ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কার্প মাছের উৎপাদন বাড়াতে হ্যাচারিতে দেয়া হলো ৩৯ হাজার পোনা

প্রকাশিত: ০৯:৪২, ২৭ জুন ২০১৯

  কার্প মাছের উৎপাদন বাড়াতে হ্যাচারিতে দেয়া হলো  ৩৯ হাজার পোনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সর্বোচ্চ জেনেটিক গুণসম্পন্ন চীন থেকে আমদানিকৃত প্রায় ৩৯ হাজার কার্প জাতীয় মাছের পোনা দেশের ৯ সরকারী হ্যাচারিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। পোনা মাছের মধ্যে রয়েছে সিলভারকার্প, বিগহেডকার্প ও গ্রাসকার্প। বুধবার মৎস্য অধিদফতরের আওতায় ‘ব্রুডব্যাংক স্থাপন প্রকল্পের (৩য় পর্যায়)’ উদ্যোগে মৎস্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে হ্যাচারির কর্মকর্তাদের কাছে এসব পোনা হস্তান্তর করেন মৎস্য প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। মন্ত্রণালয়ের এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, ঝিনাইদহের কোর্টচাঁদপুর কেন্দ্রীয় মৎস্য-হ্যাচারি কমপ্লেক্স, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর মৎস্যপ্রজনন ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র, নরসিংদীর বাগহাটা মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার, দিনাজপুরের পার্বতীপুর মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার, নাটোরের কারবালা মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার, বরিশালের গৌরনদী মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার, মেহেরপুর সদরের মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার, ময়মনসিংহের মাসকান্দা মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার ও গাজীপুরের টঙ্গী মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারে এসব পোনা দেয়া হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, দেশ স্বাধীনের পর আশির দশকে প্রাকৃতিক মাছ দিয়ে দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদাপূরণ অসম্ভব হয়ে দাঁড়ালে সরকার মৎস্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশীয় কার্পজাতীয় মাছের পাশাপাশি চাইনিজ কার্প চাষীদের মাঝে সম্প্রসারিত ও জনপ্রিয় করে তোলে। কিন্তু সঠিক ব্রিডিং প্রটোকল অনুসরণ না করায় একসময় কার্পের আন্তঃপ্রজনন-সমস্যার সৃষ্টি হয় এবং এ মাছের বৃদ্ধি ও উৎপাদন দিন দিন কমতে থাকে। ফলে গত ১৩ জুন সরকার সঠিক গুণমানসম্পন্ন এই তিন প্রজাতির সাড়ে তিন সেন্টিমিটার সাইজের ৩৮ হাজার ৪৬১টি ক্রমবর্ধনশীল কার্প মাছ আমদানি করে, যার মধ্যে সিলভারকার্প ১২ হাজার ৮২০টি, বিগহেডকার্প ১২ হাজার ৮২০টি এবং গ্রাসকার্প ১২ হাজার ৮২১টি।
×