ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ছাত্রীর

প্রকাশিত: ০৯:০২, ২৬ জুন ২০১৯

রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ছাত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও মানসিকভাবে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণুকুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে একই ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দেন। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, ‘আমি আমার বিভাগের শিক্ষক বিষ্ণুকুমার অধিকারীর দ্বারা বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি ও মানসিকভাবে উত্ত্যক্তের শিকার হই। যার কারণে আমি মানসিকভাবে অনেক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। আমি পড়াশুনা এবং অন্য কোন কাজেই মনযোগ দিতে পারছি না, মেন্টাল ট্রমায় ভুগছি।’ তাতে তিনি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরও উল্লেখ করেন, ‘কারণে অকারণে তার অফিসে ডেকে বসিয়ে রাখেন, ফ্রি মাইন্ডের কথা বলে নানা রকম ইঙ্গিতপূর্ণ ও অশালীন কথাবার্তা বলেন, অন্য নারী শিক্ষকদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন, শিক্ষক হওয়ার ক্ষমতা দেখাতেন। তিনি আমাকে প্রায়ই রাত ১১টার পর ফোন করে কথা বলেন।’ ওই শিক্ষার্থীর সামনে অভিযুক্ত শিক্ষক বিষ্ণুকুমার অধিকারী তার এক নারী সহকর্মীর নামে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের কথা উল্লেখ করেন অভিযোগপত্রে। অভিযুক্ত শিক্ষক ইনস্টিটিউটের একাধিক ছাত্রীর সামনে মেয়েদের শরীর সম্বন্ধীয় বিষয়ে ইঙ্গিত করে নানা অশালীন কথাবার্তা বলা ও কোর্সের নম্বরের কথা বারবার উল্লেখ করে শিক্ষকের ক্ষমতা দেখাতেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এর আগেও বিষ্ণুকুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে ইনস্টিটিউটের সান্ধ্যকোর্সের একাধিক ছাত্রী হয়রানির অভিযোগ তুলে তাকে কোর্স থেকে অব্যাহতির অনুরোধ জানান পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান বরাবর। এ কারণে তাকে ওই ব্যাচের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। ভুক্তভোগী সেই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি আর মানসিকভাবে সহ্য করতে না পেরে অভিযোগ করেছি। আমি চাইনা ওই শিক্ষক আমার মতো আর কারও সঙ্গে এমন করুক। আমি ন্যায্য বিচার চাই।’ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, রেজিস্ট্রার করে ডাকযোগে অভিযোগপত্রের কপি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, জনসংযোগ প্রশাসক, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণুকুমার অধিকারীকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মোঃ আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমরা অভিযোগপত্র পেয়েছি। আমরা ইতোমধ্যে ঘটনার সত্যতা যাচাই বাছাইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছি।
×