ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেছে পুলিশ কনস্টেবলসহ ৭ জন

প্রকাশিত: ১০:০৬, ২৯ জুন ২০১৯

 বরিশালে ইয়াবা  দিয়ে ফাঁসাতে  গিয়ে ফেঁসে  গেছে পুলিশ কনস্টেবলসহ  ৭ জন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশাল সদর উপজেলায় ইয়াবা দিয়ে হাবিবুর রহমান নামে ভাড়ায় চালিত এক মোটরসাইকেলের চালককে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন পুলিশের কনস্টেবলসহ সাতজন। এর মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতের নির্দেশে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বাকি পাঁচ আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। নগরীর এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব-উল আলম এসব তথ্য জানিয়েছেন। পুলিশ জানায়, গত ১৯ জুন বিকেলে উপজেলার রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নের পপুলার স্কুল এলাকায় হাবিবুর রহমানকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়। এদিন মাছ ব্যবসায়ী হালিম হাওলাদার ও স্বাস্থ্য বিভাগের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আলতাফ হোসেনকে আটক করা হয়। ঘটনার শিকার হাবিবুর রহমান রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের কুলাকানা গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। হালিম হাওলাদার ও আলতাফ হোসেন ছাড়া বাকি অভিযুক্তরা হলেন, অবসরপ্রাপ্ত কারারক্ষী আবুল কালাম তালুকদার ও তার ভাই পুলিশ কনস্টেবল গিয়াসউদ্দিন (যশোরে কর্মরত) এবং প্রতিবেশী আবুল হোসেন, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল খান ও মিজানুর রহমান। ওসি মাহবুব-উল-আলম বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে হাবিবকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন তার দুই সৎ চাচা অবসরপ্রাপ্ত কারারক্ষী কালাম ও কনস্টেবল গিয়াস। তারা ২০ হাজার টাকা দিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের পিওন আলতাফ, মাছ ব্যবসায়ী হালিম এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলসহ বাকিদের সম্পৃক্ত করেন।’ ওসি বলেন, ‘গত বুধবার বিকেলে হাবিবের মোটরসাইকেল ভাড়া করেন হালিম। পথে মোটরসাইকেলে উঠেন আলতাফ। দক্ষিণ কড়াপুর পপুলার স্কুল এলাকায় পৌঁছালে হাবিবকে মোটরসাইকেল থামাতে বলেন হালিম ও আলতাফ। এ সময় তারা হাবিবের পকেটে জোর করে ইয়াবা বড়ি ঢুকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তা না পেরে তারা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা বাবুলের মোবাইল ফোনে কল দেন এবং হাবিবকে ইয়াবাসহ আটক করেছেন বলে দাবি করেন। বাবুল ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানান। ইউপি চেয়ারম্যান এয়ারপোর্ট থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে হালিম ও আলতাফসহ হাবিবকে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় হাবিব, হালিম ও আলতাফকে জিজ্ঞাসাবাদে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে।’ মাহবুব-উল আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন হাবিব। গ্রেফতারকৃত দুইজনকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাকি পাঁচ আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’
×