ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দারুসসালামে গার্মেন্টস কর্মকর্তার হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত: ০৯:৫৭, ১ জুলাই ২০১৯

  দারুসসালামে গার্মেন্টস কর্মকর্তার হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবার রাজধানীর দারুস সালামের তুরাগ সিটিতে প্রকাশ্যে একদল দুর্বৃত্ত সৈকত খান (৩০) নামে এক গামের্ন্টস কর্মকর্তাকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, নিজ বাসার সামনে ব্যস্ততম সড়কে এ ঘটনা ঘটিয়ে দুর্বৃত্তরা বীরদর্পে এলাকা ত্যাগ করে। যাবার সময় তারা মোটরসাইকেলটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, তার দুই হাত-পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে। তিনি স্বাভাবিকভাবে চলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এদিকে ঘটনার পর র‌্যাব ও পুলিশের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ জানায়, পারিবারিক ও আদর্শিক বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দারুসসালাম থানা ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনকে আসামি করে মামলা করেছে সৈকতের বাবা মিজানুর রহমান খান। আহত সৈকতের মামা সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুর ইসলাম খান শান্ত জানান, প্রতিদিনের ন্যায় রবিবার সকাল ৮টার দিকে তুরাগ সিটির বাসা থেকে সৈকত মোটরসাইকেলযোগে কর্মস্থল মোহাম্মদপুর গার্মেন্টসে যাচ্ছিলেন। বাসার অদূরে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী মুরাদ, শাহ আলম, সুসময়, মানিক, মেসি,দীপু, রাজু, টগরসহ ১০/১২ জন সৈকতকে ঘিরে লোহার রড ও লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। তারা সৈকতকে পঙ্গু করার জন্য তার হাত-পায়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা তার মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তিনি জানান, ব্যস্ততম সড়কে সৈকতকে মারধরের সময় বাঁচার জন্য চিৎকার করতে থাকলে কেউ এগিয়ে আসেনি। কারণ, সৈকতকে মারধরের সময় তার চারপাশ ঘিরে ছিল আরও কয়েক সন্ত্রাসী। অনেকে ভয়ে দূরে দাঁড়িয়ে তা দেখছিলেন। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের লোকজন সৈকতকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক ভেবে তাৎক্ষণিক তার অস্ত্রোপচার করা হয় বলে চেয়ারম্যান শান্ত জানান। তিনি জানান, আদর্শিক বিরোধের জের ধরে সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলামের ছেলে নাবিলের নির্দেশে তার বন্ধুরা ভাগ্নে সৈকতকে এভাবে নির্মমভাবে পিটিয়েছে। যা অবিকল বরগুনার হামলার মতো। এদিকে দারুসসালাম থানার ডিউটি অফিসার জানান, দুপুরে সৈকতের বাবা মিজানুর রহমান খান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। হামলাকারীদের গ্রেফতারে একাধিক পুলিশ টিম অভিযানে নেমেছে।
×