ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় প্যারিসের সমান ঢাকা

প্রকাশিত: ১০:৫২, ২৯ জুন ২০১৯

 ব্যয়বহুল শহরের  তালিকায় প্যারিসের  সমান ঢাকা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ব্যয় আরও বেড়েছে ঢাকায় বসবাসকারী প্রবাসীদের। গতবছর প্রবাসীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় ৬৬তম হলেও, এ বছর তা এসে দাঁড়িয়েছে ৪৭তম অবস্থানে। ঢাকার সঙ্গে যৌথভাবে একই অবস্থানে আছে ফ্রান্সের অন্যতম সেরা পর্যটন নগরী প্যারিস। গতবারের মতো এবারও এ তালিকার শীর্ষে হংকং। খবর ইয়াহু নিউজের। গত বুধবার এ তালিকাটি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবসম্পদ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মার্সার। এ বছর প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল দশটি শহরের মধ্যে আটটিই রয়েছে এশিয়া মহাদেশে। এবারও দ্বিতীয় স্থানে আছে জাপানের রাজধানী টোকিও। আর, তিনে উঠে এসেছে সিঙ্গাপুর। একধাপ ওপরে উঠে চতুর্থ অবস্থানে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল। আর দুই ধাপ নিচে নেমে পাঁচে দাঁড়িয়েছে সুইজারল্যান্ডের শহর জুরিখ। এশিয়ার বাইরে সেরা দশে থাকা দ্বিতীয় শহর হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক। ২০১৮ সালের ১৩তম থেকে এ বছর নবমস্থানে উঠে এসেছে শহরটি। ব্যয়বহুল শহরের সংখ্যায় সবচেয়ে এগিয়ে চীনে। গতবছরের চেয়ে একধাপ ওপরে উঠে ষষ্ঠ স্থানে আছে দেশটির সাংহাই শহর। আটে আছে বেজিং (গতবার ৯ম) ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শেনঝেন আছে ১০ম স্থানে (গতবার ১২তম)। এ তালিকায় সেরা দশে উঠে আসা নামগুলোর মধ্যে সবচেয়ে চমক জাগানিয়া হচ্ছে আশগাবাদ। গতবছর ৪৩তম হলেও, এ বছর এক লাফে সাতে উঠে এসেছে তুর্কমেনিস্তানের শহরটি। এবারও ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর মুম্বাই। গতবছর তালিকার ৫৫তম স্থানে থাকলেও, এ বছর তা পিছিয়ে ৬৭তম স্থানে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, নয়াদিল্লী ১১৮তম, চেন্নাই ১৫৪তম, বেঙ্গালুরু ১৭৯তম ও কলকাতা আছে ১৮৯তম অবস্থানে। তালিকায় সবার নিচে, অর্থাৎ প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল শহরের স্বীকৃতি পেয়েছে তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিস (২০৯)। এর পরেই আছে উজবেকিস্তানের রাজধানী তাশখন্দ (২০৮) ও পাকিস্তানের করাচি (২০৭)। নিউইয়র্কে বসবাসের খরচকে মানদণ্ড ধরে অন্য শহরের তুলনা করে ব্যয়বহুল শহরের এ তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। এ বছর পাঁচ শতাধিক শহরে জরিপ করা হলেও, তালিকায় রাখা হয়েছে ২০৯টি। জরিপে প্রতিটি শহরের ২০০টি বিষয়ের তুলনা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাসা ভাড়া, যাতায়াত, খাবার, পোশাক, নিত্যপণ্য ও বিনোদনের খরচ। প্রতিটি পণ্যের দাম মার্কিন ডলারের বিপরীতে ওই দেশের মুদ্রার মানের সঙ্গে তুলনা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
×