ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিরাপদ রেল ভ্রমণ

প্রকাশিত: ০৮:৫২, ৪ জুলাই ২০১৯

নিরাপদ রেল ভ্রমণ

ঘর থেকে বের হয়ে এখন নিরাপদে ঘরে ফেরা অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে- প্রতিদিনই বেশ কিছু মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। এটাকে দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কি বলা যায়? জল-স্থল আর আকাশ পথে যে যাতায়াত ব্যবস্থা রয়েছে তন্মধ্যে সড়ক পথের যাতায়াতই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ আর অনিরাপদ। তাই মানুষ সড়ক পথে যাতায়াত না করে রেলপথে যাতায়াতই বেশি করতে পছন্দ করত, কিন্তু এখন সে রেলপথেও যাতায়াত নিরাপদ নয়। সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস এর ১৭টি বগির মধ্যে ৫টি বগিই লাইনচ্যুত হয়ে কয়েকজন মারা গেল আর শতাধিক যাত্রী আহত হলো। তাই এখন মানুষ রেলপথে যাতায়াত করতেও ভয় পাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নৌকা, লঞ্চ ও অন্যান্য নৌযানে দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে অনেক লোক মারা যায়। সড়ক পথে তো কথাই নেই, প্রতিদিনই কিছু না কিছু মানুষ দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। আকাশ পথে ভ্রমণে দুর্ঘটনা ঘটে না এমন কথা কেউ দিব্যি দিয়ে বলতে পারবে না। তাহলে যাত্রীরা এখন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কিভাবে যাবে? দেশের যাতায়াত ব্যবস্থায় রাস্তা-ঘাটের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে বটে, কিন্তু তাতে কি লাভ? দুর্ঘটনায় প্রতিদিনই তো অনেক প্রাণ ঝরে পড়ছে। দেশের রেলের অবকাঠামো নতুন করে ঢেলে সাজানোর প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে, নিঃসন্দেহে এটা একটা সুখবর। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে রেলযাত্রীদের যাতায়াতের নিরাপত্তা বিধান করাও সরকারের আশু কর্তব্য। শুধু রেলের পরিধি কিংবা বেশি পরিমাণ রেল লাইন চালু করলে জনজীবনে সুখ-শান্তি নেমে আসবে না, বরং রেলপথে যেন কোন দুর্ঘটনা না ঘটে সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। রেলপথে দুর্ঘটনা কমানোর জন্য চাই উপযুক্ত, সৎ, কর্মনিষ্ঠ কর্মকর্তা ও কর্মচারী। সরকারের প্রশাসন থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সকলকে রেলের অভ্যন্তরে অব্যবস্থা ও দুর্নীতি যাতে না হয় এই মর্মে একযোগে কাজ করতে হবে, তবেই রেলের উন্নতি হবে। কলাবাগান, ঢাকা থেকে
×