ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পোর্টাল

প্রকাশিত: ০৮:৪৫, ১ জুলাই ২০১৯

 বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পোর্টাল

আগামী বছরের ১৭ মার্চ পূর্ণ হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মের শতবর্ষ। এ উপলক্ষে ইতোমধ্যেই গঠিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি ব্যস্ত সময় পার করছে। প্রায় প্রতিদিনই এর অস্থায়ী কার্যালয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে চলছে সভা। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ছিল মিডিয়া, প্রচার ও ডকুমেন্টেশন সাব কমিটির বৈঠক। এতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ডিজিটাল পোর্টাল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে সবাই বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এছাড়া জন্মশতবর্ষের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বিভিন্ন তথ্যের সমন্বয়ে ডাটা ব্যাংক তৈরি করা হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমে কিভাবে বঙ্গবন্ধুর মূল্যায়ন হয়েছে সেসব তথ্য থাকবে এই ডাটা ব্যাংকে। স্মরণযোগ্য, দেশে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি। এটি হবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এতে অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই ক্লাস এসাইনমেন্টসহ অন্যান্য শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। বহির্বিশ্বের শিক্ষার্থীরাও এখান থেকে শিক্ষার্জন করতে সমর্থ হবেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন প্রাপ্ত এই ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি থেকে যেমন অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্জন করা সম্ভব হবে, তেমনি আবার অনলাইন বিষয়ক বিবিধ প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণেরও ব্যবস্থা থাকবে। ফলে এটি সত্যিকার ভাবেই হয়ে উঠবে শিক্ষাক্ষেত্রে দিগন্ত উন্মোচনকারী সরকারী উচ্চ বিদ্যাপীঠ। প্রসঙ্গত বলা দরকার, যে কোন রাষ্ট্রেরই পেশাদার গোয়েন্দা বাহিনী থাকে। গোপন তথ্যের জন্য যাদের ওপর সরকারকে নির্ভর করতে হয়। বিশেষ ব্যক্তি বা সংস্থার ওপর গোয়েন্দা নজরদারির কাজটি করতে হয় অত্যন্ত দায়িত্বশীলতা ও সতর্কতার সঙ্গে অনুপুঙ্খভাবে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে রাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের অন্যতম লক্ষ্যযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। চল্লিশের দশকের শেষ দিনগুলো থেকেই পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের গোয়েন্দারা তাঁকে অনুসরণ করে এসেছে। বলা যেতে পারে, গোয়েন্দারা ছিল শেখ মুজিবের ‘ছায়াসঙ্গী’। সেসব গোয়েন্দার প্রতিবেদনেই বিশ্বস্ততার সঙ্গে ধরে রাখা আছে জননায়কের পদচিহ্ন। যথাযথভাবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে প্রস্তুত যে কোন গোয়েন্দা প্রতিবেদনই নিশ্চিতভাবে হয়ে থাকে বস্তুনিষ্ঠ। সাংবাদিকের প্রতিবেদনও বস্তুনিষ্ঠ, তাতেও ধরা পড়ে সময়ের চালচিত্র। কিন্তু অভিন্ন সময়ের বয়ানে গোয়েন্দা রিপোর্ট হতে পারে সত্যোচ্চারণের আরেকটি ভিন্নধর্মী সংকেত ও সম্ভার। তা হয়ে থাকে বিশদ, বিস্তৃত ও গভীর অনুসন্ধানী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে নিয়মতিভাবে প্রতিবেদন লিখতে হতো পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের। ১৪ খন্ডে সেই গোয়েন্দা প্রতিবেদন গ্রন্থস্থের প্রক্রিয়া এখন চলমান। মোড়ক উন্মোচন হয়েছে ওই গ্রন্থমালার প্রথম খন্ডটির। এই দলিলসহ বঙ্গবন্ধু বিষয়ক যাবতীয় তথ্যাবলী এবং বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত জীবনী ও কারাগারের রোজনামচা গ্রন্থদ্বয় প্রস্তাবিত পোর্টালে সন্নিবেশন করা হলে তরুণ প্রজন্ম জাতির পিতা সম্পর্কে যে স্পষ্ট ধারণা লাভ করবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। বঙ্গবন্ধুকেন্দ্রিক যে কোন তথ্য ও ছবি পেতে চাইলে মানুষ যেন এই পোর্টালেই সেসব পেয়ে যায়Ñ এমন একটি সুদূরপ্রসারী ও স্থায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে সেটিই হবে একটি বড় কাজ।
×