ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গোলটেবিলে মিজানুর সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আলাদা তহবিল দুর্নীতির নতুন দ্বার খুলবে

প্রকাশিত: ১০:১৬, ৩০ জুন ২০১৯

 গোলটেবিলে মিজানুর সড়ক দুর্ঘটনায়  ক্ষতিগ্রস্তদের  আলাদা তহবিল দুর্নীতির নতুন  দ্বার খুলবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আলাদা তহবিল দুর্নীতির নতুন দরজা খুলে দেবে বলে মন্তব্য করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণে আলাদা তহবিল গঠন করার ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করছি। কারণ, এই ফান্ড দুর্নীতির আরও একটি নতুন সংযোজন হবে। যারা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বা নিহত হন, তাদের কল্যাণ ফান্ড গঠন করার দায়িত্ব কার সেটা ভাবতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণটা আসলে কে দেবে- মালিক, সরকার না বীমা কোম্পানি। সেটা এখন ভাবার সময় এসেছে বলেও মনে করেন তিনি। শনিবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ : নিরাপত্তা বীমার প্রয়োজনীয়তা, আলাদা তহবিল গঠন ও পরিকল্পনা বিষয়ক’ গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ সেমিনারে সংগঠনটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন বাস-ট্রাক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ চন্দ্র ঘোষ, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদী খানম, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, অবস্থান পরিবর্তন ঘটাতে হলে উই নিড এ নিউ বিগিনিং। নতুন একটা যাত্রা শুরু করতে হবে। সেখানে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। জবাবদিহিতা থাকতে হবে। থাকতে হবে আইনের শাসন। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি হয়ে গেছে ধনীদের। গরিবের স্বার্থের কথা এ রাষ্ট্র চিন্তা করে কিছু করে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বুয়েটের এ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং রোড সেফটি ফাউন্ডেশনর ভাইস চেয়ারম্যান এম এস সিদ্দিকী। অধ্যাপক মিজানুর রহমান আরও বলেন, এ বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি হয়ে গেছে ধনীদের। গরিবদের স্বার্থের কথা এ রাষ্ট্র চিন্তা করে কিছু করে না। সড়ক পরিবহনের আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রেও তা দেখা গেছে। নিজেকে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র মনে করে তাহলে তাকে জনগণের কথা চিন্তা করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। কারণ আমাদের আইন সভায় সব সময় ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য। তাদের স্বার্থ দেখেই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। ব্যাংকের টাকা আত্মসাত করে পালিয়ে না গেলে ঋণ খেলাপী হলেই কোন ব্যক্তিকে খারাপ বলা যায় না এমন বক্তব্য প্রসঙ্গেও ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, দেখুন আমরা কোন সমাজে আছি তা বলতে পারছি না। যারা দিবালোকে আইন অমান্য করছে তাদের উচ্চাসনে বসাতে কুণ্ঠা করছি না।
×