ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শাহিন আফ্রিদির বোলিং তোপ

প্রকাশিত: ১১:০১, ৩০ জুন ২০১৯

  শাহিন আফ্রিদির বোলিং তোপ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপের এই পর্যায়ে দুর্দান্ত বোলিং করছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমির রেসে টিকে থাকার ম্যাচে পাকিস্তানী পেসার নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে তরুণ বাঁহাতির শিকার সংখ্যা ৪। আফ্রিদি, ইমাদ ওয়াসিম ও ওয়াহাব রিয়াজের সাঁড়াশি বোলিং আক্রমণের মুখে ৯ উইকেটে ২২৭ রানে থেমে গেছে আফগানদের সংগ্রহ। পুরো বিশ্বকাপেই দলটির জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে থাকল তাদের ব্যাটিং। ভাল শুরু করেও সেভাবে ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই। শনিবারও যেমন সাত ব্যাটসম্যান ১৫ পার করেন। কিন্তু আসগর আফগান ও নজিবুলাহ জাদরানÑ কেউই ব্যক্তিগত ৪২ রানের বেশি করতে পারলেন না। হেডিংলিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত রান তুলে ভাল শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিল আফগানিস্তান। গুলবাদিন নাইব ও রহমত শাহ গড়েন ২৭ রানের উদ্বোধনী জুটি। পঞ্চম ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রথম তিন বলে গুলবাদিন মেরেছিলেন দুটি চার। এরপরই আফ্রিদির পরপর দুই বলে আফগানিস্তান হারায় ২ উইকেট। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটকিপাকে ক্যাচ দেন অধিনায়ক গুলবাদিন। পাকিস্তান উইকেটটা পায় অবশ্য রিভিউ নিয়ে। ১২ বলে ৩ চারে গুলবাদিন করেন ১৫ রান। গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি (০)। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান লেগ স্টাম্পে বেরিয়ে যাওয়া বল খেলতে চেয়েছিলেন লেগ সাইডে। ব্যাটের ওপরের অংশে লেগে ক্যাচ উঠে যায় মিড অফে ইমাদ ওয়াসিমের হাতে। রহমত উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় গড়তে পারেননি। বাঁহাতি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিমের শিকার হওয়ার আগে ৪৩ বলে ৫ চারে ডানহাতি ব্যাটসম্যান করেন ৩৫ রান। তখন ৫৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান। চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে দলের স্কোর এক শ’ পার করেন আসগর আফগান ও ইকরাম আলী খিল। আফগানকে ফিরিয়ে ৬৪ রানের এ জুটি ভাঙ্গেন শাদাব খান। লেগ স্পিনারকে তেড়েফুঁড়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হওয়া আফগান ৩৫ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪২ রান। এরপর বেশিক্ষণ টেকেননি ইকরামও। বেশি ডট বল খেলার চাপে পিষ্ট হন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। ইমাদের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল স্লগ সুইপে ওড়ানোর চেষ্টায় ক্যাচ দেন লং অনে। ৬৬ বলে একটি চারে ইকরাম করেন ২৪ রান। তারকা অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীও সুবিধা করতে পারেননি। ওয়াহাব রিয়াজের শর্ট বলে ফেরার আগে ৩৩ বলে তিনি করেন ১৬ রান। ১৬৭ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর দলের স্কোর দুই শ’ পার করেন নজিবুল্লাহ জাদরান ও শামিউল্লাহ শেনওয়ারি। নজিবুল্লাহ আফ্রিদিকে দারুণ একটি চার মারার পরের বল স্টাম্পে টেনে এনে ফিরলে ভাঙ্গে ৩৫ রানের জুটি। নিজের শেষ ওভারে রশীদ খানকে ফিরিয়ে আফ্রিদি পূর্ণ করেন ৪ উইকেট, ১০ ওভারে তিনি দেন ৪৭ রান। ৩২ বলে ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন শেনওয়ারি। ইমাদ ৪৮ রানে ও ওয়াহাব ২৯ রানে নেন ২টি করে উইকেট। আসর শুরুর আগে বড় তারকা রশীদ খান বলেছিলেন, আফগানিস্তান যে এখন আর কাগুজে বাঘ নয়, বিশ্বকাপে সেটিই প্রমাণ করতে চান। কিন্তু এশিয়ান ক্রিকেটের উদীয়মান দলটি বড় মঞ্চে মোটেই ভাল করতে পারেনি। সাত ম্যাচের সবকটি হেরে আগেই তাদের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যায়।
×