ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

শেরপুরে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের হামলায় আহত ২

প্রকাশিত: ০৯:০৭, ২৯ জুন ২০১৯

শেরপুরে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের হামলায় আহত ২

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ শেরপুর সরকারি কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের বিবদমান দু’পক্ষের মধ্যে ফের হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুরে শহরের সজবরখিলা এলাকায় ওই হামলার ঘটনায় জুনুন তানভির (১৭) ও আশরাফুল ইসলাম (২২) নামে ২ কলেজ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে শহরে প্রকাশ্যে ওই হামলার প্রতিবাদে সজবরখিলা মহল্লার ব্যবসায়ীরা দোকান-পাট বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও তাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। ওই ঘটনায় সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে বিবদমান দুপক্ষের মাঝে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কলেজ এলাকাসহ শহরে পুলিশী টহল বাড়ানো হয়েছে। জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শেরপুর সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের বিবদমান দু’গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। শনিবার দুপুর ২ টার দিকে শহরের সজবরখিলাস্থ টিভিএস মোটরসাইকেল শো-রুমে শেরপুর বিএম কলেজের শিক্ষার্থী ও শহরের কাজীবাড়ি পুকুরপাড় এলাকার মৃত আলমগীর হোসেনের পুত্র জুনুন তানভির তার ২ বন্ধু ইমরান ও অন্তরকে নিয়ে মোটরসাইকেল মেরামত করতে যায়। ওইসময় হঠাৎ করেই কলেজ ছাত্রলীগের অপর একটি অংশের নেতা-কর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় জুনুন তানভির গুরুতর আহত হয়। পরে তানভিরকে তার বন্ধু ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এর পরপরই শহরের কসবা কাচারিপাড়া এলাকায় শাহ কামাল (রা:) মাজারের সামনে আশরাফুল ইসলাম নামে আরও এক ছাত্রলীগ কর্মী হামলার শিকার হয়। হামলার শিকার ছাত্রলীগ কর্মীদের দাবি, প্রতিপক্ষের জহির পিস্তল নিয়ে ও নয়ন, পাপ্পু, শাহীন, বাবুসহ আরও বেশ কয়েকজন লোহার এসএস পাইপ নিয়ে তানভিরের উপর চড়াও হয়। ওই ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করে জড়িতদের গ্রেফতার দাবি করে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা বলেন, ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর যারা হামলা করেছে, তারা দলছুট। অন্যদিকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজ ছাত্রলীগের অপর অংশের নেতা আব্দুল কুদ্দুস মোয়াজ জানায়, আহত তানভির ছাত্রলীগের কেউ নয়। বরং ছাত্রদলের সাথে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে এবং সে ছাত্রদলের গ্রুপিং এর শিকার হয়েছে। একই কথা জানিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম সম্রাট বলেন, এক সময়ের ছাত্রদল কর্মী তানভির ও আশরাফকে ছাত্রলীগের একটি অংশ ব্যবহার করছে। তাদের কারণেই সম্প্রতি বিপুল নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে হামলার শিকার হতে হয়েছে। এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, হামলার ঘটনাটি শোনার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে একটি পক্ষ গুলি ছোড়ার দাবি করলেও তার কোন আলামত পাওয়া যায়নি। সেইসাথে ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি।
×