ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে ফিরেই অভিনন্দিত আবাহনীর ফুটবলাররা

প্রকাশিত: ১১:০৩, ২৯ জুন ২০১৯

 দেশে ফিরেই অভিনন্দিত আবাহনীর ফুটবলাররা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ভারতের মিনেরভা পাঞ্জাবকে হারিয়ে উৎসবে ভাসছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। আগের দু’আসরে ব্যর্থ হলেও এবার এএফসি কাপের প্রথম রাউন্ডের গন্ডি পেরিয়ে নকআউট পর্বে জায়গা করে নিয়েছে ‘দ্য স্কাই ব্লু ব্রিগেড’ খ্যাত আবাহনী। ভারত থেকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখার পরেই ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন ফুটবলাররা। ক্লাব কর্মকর্তারা মিষ্টিমুখ করিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন খেলোয়াড়-কোচিং স্টাফদের। বোনাসও পাবেন তারা। দলের অন্যতম ফরোয়ার্ড সাদ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের খেলায় খুশি ক্লাব কর্মকর্তারা। তাই বড় অঙ্কের বোনাস দেবেন। সোমবার নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে বিপিএল ফুটবলে বিজেএমসির বিপক্ষে ম্যাচ শেষে ঢাকায় ফিরলেই ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর এই পুরস্কার দেবেন বলে জেনেছি।’ শারীরিক সমস্যার কারণে মাত্র ২৪ বছর বয়সেই খেলা ছাড়তে হয় পর্তুগীজ কোচ মারিও লেমোসের। তখন থেকেই পণ করেন, খেলোয়াড়ী জীবনে তেমন কিছু করতে না পারলেও কোচ হিসেবে সফল হবেন। এএফসি কাপে প্রথমবারের মতো ঢাকা আবাহনীকে নকআউট পর্বে তুলে দিয়েছেন তিনি। এবার আরও বড় ইতিহাস গড়তে চান এই পর্তুগীজ। লেমোসের কথায়, ‘একটিতো হলো, এখন আরেকটি ইতিহাস গড়ে আবাহনীকে আরও উঁচুতে নিয়ে যেতে চাই।’ বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে সবচেয়ে সফল দলগুলোর একটি হিসেবে ধরা হয়ে থাকে ঢাকা আবাহনী লিমিটেডকে। গত চার দশক ধরেই লাগাতার সাফল্য পেয়ে আসছে তারা। ধরে রেখেছে সাফল্যের ধারাবাহিকতা। ১১ বার ঢাকা লীগ, ৬ বার প্রিমিয়ার লীগ, ১১ বার ফেডারেশন কাপ, ১ বার স্বাধীনতা কাপ, ১ বার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, ১ বার সুপার কাপ, ১ বার ডামফা কাপ, ১ বার বিটিসি ক্লাব কাপ এবং ৩ বার বিদেশী টুর্নামেন্ট (১ বার করে নাগজি কাপ, চার্মস কাপ ও বরদলুই ট্রফি, সবগুলোই ভারত থেকে জেতা) চ্যাম্পিয়ন হয়ে মোট ৩৬টি ট্রফি করায়ত্ত করেছে ৪৭ বছর বয়সী ‘দ্য স্কাই ব্লু ব্রিগেড’ খ্যাত আবাহনী। তারাই বাংলাদেশের একমাত্র ক্লাব যারা সবচেয়ে বেশি ৫ বার ‘এএফসি প্রেসিডেন্টস কাপ’ এবং সবচেয়ে বেশি ৩ বার ‘এএফসি কাপ’ খেলেছে। কিন্তু এই দুটি আসরেই তাদের ব্যর্থতা ছিল বিস্ময়কর। কেননা এই দুটি আসরেই তারা কখনই প্রথম রাউন্ডের গন্পেডি রিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উন্নীত হতে পারেনি। তবে এএফসি কাপে আগের দু’বারের ব্যর্থতা কাটিয়ে এবার দ্বিতীয় পর্বে খেলার প্রত্যাশা তাদের ঠিকই পূরণ হয়েছে। এবারের প্রতিযোগিতায় গ্রুপপর্বে এশিয়ার ৩৬ লীগ শিরোপাধারী দলকে ৯টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি গ্রুপে আছে ৪টি করে দল। এই দলগুলোকে আবার ৫টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো : পশ্চিম, মধ্যম, দক্ষিণ, পূর্ব ও আসিয়ান অঞ্চল। পশ্চিম ও আসিয়ান অঞ্চলের মধ্যে ৬টি গ্রুপসহ মধ্যম, দক্ষিণ ও পূর্ব অঞ্চলে ১টি করে ৩টি নিয়ে মোট ৯টি গ্রুপ। দক্ষিণ অঞ্চলের ‘ই’ গ্রুপে পড়েছিল আবাহনী। এক সময় এশিয়ার ক্লাবগুলো নিয়ে তিনটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতো এএফসি। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ, এএফসি কাপ ও এএফসি প্রেসিডেন্টস কাপ- এই তিনটির মধ্যে বাংলাদেশের ক্লাবগুলোর সুযোগ হতো প্রেসিডেন্টস কাপে। ২০০৮ সাল থেকে এএফসির ক্লাব টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়েছে এএফসি প্রেসিডেন্টস কাপ। নিচের সারির ক্লাবগুলো প্রথমে এএফসি কাপের গ্রুপপর্ব খেলে যোগ্যতা অর্জন করতে হয় নকআউট পর্বের।
×