, ‘একই সঙ্গে আমরা দেখতে পাই যে দু’দেশের সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে একটি পরিণত আখ্যান এসেছে।’ চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশকে চীনের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা দুই প্রতিবেশী দেশ উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছি।’ জিনপিং বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করে বলেন, দু’দেশ পরস্পরের উন্নয়ন থেকে শিক্ষা নিতে পারে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দুই নেতা গুরুত্ব আরোপ করে বলেন যে তাদের গন্তব্য হলো জনগণের উন্নয়ন। তিনি বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট জাতীয় নীতি ও আন্তর্জাতিক উভয় পর্যায়ে দুই দেশের মধ্যে অভিন্ন বোঝাপড়া রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। জিনপিং দু’দেশ পরস্পরের চ্যালেঞ্জ ও অগ্রাধিকারসমূহ বুঝতে পারে উল্লেখ করে বলেন, ‘এটি সম্পর্কের পরিপক্বতার বহিঃপ্রকাশ।’ চীনের প্রেসিডেন্ট তার দেশ সবসময় বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টার পাশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা আশা করি এটি ভবিষ্যতে আরও গভীর ও জোরদার হবে।’ দুই নেতা বলেন, তারা দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। চীনের সহযোগিতায় বাংলাদেশে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরকালে বেশকিছু প্রকল্প বাস্তবায়নে দু’দেশের মধ্যে ২৭টি চুক্তি ও এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। তিনি এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। শেখ হাসিনা এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করণে সময় মতো তহবিল ছাড়ে ঋণ চুক্তির শর্তাবলী সহজ করার জন্য চীনের প্রেসিডেন্টের প্রতি অনুরোধ জানান। জবাবে জিনপিং বলেন, এ ব্যাপারে তিনি যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ইস্যু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিপরীতে বিশাল বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা হ্রাসে চীনা কোম্পানিগুলোর উচিত আমাদের দেশে বিনিয়োগ করা। বাংলাদেশে চীনের কোম্পানিগুলোর জন্য দু’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চীনের উদ্যোক্তারা অন্যান্য অর্থনৈতিক অঞ্চলেও বিনিয়োগ করতে পারেন। বাংলাদেশ সরকার দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছে। জবাবে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা এ ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন এবং বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা হ্রাসে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাবেন বলে আশ্বাস দেন। শহীদুল হক বলেন, উভয় পক্ষ জাতিসংঘে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। বৈঠকে উভয় পক্ষ বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডোরের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। এ করিডোর চীন, বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের জন্য একটি নতুন বাজার উন্মুক্ত করবে। এসময় অন্যান্যের মধ্যে চেয়ারপার্সন অব ন্যাশনাল এডভাইজারি কমিটি ফর অটিজম এন্ড নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার্স সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্টের দেয়া নৈশভোজে অংশ নেন। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি নেতার আশ্বাস ॥ চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রভাবশালী নেতা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সং তাও নিশ্চিত করেছেন যে তার দল কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়না (সিপিসি) সমঝোতার ভিত্তিতে দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর আউং সান সুচি ও অন্যান্য নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তিনি বলেন, সমঝোতার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধানে আমরা আউং সান সুচিসহ মিয়ানমারের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করব। শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় দিয়ায়োতাই রাষ্ট্রীয় গেস্ট হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতকালে সিপিসি নেতা এ আশ্বাস দেন। খবর বাসসর। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভায় যোগদান এবং চীনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ৫ দিনের সরকারী সফরে এখন চীন রয়েছেন। সিপিসি নেতার সঙ্গে সাক্ষাত শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মোঃ নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। চীনের বীরদের প্রতি শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা ॥ এদিকে বিডিনিউজ জানায়, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল চারটার দিকে প্রধানমন্ত্রী বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে পৌঁছে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের শুরুতেই দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এরপর বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে চীন বিপ্লবে আত্মত্যাগকারীদের স্মৃতির উদ্দেশে তিয়েনআনমেন স্কয়ারে স্মৃতিসৌধ বানানো হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বেসরকারী খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম প্রমুখ। চীনের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে শেখ হাসিনার সাক্ষাতকার ॥ বাণিজ্য সম্প্রসারণে আঞ্চলিক সহযোগিতা জরুরী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এজন্য আরও নতুন দ্বার খুঁজছে বাংলাদেশ। চীন সফরে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে একথা জানিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর অংশগ্রহণে সদ্য সমাপ্ত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলন অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে বলেও সাক্ষাতকারে জানান শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বলেন, নিশ্চিতই বলা যায়, এই সময়ে এ অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। এখানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছে। তারা নিজেদের মধ্যে ব্যবসার নানা পরিকল্পনা ভাগাভাগি করেছেন। শেখ হাসিনা বলেন, এখন আসলে পৃথিবীটা ‘গ্লোবাল ভিলেজে’ পরিণত হয়েছে। এখানে কেউ একা চলতে পারে না। আমাদের জনগণের আশা আকাক্সক্ষা পূরণ আর জীবনমান উন্নয়ন করতে হলে, আমি সবসময়ই আঞ্চলিক সংযোগকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চীন ও প্রতিবেশী অন্য দেশগুলোর সঙ্গে কি করে আরও বেশি সহযোগিতা বাড়ানো যায় সে বিষয়টিই খুঁজছি। সত্যি বলতে কি চীন তো আমাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করেই যাচ্ছে। আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে চীনের অনেক কোম্পানিই আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, আপনি হয়তো জেনে থাকবেন, আমরা বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার মিলে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি, যেটাকে বলা হয় বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডর। আমরা আশা করছি এই চুক্তি, আমাদের ব্যবসা বাণিজ্যে ও বিনিয়োগে নতুন দ্বার উন্মোচন করবে। আজ দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী ॥ এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং’র আমন্ত্রণে চীনে তার পাঁচদিনের সরকারী সফর শেষে শনিবার দেশে ফিরবেন। স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি-১৭২৩) ঢাকার উদ্দেশে বেজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে। বিমানটির বাংলাদেশ সময় অপরাহ্নের পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
×