ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে মংলা বন্দরে পূর্ণাঙ্গ কাস্টমস কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিত: ০৯:৪৯, ২ জুলাই ২০১৯

 অবশেষে মংলা বন্দরে পূর্ণাঙ্গ কাস্টমস কার্যক্রম শুরু

আহসান হাবিব হাসান, মংলা ॥ স্বপ্ন পূরণ। মংলা বন্দর সৃষ্টির দীর্ঘ ৬৮ বছর পর মংলায় স্থানান্তর হলো কাস্টমস এর পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম। সোমবার (১ জুলাই) সকাল ১১টায় মংলা বন্দর এলাকায় কাস্টমসের নিজস্ব ভবনে স্থানান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কাস্টমস কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস। এ সময় জয়েন্ট কমিশনার সেলিম শেখ ও ডিপুটি কমিশনার সেলিম রেজা এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কাস্টমস কমিশনারকে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বরণ করে নেয়া হয়। এ সময় মংলা কাস্টম হাউসের কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে মংলা বন্দরের আমদানি ও রফতানি পণ্যের শুল্কায়নসহ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় কার্যক্রম খুলনা ও মংলা এ দুই স্থানে সম্পন্ন হয়ে আসছে। পণ্য পরীক্ষা, রামেজ (ঘোষণার অতিরিক্ত কোন পণ্য জাহাজে আছে কি না তা পরীক্ষা), ইপিজেড পণ্য পরীক্ষা ও শুল্কায়ন, পণ্য খালাস, প্রিভেন্টিভসহ (নিবারকমূলক কার্যক্রম) আনুষঙ্গিক কার্যক্রম মংলা কাস্টমস হাউসের বন্দর ইউনিট অর্থাৎ মংলা বন্দরে সম্পন্ন হচ্ছে। অন্যদিকে সব প্রশাসনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি আইজিএম (জাহাজে আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা) দাখিল, আমদানি ও রফতানিকৃত পণ্যের শুল্কায়ন, ব্যাংকিং কার্যক্রম ও রাসায়নিক পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট কার্যক্রম খুলনার খালিশপুরে অবস্থিত মূল কার্যালয়ে সম্পন্ন হয়ে আসছিল। এখন মংলা থেকে কাস্টমসের সকল ইউনিটের কর্যক্রম পরিচালিত হবে। কাস্টম কর্তৃপক্ষ ও বন্দর সূত্র জানায়, ১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সামুদ্রিক বন্দর মংলার পথচলা শুরু হয়। তখন থেকেই মংলা কাস্টম হাউস খুলনার খালিশপুরে অবস্থিত হওয়ায় ব্যবসায়ীদের অনেক সময়ক্ষেপণের পাশাপাশি নানাবিধ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ব্যবসায়ীরা আমদানি-রফতানির স্বার্থে মংলা কাস্টম হাউস মংলা বন্দরে স্থানান্তরের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। মংলা বন্দর ব্যবহারকারী মাস্টার স্টিভেডরস ও পৌর মেয়র মেসার্স হাসেম এ্যান্ড সন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ জুলফিকার ও মেসার্স ওসান লিঙ্ক ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, মংলা বন্দর থেকে সড়ক পথে খুলনার খালিশপুর পর্যন্ত দূরত্ব প্রায় ৫৮ কিলোমিটার। মংলা কাস্টম হাউস খুলনাতে থাকায় একজন ব্যবসায়ীকে শুল্কায়নসহ পণ্য খালাসের কাজকর্মে দুই থেকে তিন দফায় খুলনা-মংলা যাতায়াত করতে হয়। এতে সময় নষ্টের পাশাপাশি ভোগান্তি পোহাতে হয়। তবে মংলায় কাস্টমস হাউস পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু হওয়ায় আমাদের দুর্ভোগ কমবে।
×