ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডিসেম্বরের মধ্যে বস্তিবাসীর জন্য নিরাপদ পানি

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ২৮ জুন ২০১৯

ডিসেম্বরের মধ্যে বস্তিবাসীর জন্য নিরাপদ পানি

সংসদ রিপোর্টার ॥ সবার জন্য নিরাপদ পানি সরকারের এই ভিশনকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজধানীর সমস্ত বস্তিবাসীদের ডিসেম্বরের মধ্যে বৈধ ও নিরাপদ পানি সরবরাহ ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। মন্ত্রী জানান, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে রাজধানীতে ভূ-গর্ভস্থ পানির উৎসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি আর ৩০ ভাগ ভূ-গর্ভস্থ পানির উৎসের ওপর নির্ভরতা নিশ্চিত করে ঢাকাবাসীর মধ্যে পানি সরবরাহ করা হবে। তিনি বলেন, পানি সরবরাহে ঢাকা ওয়াসার গৃহীত বর্তমানে চলমান বৃহৎ প্রকল্পগুলো হলো-সায়েদাবাদ পানি শোধানাগার প্রকল্প, পদ্মা যশলদিয়া পানি শোধনাগার প্রকল্প, গর্ন্ধবপুর পানি শোধনাগার প্রকল্প। রাজধানীতে নিরাপদ এবং প্রেসারাইজড পানি সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে নতুন ট্রেঞ্চলেস প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সমস্ত পানির লাইন পরিবর্তন করে আধুনিক পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, শতভাগ স্যানিটেশন কভারেজের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে ৯৯ শতাংশ জনগণ মৌলিক স্যানিটেশনের অন্তর্ভুক্ত। মৌলিক স্যানিটেশনের দিক থেকে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে। সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ রাজধানী ঢাকার সারফেস ড্রেন, অগভীর নর্দমাসমূহ নির্মাণ ও রক্ষণাবেরক্ষণ করে থাকে। রাজধানী ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই উভয় সিটিতে নিদের্শনা প্রদান করা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে উভয় সিটিই ড্রেনসমূহ নিয়মিত পরিষ্কারকরণ কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে কালশী ও মুসলীম বাজার খাল পরিষ্কার করা হয়েছে।
×