ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইরানের সঙ্গে বৈরিতা বৃদ্ধির আশঙ্কা

কাতারে মার্কিন এফ-২২ যুদ্ধবিমান মোতায়েন

প্রকাশিত: ০৯:৪৫, ৩০ জুন ২০১৯

 কাতারে মার্কিন এফ-২২  যুদ্ধবিমান মোতায়েন

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে পেন্টাগন মধ্যপ্রাচ্যে উন্নত প্রযুক্তির এফ-২২ যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। এই বিমান আপাতত কাতারে অবস্থান করবে। খবর সিএনএন অনলাইনের। মার্কিন নৌবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়, এসব যুদ্ধবিমান বৃহস্পতিবার কাতারের আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছেছে। তবে ঠিক কতটি মার্কিন বিমান ওই ঘাঁটিতে পৌঁছেছে তা আপাতত জানা না গেলেও খবরে বলা হয়েছে, আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে পাঁচটির বেশি মার্কিন যুদ্ধ বিমান অবস্থান করছে। ইরান যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন ভূপাতিত করার ফলে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে কাতারে এই যুদ্ধবিমান প্রেরণ করল ট্রাম্প প্রশাসন। এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক পিটার লেইটন বলেন, ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্তের ফলে ইরানের সঙ্গে পুরোমাত্রায় বৈরিতা বৃদ্ধির আশঙ্কা করা যাচ্ছে। আর মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান প্রেরণের অর্থ মধ্যপ্রাচ্যে কিছু রোধ করার প্রয়াস চালাচ্ছে ওয়াশিংটন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন ভূপাতিত করার প্রেক্ষিতে ইরানের ওপর হামলার অনুমোদন দিয়ে পর মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পাল্টান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবশ্য ইরান বরাবর বলে আসছে দেশটির আকাশসীমা লঙ্ঘনের দায়ে ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়েছে। আবার পারস্য উপসাগরে দুটি তেলবাহী জাহাজে আগুন লাগলে ট্রাম্প প্রশাসন এর দায় ইরানের বিপ্লবী বাহিনীর ওপর চাপায়। এসব ঘটনা নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনায় জড়িয়ে পড়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত এক হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন করে। এর মধ্যে পেন্টাগন কাতারে এই যুদ্ধবিমান মোতায়েন করল। তবে এ বিষয়ের প্রকৃত কারণ ব্যখ্যা করেনি ওয়াশিংটন। এফ-২২ যুদ্ধবিমান দীর্ঘ সময় আকাশপথে যুদ্ধ করতে সক্ষম। আকাশে অবস্থান করেও স্থলভাগের টার্গেটে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আঘাত করতে পারে এই এফ-২২ যুদ্ধবিমান। এদিকে রাশিয়া বলেছে, দেশটি তার অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-৪০০’ ইরানের কাছে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত রয়েছে। তবে ইরানের পক্ষ থেকে এখনও বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার কাছে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায়নি বলে জানিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার সমরাস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ‘রাশান ফেডারেল সার্ভিস অব মিলিটারি-টেকনিক্যাল কো-অপারেশন’র গণমাধ্যম বিভাগের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা শুক্রবার বলেন, ‘আমরা ইরানসহ অন্য দেশের কাছে এস-৪০০ সরবরাহ করার লক্ষ্যে আলোচনা করতে প্রস্তুত। বিশেষ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ২০১৫ সালের ২০ জুন অনুমোদিত প্রস্তাবে ইরানের কাছে এস-৪০০ বিক্রির বিষয়ে কোন বিধিনিষেধ না থাকায় মস্কো এ বিষয়ে উদার দৃষ্টিভঙ্গী গ্রহণ করেছে।’ ইরান এরইমধ্যে রাশিয়ার কাছ থেকে এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আগের সংস্করণ এস-৩০০ গ্রহণ করেছে। রাশিয়ার এ কর্মকর্তা তার এ বক্তব্যে চার বছর আগে ইরানের পরমাণু সমঝোতা অনুমোদন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের প্রতি ইঙ্গিত করেন। ওই প্রস্তাবে ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচী সীমাবদ্ধ রাখার কথা বলা হলেও তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী নিয়ে কোন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। এর আগে গত ৩০ মে পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গ দাবি করেছিল, ইরান রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার অনুরোধ জানালেও মস্কো তা প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু জুন মাসে রাশিয়ার একজন উপ প্রধানমন্ত্রী ব্লুমবার্গের ওই খবর নাকচ করে দেন। রাশিয়ার সমরাস্ত্র নির্মাণকারী ফেডারেল কোম্পানির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা শুক্রবার স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ইরান এখনও এস-৪০০ কেনার জন্য আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায়নি। সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্কের কাছে রাশিয়ার এস-৪০০ ব্যবস্থা বিক্রি নিয়ে আঙ্কারার সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে তীব্র টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। মার্কিন সরকার বিষয়টি নিয়ে তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিলেও আঙ্কারা সে হুমকি প্রত্যাখ্যান করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে পেন্টাগন মধ্যপ্রাচ্যে উন্নত প্রযুক্তির এফ-২২ যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। এই বিমান আপাতত কাতারে অবস্থান করবে। খবর সিএনএন অনলাইনের। মার্কিন নৌবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়, এসব যুদ্ধবিমান বৃহস্পতিবার কাতারের আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছেছে। তবে ঠিক কতটি মার্কিন বিমান ওই ঘাঁটিতে পৌঁছেছে তা আপাতত জানা না গেলেও খবরে বলা হয়েছে, আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে পাঁচটির বেশি মার্কিন যুদ্ধ বিমান অবস্থান করছে। ইরান যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন ভূপাতিত করার ফলে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে কাতারে এই যুদ্ধবিমান প্রেরণ করল ট্রাম্প প্রশাসন। এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক পিটার লেইটন বলেন, ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্তের ফলে ইরানের সঙ্গে পুরোমাত্রায় বৈরিতা বৃদ্ধির আশঙ্কা করা যাচ্ছে। আর মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান প্রেরণের অর্থ মধ্যপ্রাচ্যে কিছু রোধ করার প্রয়াস চালাচ্ছে ওয়াশিংটন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন ভূপাতিত করার প্রেক্ষিতে ইরানের ওপর হামলার অনুমোদন দিয়ে পর মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পাল্টান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবশ্য ইরান বরাবর বলে আসছে দেশটির আকাশসীমা লঙ্ঘনের দায়ে ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়েছে। আবার পারস্য উপসাগরে দুটি তেলবাহী জাহাজে আগুন লাগলে ট্রাম্প প্রশাসন এর দায় ইরানের বিপ্লবী বাহিনীর ওপর চাপায়। এসব ঘটনা নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনায় জড়িয়ে পড়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত এক হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন করে। এর মধ্যে পেন্টাগন কাতারে এই যুদ্ধবিমান মোতায়েন করল। তবে এ বিষয়ের প্রকৃত কারণ ব্যখ্যা করেনি ওয়াশিংটন। এফ-২২ যুদ্ধবিমান দীর্ঘ সময় আকাশপথে যুদ্ধ করতে সক্ষম। আকাশে অবস্থান করেও স্থলভাগের টার্গেটে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আঘাত করতে পারে এই এফ-২২ যুদ্ধবিমান। এদিকে রাশিয়া বলেছে, দেশটি তার অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-৪০০’ ইরানের কাছে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত রয়েছে। তবে ইরানের পক্ষ থেকে এখনও বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার কাছে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায়নি বলে জানিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার সমরাস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ‘রাশান ফেডারেল সার্ভিস অব মিলিটারি-টেকনিক্যাল কো-অপারেশন’র গণমাধ্যম বিভাগের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা শুক্রবার বলেন, ‘আমরা ইরানসহ অন্য দেশের কাছে এস-৪০০ সরবরাহ করার লক্ষ্যে আলোচনা করতে প্রস্তুত। বিশেষ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ২০১৫ সালের ২০ জুন অনুমোদিত প্রস্তাবে ইরানের কাছে এস-৪০০ বিক্রির বিষয়ে কোন বিধিনিষেধ না থাকায় মস্কো এ বিষয়ে উদার দৃষ্টিভঙ্গী গ্রহণ করেছে।’ ইরান এরইমধ্যে রাশিয়ার কাছ থেকে এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আগের সংস্করণ এস-৩০০ গ্রহণ করেছে। রাশিয়ার এ কর্মকর্তা তার এ বক্তব্যে চার বছর আগে ইরানের পরমাণু সমঝোতা অনুমোদন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের প্রতি ইঙ্গিত করেন। ওই প্রস্তাবে ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচী সীমাবদ্ধ রাখার কথা বলা হলেও তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী নিয়ে কোন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। এর আগে গত ৩০ মে পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গ দাবি করেছিল, ইরান রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার অনুরোধ জানালেও মস্কো তা প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু জুন মাসে রাশিয়ার একজন উপ প্রধানমন্ত্রী ব্লুমবার্গের ওই খবর নাকচ করে দেন। রাশিয়ার সমরাস্ত্র নির্মাণকারী ফেডারেল কোম্পানির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা শুক্রবার স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ইরান এখনও এস-৪০০ কেনার জন্য আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায়নি। সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্কের কাছে রাশিয়ার এস-৪০০ ব্যবস্থা বিক্রি নিয়ে আঙ্কারার সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে তীব্র টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। মার্কিন সরকার বিষয়টি নিয়ে তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিলেও আঙ্কারা সে হুমকি প্রত্যাখ্যান করেছে।
×