ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচটি হয়ে যেতে পারে 'ডু অর ডাই' ম্যাচ

প্রকাশিত: ০০:৪৮, ২৭ জুন ২০১৯

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচটি হয়ে যেতে পারে 'ডু অর ডাই' ম্যাচ

অনলাইন ডেস্ক ॥ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমিফাইনাল যাত্রার রোমাঞ্চ আরো উপভোগ্য হয়ে উঠছে, বিশেষত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের ছয় উইকেটের জয়ের পর পাকিস্তান এখন পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বরে অবস্থান করছে। পাকিস্তান নেট রান রেটে বাংলাদেশের ঠিক পেছনে অবস্থান করছে। নিউজিল্যান্ড যদি পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতে যেত সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হতো নিউজিল্যান্ডের। গেল সপ্তাহেও সেমিফাইনালে যাওয়া চারটা সম্ভাব্য দলের নাম প্রত্যাশিতই ছিল, কিন্তু ইংল্যান্ডের টানা দুই হার ও নিউজিল্যান্ডের একটি হার বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে। পাকিস্তান কেন উদ্বেগের কারণ? বিশ্বকাপের রাউন্ড রবিন পর্বে যেখানে সবাই সবার সাথে একটি করে ম্যাচ খেলছে, সেখানে যদি পয়েন্ট সমান হয় সেক্ষেত্রে দেখা হয় দুই দলের মুখোমুখি দেখায় জয়ী দল কে এবং নেট রান রেট। সেমিফাইনালের দৌঁড়ে থাকা একমাত্র পাকিস্তানের বিপক্ষেই ম্যাচ বাকি আছে বাংলাদেশের। ভারতের বিপক্ষে একটি ম্যাচ হাতে থাকলেও ভারত ৫ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শক্ত অবস্থানে আছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগেই হয়তো তারা সেমিফাইনাল যাত্রা নিশ্চিত করে ফেলবে। পাকিস্তান এই বিশ্বকাপে বেশ উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র একটি জয় পেয়েছে এ পর্যন্ত, সেই একটি জয়ই পাকিস্তানের বিপক্ষে যেই ম্যাচে পাকিস্তান মাত্র ১০৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়। পাকিস্তানের বাকি দুটি ম্যাচ, যেই ম্যাচ দুটিতে জয় পেলে চতুর্থ স্থানের জন্য শক্তিশালী অবস্থানেই থাকবে তারা। একটি ম্যাচ বাকি আফগানিস্থানের সাথে, যারা এখনো কোনো দলকেই হারাতে পারেনি। তাই বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচটি হয়ে যেতে পারে একটি 'ডু অর ডাই' ম্যাচ। পাকিস্তানের যারা ভালো করছে বাবর আজম : বাবর আজমের সেঞ্চুরিতেই নিউজিল্যান্ডকে অনায়াসে হারিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের বোলিং নিয়ে তেমন উদ্বেগ না থাকলেও ব্যাটিং পাকিস্তানের বরাবরের দুশ্চিন্তার কারণ। বাবর আজম এখন পর্যন্ত ছয়টি ম্যাচে ব্যাট করে ৩৩৩ রান তুলেছেন, প্রায় ৬৬ গড়ে। বিশ্বকাপের সেরা রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। দুর্দান্ত ফুটওয়ার্ক ও স্পিন খেলার দক্ষতার কারণেই ক্যারিয়ারের শুরু থেকে তাকে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপে ভরসা মনে করা হয়। এই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অন্যতম উদ্বেগের কারণ ছিল দুই সিনিয়র ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিকের অফ-ফর্ম। শোয়েব মালিককে বেঞ্চে বসিয়ে নামানো হয় হারিস সোহেলকে, হারিস সোহেল তিন ম্যাচে ১৬৫ রান তুলে নিয়েছেন। তবে পাকিস্তানের চিরাচরিত শক্তির জায়গা পেস বোলিং। যেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বড় মঞ্চের ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির। ছয় ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তার সাথে যোগ দিয়েছেন শাহেন শাহ আফ্রিদি। যিনি ৩ ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ১০ ওভার বল করে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছেন নিউজিল্যান্ডের টপ অর্ডারে ধ্বস নামাতে। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ গেলো ৫ বছরে কোনো ওয়ানডে ম্যাচ হারেনি : বাংলাদেশ শেষবার পাকিস্তানের বিপক্ষে হারে ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে। এরপর বাংলাদেশের মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও প্রতি ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পায়। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপ ও ২০১৮ সালের ওয়ানডে ফরম্যাটের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ জয় পায়। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৫, প্রায় ১৬ বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। সূত্র : বিবিসি বাংলা
×