ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মাদারীপুরে চার পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ২৯ জুন ২০১৯

  মাদারীপুরে চার পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক  ব্যবস্থা

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ২৮ জুন ॥ মাদারীপুরে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগে পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ সুপারের বডিগার্ডসহ ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বডিগার্ডসহ ২ কনস্টেবলকে আটকের পর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে নেয়া হয়েছে। এছাড়া একই অভিযোগে আরও দুই কর্মকর্তাকে জেলা থেকে অন্যত্র বদলি করেছে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন মাদারীপুরের পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার। জানা গেছে, মাদারীপুরে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে ঘুষ গ্রহণ ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে অপরাধীদের ধরার জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদারের দেহরক্ষী পুলিশ সদস্য নুরুজ্জামান সুমনকে মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহণের নগদ টাকাসহ আটক করা হয়। একই অভিযোগে পুলিশ লাইন্সের ম্যাস ম্যানেজার জাহিদ হোসেনকে আটক করে দু’জনকেই ঢাকা হেডকোয়ার্টার্সে পাঠিয়ে দেয় হয়। এ ছাড়াও টিএসআই গোলাম রহমান এবং পুলিশ হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী পিয়াস বালার কাছ থেকেও ঘুষের টাকা উদ্ধার করা হয়। ্ দুজনকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। ঘটনাটি গত সোমবার রাতে হলেও বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ। কয়েক দফায় মাদারীপুর জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি তারা। পরে বিষয়টি জানতে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া এ্যান্ড পিআর) সোহেল রানাকে মাদারীপুরের সাংবাদিকরা অবগত করলে তিনি আটকের বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপরে বৃহস্পতিবার রাতেই মাদারীপুর পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালাদার কয়েকজন সাংবাদিককে ডেকে এনে জরুরী সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি অবগত করেন। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া এ্যান্ড পিআর) সোহেল রানা মোবাইলে মাদারীপুরের সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাদারীপুরের একাধিক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগে টাকা গ্রহণের অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ হিসেবে কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি। আমরা সুস্থ এবং নির্ভেজাল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য যা যা করা দরকার পুলিশ হেডকোয়ার্টার তা করেছে। যে সকল জেলা থেকে আমরা খবর পেয়েছি সেখানেই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।’
×