ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকারী চাকরিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হচ্ছে

প্রকাশিত: ১১:০৩, ২৬ জুন ২০১৯

সরকারী চাকরিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হচ্ছে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সরকারী চাকরিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছু অনুশাসন দিয়েছেন। তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কোন কর্মকর্তা মাদকাসক্ত হলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো’ টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। মাদক সংশ্লিষ্ট কেউ রেহাই পাবে না। মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকারী চাকরির ক্ষেত্রে ডোপটেস্টের জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অনুশাসন দিয়েছেন। এটা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন হবে। সরকারী কর্মকর্তারাও যদি মাদকাসক্ত হন তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারী চাকরিতে প্রবেশের সময় ডোপটেস্ট করা হবে। রক্তে যদি মাদক পাওয়া যায় তাহলে তার আবেদন বাতিল বা গ্রহণ করা হবে না। ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত মাদক নিয়ন্ত্রণে সুরক্ষিত কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে বারবার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোন কথাই কার্যকর হয়নি। আমরা তাদের বারবার অনুরোধ করেছি। তারা পাল্টা বলে আসছে এগুলো অবৈধ। আমরা চাই এ কথার বাস্তবায়ন হোক। কারণ তারা এগুলোর বিরুদ্ধে সবসময় বলে আসলেও কাজ হচ্ছে না। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। এখন ভারত থেকে ফেনসিডিল আনার সংখ্যা অনেক কমে গেছে। আগে ভারত থেকে যে পরিমাণ ফেনসিডিল আসত এখন তার ৫৯ ভাগও আসে না। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যারা ফেনসিডিল তৈরি করে তারা যাতে সেখানে কাজটি না করে সে বিষয়ে ভারতকে বলা হয়েছে। ভারতও সে বিষয়ে কাজ করছে। এরপরেও কিছু যে আসছে না আমি সেটা বলব না। আমরা সেই জায়গাটিতে কাজ করছি। অন্যদিকে ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত শক্তিশালী করা হয়েছে। সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
×