বগুড়া অফিস ॥ সরকারী কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিল্প প্রতিষ্ঠানের লিংকেজ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মেধাবী দক্ষ শ্রম শক্তি তৈরির উদ্যোগে দেশে এই প্রথম ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনএসডিএ) গঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে বগুড়া অঞ্চলের বিভিন্ন টেকনোলজির ১৪টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর (মৌ)) হয়েছে। শীঘ্রই দেশে আরও ৩৬টির সঙ্গে চুক্তি হবে। প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিষয়টির ডাটা বেজ তৈরি হচ্ছে। দেশীয় প্রতিটি শিল্প সেক্টরের পাশাপাশি দক্ষতার এই শ্রমশক্তি বিদেশে গিয়েও বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের আওতায় বাস্তবায়নাধীন স্কিলস এ্যান্ড এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্টের (স্টেপ) উদ্যোগে শনিবার সকালে বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আয়োজনে ইন্ডাস্ট্রি-ইনস্টিটিউট লিংকেজ অনুষ্ঠানে বিষয়গুলো জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বগুড়ার কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ও উদ্যোক্তা উপস্থিত ছিলেন। মূল প্রবন্ধ পাঠে বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোঃ শাহাদৎ হোসেন জানান, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের (এসডিজি) ১৭টি গোলের মধ্যে চতুর্থ নম্বরেই আছে সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক গুণগত শিক্ষা। যা পূরণ করতে হবে ২০৩০ সালের মধ্যে। ওই সময়ে (২০৩০) দেশের মোট জনসংখ্যার কর্মক্ষম দুই তৃতীয়াংশের বয়স সীমা থাকবে ১৫ থেকে ৬৫ বছর। দেশের গড় আয়ু বেড়ে যাওয়ায় শারীরিক কোন ব্যত্যয় না ঘটলে ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত মানুষ তারুণ্যের সক্ষম ও দক্ষ থাকে। এই জনগোষ্ঠীকে দক্ষতায় উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে এখনই কাজ শুরু করতে হবে। যাতে বিশে^র উন্নত দেশে আমাদের দেশের মানুষ শোভন কর্মে সুযোগ পায়। এমন শ্রম বাজার বিবেচনায় এনে আমাদের কারিগরি শিক্ষার্থী ও জনগোষ্ঠীকে শিল্পের প্রতিটি সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত রেখে সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি (আইসিটি) সেক্টরকে গুরুত্ব দিতে হবে। একজন বক্তা জানালেন ভারত এ ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে গেছে। ইন্টারনেট ‘গুগল’ সার্ভিসে ভারতীয় তরুণদের বড় একটি অংশ কাজ করছে।
অধ্যক্ষ শাহাদৎ হোসেন সিঙ্গাপুরের সঙ্গে তুলনা দিয়ে বলেন, ওই দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে দক্ষতার প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরি নিশ্চিত করে।