স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ১৯৯২-এর বিশ্বকাপের সঙ্গে মিল খুঁজতে রাজি নন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিতে সেবারের মতোই বিশ্বকাপে প্রথমবার কিউইদের বিজয়রথ আটকে দিল পাকিস্তান। এবারের বিশ্বকাপে তৃতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখল সরফরাজের দল। জিতে পাক অধিনায়ক বললেন, আমরা ’৯২-এর সঙ্গে মিল নিয়ে ভাবতে রাজি নই। প্রতিটা ম্যাচ ধরে ধরে চলতে চাই। আমরা দল হিসেবে আত্মবিশ্বাসী, আশাকরি এবার ভাল ফল করব আমরা।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিরুদ্ধে হারের পর পাক দলকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রাক্তন পাকিস্তানী ক্রিকেটারদেরও ক্ষোভের মুখে পড়েন সরফরাজরা। গতকাল বার্মিংহ্যামে বাবর আজমের শতরান ও শাহিন শাহ আফ্রিদির দশ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেটের ওপর ভর করে দারুণভাবে ফিরে আসে পাকবাহিনী। যদিও সেমিফাইনালে যেতে হলে তাদের জিততে হবে বাকি দু’টি ম্যাচও। তাকিয়ে থাকতে হবে ইংল্যান্ডের ম্যাচের ফলাফলের দিকেও। ম্যাচ শেষে পাক অধিনায়ক বাবর আজমের প্রশংসা করে বলেন, এই পিচে ব্যাট করা সহজ ছিল না। আমাদের লক্ষ্য ছিল পুরো পঞ্চাশ ওভার ব্যাট করা। বাবর ও হারিস সোহেল সেই কাজটাই নিখুঁতভাবে করেছে।
নিউজিল্যান্ডের ইনিংসেও কেন উইলিয়ামসন ছাড়া শুরুর দিকে কেউই সেইভাবে দাগ কাটতে পারেননি। শেষের দিকে দুই অলরাউন্ডার নিশাম ও গ্র্যান্ডহোমের ১৩২ রানের পার্টনারশিপ না হলে আরও বিপদে পড়তে হতো কিউইদের। তাতেও অবশ্য এই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম হার বাঁচাতে ব্যর্থ হয়েছে নিউজিল্যান্ড। এ রকম শক্তিশালী দলকে হারিয়েও অতি উচ্ছ্বাসে ভাসতে রাজি নন পাক অধিনায়ক সরফরাজ। নিজেদের এই জয় থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার কঠিন রাস্তা পার করতে চায় পাক দল। আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পরবর্তী ম্যাচেও নিজেদের এই জয়ের ধারা বজায় রাখতে চান সরফরাজরা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: