ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের আপীলের যুক্তিতর্ক শুরু

প্রকাশিত: ০৯:৪৫, ২ জুলাই ২০১৯

 মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত  নেতা আজহারুল ইসলামের আপীলের যুক্তিতর্ক শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আলবদর কমান্ডার জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের করা আপীলের যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছে। সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার সদস্য বিশিষ্ট আপীল বেঞ্চে আসামিপক্ষে সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন এ্যাটর্র্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আজ মঙ্গলবার আবারও যুক্তিতর্ক শুরু হবে। যুক্তি উপস্থাপন কালে এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ঘটনার প্রধান নায়ক ১৯৫ জন চিহ্নিত পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীকে বাদ দিয়ে সহযোগী হিসেবে বানোয়াট সাক্ষ্য দিয়ে এটিএম আজহারুল ইসলামকে তার রাজনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যেসব সাক্ষী দেয়া হয়েছে তা বানোয়াট। সেফ হোমে রেখে এসব সাক্ষী তৈরি করা হয়েছে। ১৮ জুন আপীলের ওপর শুনানি শুরু হয়। আসামি পক্ষে এ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ শুনানি শুরু হয়েছিল। এর আগে গত ১০ এপ্রিল শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ একাত্তরে রংপুর জেলা আলবদর বাহিনীর কমান্ডার এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করে ট্রাইব্যুনাল। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ৬ অভিযোগের মধ্যে হত্যা- গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, আটক, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ৫ অভিযোগই প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ৩ অভিযোগে ফাঁসি, ২ তে ৩০ বছরের কারাদন্ড ও একটিতে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদন্ডের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপীল করেন আজহারুল ইসলাম। সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবীরা এ আপীল করেন। আপীলে খালাস চান তিনি। মোট ৯০ পৃষ্ঠার আপীলে খালাসের পক্ষে ১১৩ যুক্তি তুলে ধরা হয়।
×