ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে কাদের

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ’২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন

প্রকাশিত: ১০:৪২, ২৭ জুন ২০১৯

 স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ’২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন

সংসদ রিপোর্টার ॥ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেলের উদ্বোধন হবে বলে সংসদে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, আগামী ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হবে। ওইদিনে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্মিতব্য বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। মন্ত্রী আরও জানান, ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসন ও পরিবেশ উন্নয়নে বর্তমান সরকার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে ৬টি মেট্রোরেল সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা প্রাক্কলিক ব্যয়ে উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ ১৬ স্টেশনবিশিষ্ট উভয়দিকে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহনে সক্ষম আধুনিক, সময় সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুত চালিত ম্যাস র‌্যাপিড ট্রান্সজিট (এমআরটি) নির্মাণের লক্ষ্যে ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৬) বা বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। গত ৩১ মে পর্যন্ত এ প্রকল্পের গড় অগ্রগতি ২৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। প্রথম পর্যায়ের নির্মাণের উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে আগারগাঁও অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৪০ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ইতোমধ্যে ৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট দৃশ্যমান হয়েছে। সরকারী দলের সদস্য শফিকুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বহুমাত্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে দেশের এক হাজার ৭৫২ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ধীর গতির যানবাহন চলাচলের জন্য উভয়দিকে সার্ভিস লেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানান, ২০০৯-১৮ সাল পর্যন্ত গত ৯ বছরে বিআরটিসির অপারেটিং লাভ হয়েছে ৭ লাখ ৮ হাজার টাকা। বর্তমানে এ সংস্থায় বাস ও ট্রাকের সংখ্যা এক হাজার ৮৮৩টি। এরমধ্যে এক হাজার ৫৪৪টি বাস ও ট্রাক ৩৩৯টি। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, মহাসড়কে চলন্তগাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে যথাক্রমে দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ ও ৬০ কিলোমিটার। হাইওয়ে পুলিশ স্প্রিড ডিটেক্টরের মাধ্যমে গতি নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। দূরপাল্লার গাড়ি চালকের একটানা ৫ ঘণ্টার বেশি গাড়ি না চালানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালন ও ফিটনেসবিহীন ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সরকারী দলের শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১০ জেলায় মহাসড়ক নেই। জেলাগুলো হচ্ছে- শরীয়তপুর, নেত্রকোনা, জয়পুরহাট, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, খাড়গাছড়ি, সুনামগঞ্জ, চাঁদপুর, বরগুনা ও পিরোজপুর।
×