ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

লঙ্কানদের বিরুদ্ধে রাবাদাদের দাপট

প্রকাশিত: ১১:০৩, ২৯ জুন ২০১৯

 লঙ্কানদের বিরুদ্ধে রাবাদাদের দাপট

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নানা জটিল সমীকরণের মাঝে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন কিছুটা হলেও টিকে ছিল শ্রীলঙ্কার। আগেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিতলে বেশ উজ্জ্বল হতো সেই সম্ভাবনা। কিন্তু শুক্রবার প্রোটিয়া বোলিং তোপে ৪৯.৩ ওভারে মাত্র ২০৩ রানে অলআউট ১৯৯৬’র বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তাদের আট ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কে পৌঁছালেও কেউই ৩০-এর বেশি স্কোর করতে পারেননি। তাতেই অল্প রানে আটকে যেতে হয় দলটিকে। বিপরীতে দক্ষিণ আফ্রিকার গতি তারকারা আগুন ঝরান। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ও ক্রিস মরিস নেন ৩টি করে উইকেট। কাগিসো রাবাদার ঝুলিতে জমা পড়ে ২ উইকেট। টসে হেরে ব্যাটিং পাওয়া শ্রীলঙ্কা ইনিংসের প্রথম বলেই জোর ধাক্কা খায়। হারায় অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নের উইকেট। কাগিসো রাবাদার লাফিয়ে ওঠা বল তার ব্যাটের ওপরের দিকের অংশ ছুঁয়ে জমা পড়ে প্রোটিয়া দলনেতা ফ্যাফ ডু প্লেসিসের হাতে। রানের খাতা খোলার আগে উইকেট হারালেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে জেঁকে বসতে দেননি কুসল পেরেরা ও আভিস্কা ফার্নান্দো। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন তারা। গড়েন ৫৭ বলে ৬৭ রানের জুটি। এরপরই ছন্দপতন ঘটে লঙ্কানদের। ১১ বল আর ৫ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন উইকেটে মানিয়ে নিয়ে দারুণ খেলতে থাকা কুসল পেরেরা ও আভিস্কা। দু’জনই খেলেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস। দু’জনকেই ফেরান বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা পেসার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। এই দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর পথ হারায় শ্রীলঙ্কা। প্রতিপক্ষের বোলারদের দাপটে নিয়মিত বিরতিতে হারাতে থাকে উইকেট। তাই তাদের ছোট ছোট জুটিগুলো বড় হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মাথাব্যথার কারণ হতে পারেনি। ভীষণ বিপদের মাঝে চতুর্থ উইকেটে কুসল মেন্ডিস আর আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলকে জয়ের পুঁজি পাইয়ে দেয়া এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস মিলে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা চালান। কিন্তু বেশিদূর এগোতে পারেননি তারা। ম্যাথুস (২৯ বলে ১১) ফেরেন ক্রিস মরিসের বলে বোল্ড হয়ে। কুসল মেন্ডিসকে (৫১ বলে ২৩) নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন প্রিটোরিয়াস। এরপর জুটি গড়ার ইঙ্গিত ছিল ধনঞ্জয়া ও ডি সিলভা জীবন মেন্ডিসের ব্যাটেও। বোলিংয়ে পরিবর্তন এনে সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিস। জেপি ডুমিনি আক্রমণে আসার পর প্রথম বলেই রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন ধনঞ্জয়া (৪১ বলে ২৪)। ফের আরেকটি চেষ্টা। এবারে জুটি বাঁধেন জীবন ও থিসারা পেরেরা। ফের একই পরিণতি। অল্প দূর গিয়েই শেষ। জীবনকে (৪৬ বলে ১৮) আউট করেন মরিস। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে থিসারা (২৫ বলে ২১) সাজঘরে ফেরেন আন্দিল ফেলুকায়োর শিকার হয়ে। আগের সাত সতীর্থের মতো দুই অঙ্কে পৌঁছানো ইসুরু উদানাকে (৩২ বলে ১৭) মাঠের বাইরে পাঠাতে নিজের বলে নিজেই ফিরতি ক্যাচ নেন রাবাদা। আর লাসিথ মালিঙ্গাকে (২ বলে ৪) ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ বানিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নিয়ে ৩ বল বাকি থাকতে শ্রীলঙ্কাকে গুটিয়ে দেন মরিস। মরিস ৪৬ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। আর সফল পেসার প্রিটোরিয়াস ১০ ওভারে মাত্র ২৫ রান দিয়ে শিকার করেন ৩ উইকেট। সমান উইকেটের জন্য তারকা পেসার কাগিসো রাবাদা দেন ৩৬ রান।
×