ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে নাক গলাবেন না সোনিয়া ও রাহুল

প্রকাশিত: ০৯:১৭, ৬ জুলাই ২০১৯

 কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে  নাক গলাবেন না  সোনিয়া ও রাহুল

ভারতের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি কে হচ্ছেন তা জানতে উদগ্রীব দলটির সমর্থকরা। বুধবার এ পদ থেকে পদত্যাগ করেন রাহুল গান্ধী। এরপর বৃহস্পতিবার উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএসের এক মামলায় হাজিরা দিতে মুম্বাই আদালতে যান রাহুল গান্ধী। এখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরবর্তী সভাপতি নির্বাচনে আমি কোন ভূমিকা নিতে চাই না। কংগ্রেস নেতৃত্ব আলোচনার মাধ্যমে সভাপতি ঠিক করবে। তবে এ সময় মোদি ও আরএসএসের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন রাহুল। খবর এনডিটিভি ও জিনিউজ অনলাইনের। তিনি বলেন, কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরে এসেছি। তার মানে এই নয় আমার লড়াই থেমেছে। মোদি ও আরএসএসের বিরুদ্ধে আমার লড়াই আরও ১০ গুণ বাড়বে। পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে বর্তমান কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ইউপিএ প্রধান সোনিয়া গান্ধীও রাহুলের সুরেই কথা বলেছেন। খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের কিছু শীর্ষ নেতা সোনিয়া গান্ধীর কাছে যান পরবর্তী সভাপতি বাছাই নিয়ে পরামর্শ করতে। এ সময় সোনিয়া জানান, অস্থায়ী বা স্থায়ী সভাপতি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তিনি কোন রকম নাক গলাবেন না। কারণ তিনি কোন নাম প্রস্তাব করলে ফের অভিযোগ উঠতে পারে যে, গান্ধী পরিবার তাদের কোন অনুগামীকেই পদে বসাচ্ছে। কংগ্রেস সভাপতি পদে এখনও মল্লিকার্জুন খাড়গে ও ৭৭ বছর বয়সী দলিত নেতা সুশীলকুমার শিন্ডের নামই ঘুরে ফিরে আসছে। আবার অশোক গহলৌত, কুমারী শৈলজা, মুকুল ওয়াসনিকের নামও তালিকায় রয়েছে। পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডক্টর মনমোহন সিংকে সভাপতি করে কয়েকজন কার্যকরী সভাপতি রাখার চিন্তা ভাবনাও রয়েছে। কংগ্রেসের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সভাপতি ইস্তফা দিলে প্রবীণতম সাধারণ সম্পাদক অস্থায়ী সভাপতি হন। সে দিক থেকে মোতিলাল ভোরার নামও উঠে এসেছে। কংগ্রেসের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, রাহুলের জায়গায় সুশীল কুমার শিন্ডের দায়িত্ব নেয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ তিনি বয়সে প্রবীণ এবং কংগ্রেস শিবিরে তিনি একজন পরীক্ষিত নেতা। কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, সিন্ধেকে যদি বেছে নেয়া হয়, সেটি হবে গান্ধী পরিবারের প্রতি তার আনুগত্যের জন্যই। সিন্ধে অবশ্য নিজের উচ্চাকাক্সক্ষা কখনও প্রকাশ করেননি। এক বার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী না হতে পারায় তাকে রাজ্যপাল করা হয়েছিল।
×