ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নৌ যোগাযোগের কোনো বিকল্প নেই : খালিদ মাহমুদ

প্রকাশিত: ০৮:১১, ২৭ জুন ২০১৯

 নৌ যোগাযোগের কোনো বিকল্প নেই : খালিদ মাহমুদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভারতকে পরীক্ষিত বন্ধু উল্লেখ করে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকার ভারতের সঙ্গে নৌ যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ভারতও বাংলাদেশের নৌ পথ উন্নয়নে সহায়তা করছে। একই সঙ্গে দেশে নৌ পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এজন্য সামরিক শাসকদের জারি করা নৌ পরিবহন সংক্রান্ত অধ্যাদেশগুলো বিলুপ্ত করে আধুনিক নৌ পরিবহন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ইমক্যাব ডায়ালগ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃব্য নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে কর্মরত ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্টস এ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইমক্যাব) ‘বাংলাদেশ-ভারত নৌ যোগাযোগ: সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক এই ডায়ালগের আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি বাসুদেব ধরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স-এর উপদেষ্টা নকিব আহমেদ ও পরিচালক ইশান্তর শুভ পন্ডিত। অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ইমক্যাব সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সবুজ। ইমক্যাব যুগ্ম সম্পাদক শাহিদুল হাসান খোকনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন কুদ্দুস আফ্রাদ ও মীর আফরোজ জামান, আশীষ কুমার দে, প্রবীর কুমার গাঙ্গুলী। নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের কোন সমস্যা নেই। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারাই সমস্যা তৈরি করে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছিল। কিন্তু এখন দু’দেশের মৈত্রী নতুন উচ্চতায়। তিনি বলেন, মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির আলোকে যদি আমরা পথ চলতাম তাহলে কোন সমস্যাই হত না। কিন্তু যারা চুক্তির বিরোধীতা করেছে তারা ক্ষমতায় থাকতে চুক্তি বাতিল করেনি বরং ভারতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে। সুচনায় উপস্থাপিত ধারণাপত্রে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারত- বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থে ভারতের সঙ্গে এ ভূখন্ডের নৌ যোগাযোগের কোনো বিকল্প নেই। ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে, যেগুলো বাংলাদেশ ও ভারতের ওপর দিয়ে প্রবাহিত; যা নৌপথে সরাসরি যোগাযোগের জন্য বড় সহায়ক। তাই আমরা যদি দু’দেশের মধ্যে উন্নত নৌ যোগাযোগ স্থাপন ও সম্প্রসারণ করতে পারি তাহলে পণ্য পরিবহন ব্যয় অন্তত ৬০ শতাংশ কমে আসবে। এতে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে এবং ভারতের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতিও ধীরে ধীরে কমে আসবে। এছাড়া নৌ যোগাযোগ বৃদ্ধি পেলে আমাদের স্থলবন্দরগুলো ও সড়কের ওপর চাপ অনেক কম পড়বে। পাশাপাশি নৌপরিবহন ব্যবস্থা অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব। মন্ত্রী বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে ও স্থলবন্দরগুলোর ওপর চাপ কমাতে নৌপথের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উভয় দেশের নৌবাণিজ্য বাড়াতে হবে। তবে এক্ষেত্রে অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন ইস্যুর সমাধান হওয়া জরুরী। এর মাধ্যমে উভয় পক্ষই লাভবান হতে পারে। দু’দেশের নৌ- যোগাযোগ বাড়লে নৌ-যানবাহনের পরিমাণ বাড়বে। এগুলো তৈরির সুযোগটি বাংলাদেশ নিতে পারবে। নৌপরিবহন বাড়লে 'অফসিজনে' নৌযানগুলোকে যাত্রী তথা পর্যটক পরিবহনের কাজে লাগানো যেতে পারে।
×