ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মূলধন সংকটে ১০ ব্যাংক

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ২৯ জুন ২০১৯

মূলধন সংকটে ১০ ব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বড় উদ্যোক্তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছেন; কিন্তু তাদের বেশির ভাগই ঋণ পরিশোধ করছেন না। নানা কৌশলে পার পেয়ে যাচ্ছেন। খেলাপি ঋণ কমাতে দেদার ঋণ পুনঃতফসিল করছে বেশিরভাগ ব্যাংক। এর পরও না কমে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। এতে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে ব্যাংকিং খাত। বড় উদ্যোক্তারা ঋণ পরিশোধ না করায় ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পাহাড় জমে যাচ্ছে। ফলে খেলাপি ঋণ পরিচর্যা করতে ব্যাংকের আয় কমে যাচ্ছে। পাশাপাশি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতিও কমানো যাচ্ছে না। খেলাপি ঋণের প্রভাবে মূলধন ঘাটতি মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে ১০টি ব্যাংক। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এসব ব্যাংকের ১৮ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ও বিশেষায়িত খাতের ৬ টি, বেসরকারি খাতের তিনটি ব্যাংক ও বিদেশি একটি ব্যাংক রয়েছে। তবে সার্বিকভাবে ব্যাংকগুলোতে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে মূলধন ঘাটতির পরিমান কিছুটা কমেছে। গত বছর ২৩ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতি ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সামনে ব্যাংকিং খাতসহ গোটা অর্থনীতিকে কঠিন মূল্য দিতে হবে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনিয়ম, দুর্নীতি আর নানা অব্যবস্থাপনায় ব্যাংক খাতে চলছে এক ধরনের সেচ্ছাচারিতা। যাচাই-বাছাই না করে ভুয়া প্রতিষ্ঠানে ঋণ দেয়া হয়েছে। যা পরবর্তিতে খেলাপি হয়ে পড়ছে। এসব ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। বাড়তি অর্থ যোগাতে হাত দিতে হচ্ছে মূলধনে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে সংকট। দেশের প্রথম প্রজন্মের একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকও নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বড় ঋণখেলাপিদের কারণেই ব্যাংক সম্পদের গুণগত মান কমে যাচ্ছে। বাড়ছে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ। এতে ব্যাংকগুলো প্রয়োজনীয় মূলধন সংরক্ষণ করতে পারছে না। ফলে বাড়ছে ঝুঁকি। দেশের অর্থনীতির স্বার্থেই বড় ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে ঋণ আদায় এখন সময়ের দাবি।
×