ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিতলে এই সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে

সেমিতে খেলার সুযোগ বাড়ল বাংলাদেশের!

প্রকাশিত: ১০:৫৬, ৩০ জুন ২০১৯

 সেমিতে খেলার সুযোগ বাড়ল বাংলাদেশের!

মিথুন আশরাফ ॥ ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ জমিয়ে তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। সেই দলটিই কিনা এবার বিশ্বকাপে হতাশ করা দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে সহজেই আত্মসমর্পণ করল। আর তাতে করেই বাংলাদেশের সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ বাড়ল। বাংলাদেশের সামনে আছে দুটি ম্যাচ। ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ভারত শক্ত প্রতিপক্ষ। তাদের সঙ্গে জিতে যদি পাকিস্তানকেও হারানো যায় তাহলেতো কথাই নেই। ভারতকে হারানো না গেলেও শুধু পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিতে জিতলেও বাংলাদেশের সামনে সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ ধরা দিতে পারে। তখন ৯ পয়েন্ট নিয়েও রানরেটে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনালে খেলতে পারে বাংলাদেশ। কিভাবে? বাংলাদেশের সেমিফাইনালে ওঠার সামনে বাধা তিনটি দল, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। ইংল্যান্ড যদি আর কোন ম্যাচ না জিতে, পাকিস্তান যদি বাংলাদেশের কাছে হারে এবং শ্রীলঙ্কা যদি একটি ম্যাচের বেশি না জিতে। এ সমীকরণেই বাংলাদেশের সেমিফাইনালে যাওয়া সম্ভব এবং তা খুব ভালভাবেই হওয়া সম্ভব। বাংলাদেশের এখন আছে ৭ পয়েন্ট। হাতে আছে ২ ম্যাচ। ভারত ও পাকিস্তানকে হারালেতো দুর্বার হয়। ভারতকে না হারাতে পারলেও পাকিস্তানকে হারাতেই হবে। যদি সেমিফাইনালের আশা জাগাতে চায় বাংলাদেশ। তখন ৯ পয়েন্ট হবে। স্বাভাবিকভাবেই রানরেটেও পাকিস্তানের চেয়ে তখন এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। তখন শেষ চারে খেলার সুযোগ ভালভাবে থাকবে টাইগারদের। শুরুতে ইংল্যান্ড দলকে নিয়ে সমীকরণে আসা যাক। ইংল্যান্ডের সামনে ম্যাচ আছে দুটি। প্রতিপক্ষ দুই দলই শক্তিশালী ভারত ও নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ড যেভাবে বিধ্বস্ত হচ্ছে তাতে দুই দলের সঙ্গেই হারের সম্ভাবনা থাকছে ইংলিশদের। হারলেই পয়েন্ট থাকবে ৮। তখন পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতলে পয়েন্ট হবে ৯। স্বাগতিক ইংল্যান্ড তখন বাদ পড়ে যাবে। পাকিস্তানও আছে সামনে। তাদেরও আছে দুই ম্যাচ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানের ম্যাচটিতে যে ফলই হোক, বাংলাদেশের কাছে হারলেই পাকিস্তানের বিদায় ঘণ্টা বেজে যেতে পারে। ধরে নেয়া যাক, শনিবার আফগানকে হারিয়েছে পাকিস্তান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত খেলা পাকিস্তানের পক্ষেই ছিল। তখন পাকিস্তানের হবে ৯ পয়েন্ট। যদি বাংলাদেশের কাছে হারে তাহলে ৯ পয়েন্টই থাকবে। তখন পাকিস্তানের চেয়ে রানরেটে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে খেলবে টাইগাররা। আর যদি আফগানদের কাছে হেরে বাংলাদেশের কাছেও হারে তাহলে পাকিস্তানের পয়েন্ট থাকবে ৭। বাংলাদেশের সামনে সবচেয়ে বড় বাধা আসলে শ্রীলঙ্কা। এই দলটির সামনে আছে দুই ম্যাচ। পয়েন্ট ৬। খেলা আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ভারতের বিপক্ষে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ভারতের মধ্যে যে কোন একটি দলের বিপক্ষে জিতলে শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট থাকবে ৮। আর দুই ম্যাচই যদি হারে তাহলে ৬ থাকবে। তখন পাকিস্তানের বিপক্ষে যদি বাংলাদেশ জিতে তাহলে ৯ পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে থেকে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলতে পারে। ইংল্যান্ডের দুটি ম্যাচেই হার, শ্রীলঙ্কার যে কোন একটি ম্যাচে হার এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের হার হলেই টাইগাররা বাজিমাত করতে পারে। এর বিপরীত হলে, ইংল্যান্ড যদি একটি ম্যাচ জিতে (পয়েন্ট হবে ১০), শ্রীলঙ্কা যদি দুটি ম্যাচ জিতে (পয়েন্ট হবে ১০), পাকিস্তান যদি দুটি ম্যাচ জিতে (পয়েন্ট হবে ১১); তাহলে বাংলাদেশ ছিটকে পড়বে। আর যদি ইংল্যান্ড একটি (পয়েন্ট হবে ১০), শ্রীলঙ্কা দুটি (পয়েন্ট হবে ১০), আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তান জিতে (পয়েন্ট হবে ৯) বাংলাদেশের কাছে হারে; আর বাংলাদেশ শেষ দুটি ম্যাচেই জিতে তাহলেও টাইগাররা সেমিফাইনালে খেলবে। ইংল্যান্ড যদি কোনভাবে দুটি ম্যাচ জিতে যায় তাহলে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশেরও বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার হারে ভারত ও নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত করে নিয়েছে প্রায়। অস্ট্রেলিয়া আগেই তা নিশ্চিত করেছে। আরেকটি দল উঠবে সেমিফাইনালে। সেই দলটি এখন বাংলাদেশও হতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার হারে যে বাংলাদেশের সেমিতে খেলার সুযোগ বাড়ল! কে জানে, গত বিশ্বকাপের মতো ভাগ্য বাংলাদেশের সহায় হবে না? কে জানে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো সৌভাগ্য বাংলাদেশের কপালে জুটবে না? জুটতেও পারে।
×