ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস

উচ্ছেদের পর ফের ফিরে আসে মৃত্যুকূপে

প্রকাশিত: ০৯:৩৯, ৪ জুলাই ২০১৯

উচ্ছেদের পর ফের ফিরে আসে মৃত্যুকূপে

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে ও চূড়ায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে হতদরিদ্র হাজারো পরিবার। এসব পরিবারকে পাহাড়ে রেখে ভাড়া বাণিজ্য চালাচ্ছে এক শ্রেণীর ভূমিদস্যুরা। বর্ষার আগমনী বার্তায় প্রতিবছরই জেলা প্রশাসন থেকে এদের উচ্ছেদে জোরালো পদক্ষেপ নিলেও উচ্ছেদ অভিযানের পর আবারও ভূমিদস্যুদের চাপের মুখে ফিরে আসে মৃত্যুকূপে। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের ভূমি বিভাগের সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার ইসমাইল হোসেন ও কাট্টলী ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এই পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। নগরীর পরিবেশ অধিদফতর সংলগ্ন সিটি কর্পোরেশনের ঝরনার পাহাড়ের পেছনে গড়ে উঠা বরিশাল কলোনিতে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এ অভিযানে ১০টি অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও ৪০টি কম ঝুঁকিপূর্ণ টিনের ঘর উচ্ছেদ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন অপরাধীদের বাস এই কলোনিতে। এমনকি এই পাহাড়ের উত্তর পার্শ্বে থাকা শিশু কবরস্থানকেও দখল করে ইবাদতখানার নামে ইম্পেরিয়াল হসপিটালের বাউন্ডারি ঘেঁষে দোকান নির্মাণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে আরেকটি চক্র। শিশু কবরস্থানের একটি অংশে এই চক্রটি চট্টগ্রাম ওয়াসার অনুমতি না নিয়ে গভীর নলকূপ স্থাপন করে পানির ব্যবসা চালিয়ে আসছে। আওয়ামী লীগের ব্যানার টাঙ্গিয়ে এই কবরস্থানকে ব্যবসা কেন্দ্র বানাতে নানাভাবে পাঁয়তারা করছে চক্রটি। নগরীর ১৫টি পাহাড়ে প্রায় হাজারো পরিবার রয়েছে পাহাড়ে বসতি গড়ে। কাট্টলী ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে জেলা প্রশাসন, কাট্টলী ভূমি অফিস, পরিবেশ অধিদফতর ও রেলওয়ে যৌথভাবে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করে। পাহাড়ের পাদদেশে ও কোল ঘেঁষে থাকা ৫০টি ঘর থেকে দেড় শতাধিক পরিবারকে সরিয়ে দিয়েছে অভিযান দল। এ বিষয়ে কাট্টলী ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম জনকণ্ঠকে জানান, পাহাড়ের কোল ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। দেড় শতাধিক পরিবারকে অর্ধশত ঝুঁকিপূর্ণ ঘর থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। কারণ অতি বর্ষায় পাহাড়ের মাটি ধসে মৃত্যুকূপে পরিণত হতে পারে এই পাহাড়ের নিচে। প্রভাবশালীরা ভাড়া বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে এসব ঘর নির্মাণ করেছে পাহাড়ে।
×