ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এবার বিচারক নাদিয়া

প্রকাশিত: ০৮:৫৮, ৪ জুলাই ২০১৯

 এবার বিচারক নাদিয়া

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাট্যাভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদ অভিনয়ের পাশাপাশি এ সময়ে অনুষ্ঠানের বিচারক হিসেবেও ব্যস্ত। একজন অভিনেত্রী হিসেবে অভিনয় দিয়ে দর্শকের মন জয় করে নিলে একজন সফল অভিনেত্রী হওয়া যায়, কিন্তু এর পাশাপাশি যদি ব্যবহার দিয়ে সহশিল্পী, নির্মাতা, প্রযোজকসহ নাট্যাঙ্গনে সবার মন জয় করে না নিতে পারলে পূর্ণাঙ্গভাবে সফল হওয়া যায় না। নাদিয়া আহমেদ নাটকে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেছেন, পাশাপাশি নিজের কর্মক্ষেত্রেও তিনি সবার মন জয় করেছেন তার আন্তরিক ব্যবহার দিয়ে। তারই ফলশ্রুতিতে তিনি ২১ জুন অভিনয় শিল্পী সংঘ’র নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। আর এতেই প্রমাণিত হয় সবার কাছে একজন নাদিয়া আহমেদ কতটা ভালবাসার, আদরের। নন্দিত এই অভিনেত্রীর অভিনয় ‘শিল্পী সংঘ’ নিয়ে একটাই কথা, আর তা হলো রাষ্ট্রীয়ভাবে শিল্পীর সম্মান প্রতিষ্ঠা এবং স্বার্থ সংরক্ষণ করা। এরই মধ্যে দুটি জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানের বিচারক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। এর একটি হচ্ছে সম্প্রতি শেষ হওয়া ‘জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা’। আবার এরই মধ্যে আরটিভি’র আয়োজনে শুরু হওয়া ক্যাম্পাস স্টারের বিচারক হিসেবে কাজ শুরু করেছেন। ছোটবেলায় জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় নাদিয়া আহমেদ একবার মনিপুরী নৃত্যে প্রথম হয়েছিলেন আরেকবার সাধারণ নৃত্যে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। যেই প্লাটফর্ম তাকে আজকের নাদিয়া আহমেদে পরিণত করেছে, সেই প্লাটফর্মেই বিচারক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। ‘ক্যাম্পাস স্টার’র প্রাথমিক বাছাই পর্ব এরই মধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানান। এতে বিচারক হিসেবে তার সঙ্গে আরও আছেন সজল ও কনা। দুটি অনুষ্ঠানের বিচারক হওয়া প্রসঙ্গে নাদিয়া আহমেদ বলেন, আমি প্লাটফর্ম থেকে উঠে এসেছি সেই প্লাটফর্মেরই বিচারক হিসেবে কাজ করতে পেরে অনেক আনন্দিত, গর্বিত। আমি জানি কতটা কষ্ট করে আমাকে সেই প্লাটফর্মের মাধ্যমে আজকের এই পর্যায়ে উঠে আসতে হয়েছে। বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমার একটি কথাই বারবার মনে হয়েছে, আর তা হলো বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের একটু ভুল বিচারের কারণে সত্যিকার অর্থেও মেধাবী কেউ বাদ পড়ে যেতে পারে। তাই বিচারকার্য খুব কঠিন দায়িত্ব। আমি আমার কাজে সবসময়ই শতভাগ সৎ থেকে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করি। আমি আমার বাবা-মায়ের আদর্শেই নিজেকে গড়ে তুলেছি। একজন আদর্শ শিল্পী হিসেবে, মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছি। যার ফলও আমি গেল নির্বাচনে পেয়েছি।
×