ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সেমির স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান

প্রকাশিত: ১০:২৯, ২৫ জুন ২০১৯

 সেমির স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে মাত্র ১০৫ রানে অলআউটের লজ্জায় ডুবে হেরেছিল বড় ব্যবধানে। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেলেও হার অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কাছে। প্রথম পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে হারের পর পর ১৯৯২ বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা খাদের একেবারে কিনারায় চলে গিয়েছিল। এর মধ্যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে তো দাঁড়াতেই পারেনি সরফরাজ আহমেদের দল। সবশেষ রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪৯ রানের দারুণ জয়ে পাকিদের সেমির স্বপ্ন আবার নতুন করে জেগে উঠেছে। কারণ বাকি তিন ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ। পাকিস্তান কোচ মিকি আর্থার বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আমরা বাঁচামরার লড়াইয়ে আছি। অবশ্যই আমাদের ভাগ্য অনেকটাই অন্য ম্যাচগুলোর ফলাফলের উপর নির্ভর করছে। তবে আমাদেরও বাকি তিন ম্যাচই জিততে হবে। তবে আমরা সেমিতে যাওয়ার ব্যাপারে এখনও আত্মবিশ্বাসী।’ ইংল্যান্ডকে হারিয়ে অনেকটা বিস্ময় সৃষ্টি করা পাকিস্তান নিজেদের দিনে যেকোন দলকেই পরাজিত করার ক্ষমতা রাখে বলে মনে করেন আর্থার। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন নিজেদের সেরা খেলাটা খেলি তখন যেকোন দলকেই পরাজিত করার ক্ষমতা রাখি। নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান কিংবা বাংলাদেশের বিপক্ষে বাকি তিন ম্যাচের জন্যই এটা প্রযোজ্য। বিশ্বকাপে অন্য দলগুলোর মতোই আমাদেরও যোগ্যতা আছে।’ গত সপ্তাহে ম্যানচেস্টারে ভারতের বিপক্ষে পরাজয়ের পর পাকিস্তান লড়াইয়ে ফিরেছে বলে মনে করেন আর্থার। তিনি বলেন, ‘ওই পরাজয়ে আমরা সবাই অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। ছেলেরা রাতে ঘুমাতে পারেনি। কিন্তু এরপর প্রতিদিনই তারা অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ী হয়ে আমরা তার পুরস্কার পেয়েছি।’ তবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে পাঁচটি ক্যাচ ফেলেছে ফিল্ডাররা, এর মধ্যে তিনটি ছিল মোহাম্মদ আমিরের বোলিংয়ে। এ প্রসঙ্গে আর্থার বলেন, ‘আমাদের সমস্যা হচ্ছে কোন ম্যাচেই তিনটি বিভাগে আমরা একসঙ্গে ভাল করতে পারছি না। বোলিং-ব্যাটিং ভাল হলেও ফিল্ডিংয়ে সমস্যা হচ্ছে। সে কারণে যখন তিনটিতেই ভাল করতে পারব আমাদের পারফর্মেন্সেরও উন্নতি হবে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়টা এভাবেই এসেছিল।’ দারুণ এই জয়ের পর পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হারিস সোহেলের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘এই ম্যাচটিতে খেলার জন্য হারিস মুখিয়ে ছিল। তার ব্যাটিংই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিল। শেষ ১৫ ওভারে সে যেভাবে খেলেছে তা অনেকটাই জস বাটলারের মতো ছিল।’ শেষ ১৫ ওভারে পাকিস্তান ১২৪ রান সংগ্রহ করেছে। ৫৯ বলে সোহেল নয় বাউন্ডারি ও তিন ওভার বাউন্ডারির সহায়তায় ৮৯ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস উপহার দিয়েছেন। চতুর্থ উইকেটে বাবর আজমের (৬৯) সঙ্গে ৮১ ও পঞ্চম উইকেটে ইমাদ ওয়াসিমের (২৩) সালে ৭১ রানের জুটি গড়ে তুলেন সোহেল। এর ফলে পাকিস্তান ৭ উইকেটে ৩০৮ রান সংগ্রহ করে। এরপর বোলিংয়ে ওয়াহাব রিয়াজ (৩-৪৬), শাদাব খান (৩-৫০) ও মোহাম্মদ আমিরের (২-৪৯) তোপের মুখে প্রোটিয়াদের ইনিংস ৯ উইকেটে ২৫৯ রানেই গুটিয়ে যায়। ৪৯ রানের দারুণ এই জয়ে পাকিদের সেমির স্বপ্নটা আবার নতুন করে জেগে উঠেছে।
×