ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

থমকে আছে কর্ণফুলী পাড়ের উচ্ছেদ অভিযান, খাল সংস্কারেও ঢিলেমি

প্রকাশিত: ১১:০৬, ২৬ জুন ২০১৯

থমকে আছে কর্ণফুলী পাড়ের উচ্ছেদ অভিযান, খাল সংস্কারেও ঢিলেমি

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ কর্ণফুলী নদীতে জেগে ওঠা চরে অবৈধভাবে নির্মিত সেই বরফকল ও হিমাগার যেমন উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না, তেমনি এ নদীর উভয়পাশে যে ২ হাজার ১৮৭ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ছিল সে ক্ষেত্রে মাত্র ২৩০ স্থাপনা উচ্ছেদ করার পর সে কার্যক্রম যে থমকে গেছে তা আর এগোয়নি। অপরদিকে, চট্টগ্রাম মহানগরীর অভ্যন্তর হয়ে যে ৩৭ খাল কোন না কোনভাবে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে মিলিত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে ১৩টির কাজও তেমন এগোয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, এক্ষেত্রে ভরাট হয়ে থাকা সবক’টি খাল সংস্কার যদি সম্পন্ন করা যেত এবং এর পাশাপাশি উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্ণফুলী নদীর দুপাড়ের সকল অবৈধ স্থাপনা সরানো যেত এবং নদীতে জেগে ওঠা তীর অর্থাৎ রাজাখালীর মোহনায় অবৈধভাবে নির্মিত বরফকল ও হিমাগার সরিয়ে ফেলা যেত তাহলে এবারের বর্ষা মৌসুমে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম মারাত্মক জলজট থেকে অনেকাংশে রক্ষা পেত। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে এর কিছুই হলো না। শুধু সিডিএ’র উদ্যোগে সেনা ব্যবস্থাপনায় ১৩ খালের সংস্কার এগোচ্ছে। অবশিষ্ট খালগুলোকে সংস্কারের কাজটি সম্পন্ন করা গেলে তা অনেকাংশে দুর্ভোগ লাঘবে কার্যকর ভূমিকা রাখত বলে নগর পরিকল্পনাবিদদের বিভিন্ন সূত্রে জানানো হয়েছে। এদিকে, আষাঢ় মাস চলছে। কিন্তু ভারি বর্ষণ এখনও শুরু হয়নি। এ অবস্থায় জোয়ারের পানি ঢুকছে লোকালয়ে। এতেই মানুষের দুর্ভোগ শুরু হয়েছে সীমাহীন। অবশ্য এ জোয়ারের পানি ঢুকছে আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকার বিভিন্ন স্থানে। এ পরিস্থিতি সহসা বাণিজ্যিক এলাকা চাক্তাই খাতুনগঞ্জেও পরিলক্ষিত হবে, যা গত বছর হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে ভারি বর্ষণের সময় পরিস্থিতি নিয়ে নগরবাসী এখন থেকে যেমন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, তেমনি আতঙ্কিতও বটে। খাল সংস্কারের কাজটি একটি মেগাপ্রকল্প হিসেবে গ্রহণ করেছে সরকার। ৩৭টি খালের মধ্যে ১৩টি খালের কাজ নিয়ে বছর গড়িয়ে গেছে। কিছু কিছু খাল পরিষ্কার করার কথা দাবি করা হলেও কাক্সিক্ষত পর্যায়ে তা পৌঁছেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিটি খাল এখনও ভরাট অবস্থায় আবর্জনায় যুক্ত হয়ে পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভারি বর্ষণ শুরু হলে এসব খাল দিয়ে সহজভাবে পানি প্রবাহিত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ার সুযোগ এখনও সৃষ্টি করা যায়নি।
×