ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জন্মদিনে জয় উপহার মেসির

প্রকাশিত: ১০:৩০, ২৫ জুন ২০১৯

 জন্মদিনে জয় উপহার  মেসির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জীবনের আরও একটি বসন্ত পার করলেন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। সোমবার ৩১ বছর পেরিয়ে ৩২ বছরে পা রেখেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। জন্মদিনে সতীর্থ, সমর্থক ও শুভাকাক্সক্ষীদের ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। বর্তমানে ব্রাজিল অবস্থান করছেন মেসি। মজার বিষয়, কোপা আমেরিকা ফুটবলে আর্জেন্টিনার বাঁচামরার ম্যাচের দিনই ছিল মেসির জন্মদিন। অর্থাৎ জন্মদিনেই মেসি কাতারের বিরুদ্ধে মাঠে নামেন। গোল না পেলেও মেসির নেতৃত্বে জয় পেয়ে আর্জেন্টিনা কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। তার মানে, জন্মদিনে জয় উপহার পেয়েছেন পাঁচবারের ফিফা সেরা তারকা। প্রিয় তারকার জন্মদিন উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে মেসিকে শুভকামনা জানিয়েছেন কোটি কোটি ভক্ত। সেখানে তারা লিখেছেন- ‘শুভ জন্মদিন মেসি’। ১৯৮৭ সালের ২৪ জুন আর্জেন্টিনার রোজারিওতে জন্মগ্রহণ করেন মেসি। তার বাবা জর্জ হোরাসিও মেসি ইস্পাতের কারখানায় কাজ করতেন। মা সেলিয়া মারিয়া কুচ্চিট্টিনি ছিলেন একজন খন্ডকালীন পরিচ্ছন্নতা কর্মী। তার পৈত্রিক পরিবারের আদি নিবাস ছিল ইতালির আকোনা শহরে। তার পূর্বপুরুষদের একজন এ্যাঞ্জেলো মেসি ১৮৮৩ সালে সেখান থেকে আর্জেন্টিনায় চলে আসেন। মেসির বড় দুই ভাই এবং এক ছোট বোন আছে। পাঁচ বছর বয়সে মেসি স্থানীয় ক্লাব গ্রান্ডোলির হয়ে ফুটবল খেলা শুরু করেন। যেখানে কোচ ছিলেন তার বাবা। ১৯৯৫ সালে মেসি রোজারিও ভিত্তিক ক্লাব নিওয়েলল’স ওল্ড বয়েজে যোগ দেন। মাত্র ১১ বছর বয়সে মেসির গ্রোথ হরমোনের সমস্যা ধরা পড়ে। স্থানীয় ক্লাব রিভার প্লেট মেসির প্রতি তাদের আগ্রহ দেখালেও সেসময় তারা মেসির চিকিৎসা খরচ বহন করতে অপারগ ছিল। এ চিকিৎসার জন্য প্রতিমাসে প্রয়োজন ছিল ৯০০ মার্কিন ডলার। স্প্যানিশ ক্লাব বার্সিলোনার তৎকালীন ক্রীড়া পরিচালক কার্লেস রেক্সাস মেসির প্রতিভা সম্পর্কে জানতে পারেন। তিনি মেসির খেলা দেখে মুগ্ধ হন। হাতের কাছে কোন কাগজ না পেয়ে একটি ন্যাপকিন পেপারে তিনি মেসির বাবার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। বার্সিলোনা মেসির চিকিৎসার সব ব্যয় বহন করতে রাজি হয়। এরপর মেসি এবং তার বাবা বার্সিলোনায় পাড়ি জমান। এরপর থেকে কাতালানদের হয়ে মেসি শুধু ইতিহাসই গড়ে চলেছেন। বর্তমানে আর্জেন্টিনা ছাড়াও স্পেনের নাগরিক মেসি। ২০০৫ সালে নাগরিকত্ব পান তিনি। প্রস্তাব পেয়েছিলেন স্প্যানিশদের জাতীয় দলে খেলারও। তবে এই প্রস্তাবে সাড়া দেননি। ফুটবল ছাড়াও বিভিন্ন ধাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছেন মেসি। তিনি ইউনিসেফের ‘গুডউইল’ এ্যাম্বেসেডর। এছাড়া নিজের প্রতিষ্ঠান ‘লিও মেসি ফাউন্ডেশন’র প্রতিষ্ঠাতা। যেটি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে কাজ করে।
×