স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাজারে থাকা চৌদ্দটি ব্র্যান্ডের ১৮ পাস্তুরিত/ইউএইচটি দুধ পরীক্ষা করে আশঙ্কাজনক কিছু পাওয়া যায়নি আদালতে জমা দেয়া বিএসটিআইর এমন প্রতিবেদনে সন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ঢাবির ফার্মেসি অনুষদের শিক্ষকদের করা পরীক্ষা রিপোর্টও দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে ঢাকার ওয়াইজঘাটের মুন সিনেমা হলের জমি ও স্থাপনার মূল্য হিসেবে ৯৯ কোটি ২১ লাখ টাকার চেক ব্যক্তি মাকসুদুল আলমের বদলে বাংলাদেশ ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস লিমিটেডের নামে দিতে নির্দেশ দিয়েছে আপীল বিভাগ। রবিবার আপীল বিভাগ ও হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেয়।
১৪ ব্র্যান্ডের ১৮ পাস্তুরিত/ইউএইচটি দুধ পরীক্ষা করে আশঙ্কাজনক কিছু পাওয়া যায়নি- আদালতে জমা দেয়া বিএসটিআইর এমন প্রতিবেদনে সন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। রবিবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সন্তোষ প্রকাশ করে এ আদেশ দেয়। এসময় আদালত বিএসটিআইর আইনজীবী সরকার এম আর হাসানকে (মামুন) ঢাবির ফার্মেসি অনুষদের শিক্ষক আ ব ম ফারুকের নেতৃত্বে করা পরীক্ষা রিপোর্টও জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। আগামী রবিবারের মধ্যে এ প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। আদালতে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক। বিএসটিআইয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সরকার এম আর হাসান (মামুন)।
চেক সংশোধনের নিদেশ ॥ ঢাকার ওয়াইজঘাটে মুন সিনেমা হলের জমি ও স্থাপনার মূল্য হিসেবে ৯৯ কোটি ২১ লাখ টাকার চেক ব্যক্তি মাকসুদুল আলমের পরিবর্তে বাংলাদেশ ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস লিমিটেডের নামে দিতে নির্দেশ দিয়েছে আপীল বিভাগ। রবিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপীল বেঞ্চ অর্থ মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে এ নির্দেশ দেয়। এ বিষয়ে আদালত আগামী ২১ জুলাই পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। মুন সিনেমা হলের পক্ষে ছিলেন তৌফিক নেওয়াজ। সঙ্গে ছিলেন এ্যাডভোকেট সাইফুল্লাহ মামুন। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর আপীল বিভাগ ৩০ জুনের মধ্যে টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছিল।
এ আদেশ অনুসারে সরকার মুন সিনেমা হলের মালিক মাকসুদুল আলমের নামে ৯৯ কোটি ২১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৪ টাকা ২৭ পয়সার চেক ইস্যু করে রবিবার তা আদালতে উপস্থাপন করে। এ সময় বাংলাদেশ ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস লিমিটেডের আইনজীবী তৌফিক নেওয়াজ আপত্তি জানিয়ে আদালতে বলেন, ব্যক্তির নামে নয়, চেক হতে হবে কোম্পানির নামে। এরপর আদালত তা সংশোধন করে কোম্পানির নামে করতে নির্দেশ দেয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: