ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা আবাহনীর প্রতিপক্ষ উঃ কোরিয়ার এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ

প্রকাশিত: ১২:০৩, ৩ জুলাই ২০১৯

ঢাকা আবাহনীর প্রতিপক্ষ উঃ কোরিয়ার এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এএফসি কাপের নকআউট পর্বে ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের প্রতিপক্ষ উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ স্পোর্টস ক্লাব। মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে এএফসি কাপের নকআউট পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। নকআউট পর্বে দু’দল হোম এ্যান্ড এ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলবে। ২১ আগস্ট কোরিয়ার দলটি ঢাকায় এসে খেলবে। পরে ২৮ আগস্ট উত্তর কোরিয়ার পিয়ংইয়ংয়ে গিয়ে খেলবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নরা। এতদিন এএফসি কাপে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে একক রাজত্ব ছিল ভারতীয় ক্লাব ব্যাঙ্গালুরু এএফসির। ২০১৭ সাল থেকে এই অঞ্চলের ক্লাবগুলোকে এএফসি কাপের প্রথমপর্বে নিজেদের মধ্যে খেলার সুযোগ করে দেয় এশিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। প্রথম দুবারই চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয়পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল ব্যাঙ্গালুরু। এবারই ভারতের দুই ক্লাবকে পেছনে ফেলে তাদের রাজত্ব দখল করে নিয়েছে বাংলাদেশের আবাহনী। ৬ ম্যাচে ৪ জয় ও ১ ড্রয়ের বিপরীতে একটি মাত্র ম্যাচ হেরে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ‘দ্য স্কাই ব্লু ব্রিগেড’ খ্যাত আবাহনী। আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনালে আবাহনীর প্রতিপক্ষ এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ ক্লাবের পারফর্মেন্স ছিল আরও দুর্দান্ত। ৬ ম্যাচে ৫ জয়ের বিপরীতে তারা ম্যাচ হারে মাত্র একটি। বিস্ময়কর ব্যাপারÑ এই ক্লাবটিতে নেই কোন বিদেশী খেলোয়াড়। প্রথমপর্বে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬ গোল করেছে স্ট্রাইকার কিম ইউ সং। তবে এই ক্লাবটি বাংলাদেশের ফুটবলে খুব অপরিচিত প্রতিপক্ষ নয়। এই দলটির বিপক্ষে অতীতে জয়ের রেকর্ড আছে। ১৯৮৮ সালে সে সময়ের এশিয়ান ক্লাব কাপ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল পর্বে এই ক্লাবকেই ১-০ গোলে হারিয়েছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মালয়েশিয়ার পাহাংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ম্যাচটি। মোহামেডানই ১৯৯০ এশিয়ান ক্লাব কাপের চূড়ান্তপর্বে গোলশূন্য ড্র করেছিল ক্লাবটির সঙ্গে। ১৯৯১ সালের জুলাইয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত চূড়ান্তপর্বে এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিল। ইন্টার জোন সেমিফাইনালে বিজয়ী দু’দল খেলবে ইন্টার জোন প্লে-অফ ফাইনাল। এই ম্যাচের জয়ী দল চলে যাবে এএফসি কাপের ফাইনালে। ফাইনালে ওয়েস্ট জোনের একটি দল থাকবে। ওয়েস্ট জোনের ফাইনালের প্লে-অফে মুখোমুখি হবে জর্দানের আল জাজিরা ও লেবাননের আল আহেদ। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২ নবেম্বর। এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভের জন্ম ১৯৪৯ সালে। কোরিয়া প্রিমিয়ার লীগে সর্বাধিক ১৮ বারের চ্যাম্পিয়ন তারা। এছাড়াও শিরোপা জিতেছে হুয়াইবুল কাপে ৪ বার, মান’জিয়ংদাই প্রাইজ কাপে ৭ বার, পাইকতুসান প্রাইজ কাপে ১ বার, পোচ’অনবো টর্চ প্রাইজ কাপে ৩ বার এবং রিপাবলিকান চ্যাম্পিয়নশিপে ৩ বার। ৭০ বছর বয়সী ক্লাবটি সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত ট্রফি জিতেছে মোট ৩৬ বার। বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে সবচেয়ে সফল দলগুলোর একটি হিসেবে ধরা হয়ে থাকে ঢাকা আবাহনী লিমিটেডকে। গত চার দশক ধরেই লাগাতার সাফল্য পেয়ে আসছে তারা। ধরে রেখেছে সাফল্যের ধারাবাহিকতা। ১১ বার ঢাকা লীগ, ৬ বার প্রিমিয়ার লীগ, ১১ বার ফেডারেশন কাপ, ১ বার স্বাধীনতা কাপ, ১ বার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, ১ বার সুপার কাপ, ১ বার ডামফা কাপ, ১ বার বিটিসি ক্লাব কাপ এবং ৩ বার বিদেশী টুর্নামেন্ট (১ বার করে নাগজি কাপ, চার্মস কাপ ও বরদলুই ট্রফি, সবগুলোই ভারত থেকে জেতা) চ্যাম্পিয়ন হয়ে মোট ৩৬টি ট্রফি করায়ত্ত করেছে ৪৭ বছর বয়সী ‘দ্য স্কাই ব্লু ব্রিগেড’ খ্যাত আবাহনী।
×